বিকল্পধারার ইশতেহার
সংসদীয় আসন বাড়িয়ে ৪৫০টি করার প্রতিশ্রুতি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দল বিকল্পধারা ও জোট যুক্তফ্রন্ট। আট দফার এই ইশতেহারে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ইশতেহার ঘোষণার আগে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন জাতির জন্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি গণতন্ত্রের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে আসবে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। সর্বস্তরে গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করা, প্রাদেশিক সরকার ও আইনসভা গঠন, মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ নারী ও ২০ শতাংশ দেশের বিশেষজ্ঞদের (টেকনোক্রেট) জন্য ‘সংরক্ষণ’ করার কথা রয়েছে বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এতে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক অনুশীলনের অন্তরায় বর্ণনা করে ইশতেহারে এটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য কোনো বিলে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না।
বিকল্পধারার সভাপতি বলেন, তারা ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবেন, অবসরের বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করবেন। গ্রাম ও শহরের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে বৈষম্য দূর করবেন। বন্ধ করবেন প্রশ্ন ফাঁস।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, মাহী বি চৌধুরীসহ বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নেতারা ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

অর্থনৈতিক, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দল বিকল্পধারা ও জোট যুক্তফ্রন্ট। আট দফার এই ইশতেহারে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫০ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ইশতেহার ঘোষণার আগে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন জাতির জন্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি গণতন্ত্রের দিকে আরো এক ধাপ এগিয়ে আসবে। সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। সর্বস্তরে গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করা, প্রাদেশিক সরকার ও আইনসভা গঠন, মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ নারী ও ২০ শতাংশ দেশের বিশেষজ্ঞদের (টেকনোক্রেট) জন্য ‘সংরক্ষণ’ করার কথা রয়েছে বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে এতে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদকে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক অনুশীলনের অন্তরায় বর্ণনা করে ইশতেহারে এটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো সংসদ সদস্য কোনো বিলে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না।
বিকল্পধারার সভাপতি বলেন, তারা ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবেন, অবসরের বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করবেন। গ্রাম ও শহরের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে বৈষম্য দূর করবেন। বন্ধ করবেন প্রশ্ন ফাঁস।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, মাহী বি চৌধুরীসহ বিকল্পধারা ও যুক্তফ্রন্টের নেতারা ইশতেহার ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।