এএসপির গাড়িতে বোমা
ছাত্রলীগ কর্মী টিটুর জড়িত থাকা নিয়ে সংশয়
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িতে বোমা ছুড়ে মারার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছাত্রলীগকর্মী খালিদুজ্জামান টিটুকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তার পরিচিতজনরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির পাশাপাশি টিটুর উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তারা।
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল আলম ঝন্টু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘টিটুকে আমরা ছোটকাল থেকে চিনি ও জানি। সে ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও সব কর্মসূচিতে অংশ নিত। তার পরিবারও আওয়ামী পরিবার হিসেবে পরিচিত।’
তিনি বলেন, ‘টিটু পুলিশের এএসপির গাড়িতে বোমা হামলা চালাবে এটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। ঘটনাটি আমাদের কাছে ধোঁয়াশা মনে হচ্ছে।’ সঠিকভাবে তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেলের ভাষ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চার কনস্টেবলকে নিয়ে শহরে ফিরছিলেন তিনি। রাত ৯টার দিকে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে গাড়ির ডান দিকের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ গুলি ছোড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খালিদুজ্জামান টিটুকে আটক করা হয়।
রাতেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে বড় ধরনের অঘটন ঘটনানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। তবে অল্পের জন্য পুলিশের সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আওলিয়ার রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, গুলিতে টিটুর ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু সোমবারও তাকে ঢাকাতে নেওয়া হয়নি।
টিটু দামুড়হুদা দর্শনা ইসলাম বাজারের মৃত মোজাহিদ আলীর ছেলে। তার চাচা ফারুক হোসেন বলেন, টিটু ছোট থেকেই নম্র, ভদ্র। সে পুলিশের এএসপির গাড়িতে বোমা হামলা চালাবেÑ এটা কোনোভাবেই আমরা মানতে পারি না। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর পুলিশের হাতে আটক হওয়ার খবর পাই আমরা। চিকিৎসার জন্য টিটুকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
বোমা হামলার সঙ্গে টিটুর জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অপরাধীর কোনো রং ও বর্ণ থাকে না। সে কোন দলের কোন মতেরÑ এটা আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় না।’ বোমা হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
শেয়ার করুন
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কর্মকর্তার গাড়িতে বোমা ছুড়ে মারার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছাত্রলীগকর্মী খালিদুজ্জামান টিটুকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার জড়িত থাকার বিষয়ে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তার পরিচিতজনরা। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির পাশাপাশি টিটুর উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন তারা।
দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজুল আলম ঝন্টু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘টিটুকে আমরা ছোটকাল থেকে চিনি ও জানি। সে ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও সব কর্মসূচিতে অংশ নিত। তার পরিবারও আওয়ামী পরিবার হিসেবে পরিচিত।’
তিনি বলেন, ‘টিটু পুলিশের এএসপির গাড়িতে বোমা হামলা চালাবে এটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। ঘটনাটি আমাদের কাছে ধোঁয়াশা মনে হচ্ছে।’ সঠিকভাবে তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেলের ভাষ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চার কনস্টেবলকে নিয়ে শহরে ফিরছিলেন তিনি। রাত ৯টার দিকে জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন তার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে গাড়ির ডান দিকের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ গুলি ছোড়ে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খালিদুজ্জামান টিটুকে আটক করা হয়।
রাতেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে বড় ধরনের অঘটন ঘটনানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। তবে অল্পের জন্য পুলিশের সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আওলিয়ার রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, গুলিতে টিটুর ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু সোমবারও তাকে ঢাকাতে নেওয়া হয়নি।
টিটু দামুড়হুদা দর্শনা ইসলাম বাজারের মৃত মোজাহিদ আলীর ছেলে। তার চাচা ফারুক হোসেন বলেন, টিটু ছোট থেকেই নম্র, ভদ্র। সে পুলিশের এএসপির গাড়িতে বোমা হামলা চালাবেÑ এটা কোনোভাবেই আমরা মানতে পারি না। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর পুলিশের হাতে আটক হওয়ার খবর পাই আমরা। চিকিৎসার জন্য টিটুকে দ্রুত ঢাকায় পাঠানোর দাবি জানান তিনি।
বোমা হামলার সঙ্গে টিটুর জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘অপরাধীর কোনো রং ও বর্ণ থাকে না। সে কোন দলের কোন মতেরÑ এটা আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় না।’ বোমা হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।