ফেনীতে ভোটচিত্র উৎসবের ভেতরেই শঙ্কা
পারভেজ হোসেন, ফেনী থেকে ফিরে | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
রিকশাচালক আবদুর রহমান। ২০ বছর ধরে ফেনী শহরে রিকশা চালান। জীবনে এই রকম নির্বাচন আর কখনো দেখেননি বলে জানান। তিনি জানান, মহাজোটের প্রার্থী নিজাম হাজারী ছাড়া আর কারো প্রচারের খবর নেই। নিজামীর ইশারায় চলে প্রশাসনের সবকিছু। ভিপি জয়নালসহ বিএনপির অন্য প্রার্থীরা প্রায় গৃহবন্দি। নেই কোনো পোস্টার বা মিছিল-মিটিং। একই কথা বলেছেন পাছগাছিয়া রোডের মুদি দোকানি আরিফুর রহমান। ভোটের বাকি আর মাত্র তিনদিন। উৎসবের ভেতরেই শঙ্কা দেখছেন তিনি।
ভোট নিয়ে শঙ্কা কাটছে না ফেনীর বিরোধী জোটের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদেরও। একদিকে মহাজোট শিবিরে চলছে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ। উদ্যমে-উৎসাহে চালাচ্ছেন নির্বাচনী কর্মকাণ্ড। অপরদিকে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ মামলা, হামলাসহ নানা কারণে অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে আছেন। যে কয়েকজন বাইরে আছেন, তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি, কয়েকজন প্রার্থী ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মাঠে নেমে ব্যাপক প্রচার চালান মহাজোট প্রার্থীরা। বিশেষ করে ফেনী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী এককভাবে ভোটের মাঠ নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফেনী-১ ও ৩ আসনের শিরিন আক্তার ও লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন। আনাচে-কানাচে রয়েছে তাদের নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন। কর্মীরাও সক্রিয়ভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। মহাজোটের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার করছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এদিকে ফেনী-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম আব্দুল্লাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কিছুদিন মাঠে থাকলেও সম্প্রতি সরে দাঁড়িয়েছেন। ফেনী-৩ আসনেও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় থাকলেও পরে সরে যান।
অপরদিকে পুরো ফেনী জেলায় বিএনপি প্রার্থীদের কোনো পোস্টার দেখা যায়নি। তারা কোনো ধরনের মিছিল, সমাবেশ করতে পারছেন না। তাদের গণসংযোগ চলছে খুবই সীমিত আকারে। ফেনী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মুন্সী রফিকুল আলম মজনু দেশ রূপান্তরকে জানান, ছাগলনাইয়ায় তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে মহাজোটের কর্মীরা। ফুলগাজীতেও তার প্রচার মাইকে হামলা ও পরশুরামে কয়েকজন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। পুলিশ তাদের সব ধরনের সহায়তা করছে।
ফেনী-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ওরফে ভিপি জয়নাল টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ৫০ বছরেও এমন একতরফা নির্বাচন আর দেখিনি। আমি অনেকটা অবরুদ্ধের মতো আছি। ঠিকমতো গণসংযোগ করতে পারছি না। সরকারি দলের ক্যাডাররা আমার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছে। নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব কারণে অনেকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছে না। প্রচারকালে মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের ঘটনাও ঘটছে।
ফেনী-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন বলেন, মামলা-হামলার ভয়ে নেতাকর্মীরা কর্মকাণ্ড চালাতে পারছেন না। দাগনভূঞা-সোনাগাজীর বিভিন্ন এলাকায় তার প্রচার গাড়ি-মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার বলেন, জেলার তিনটি আসনে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরাট অংশ বিভিন্ন গায়েবি মামলায় জেলে রয়েছেন। অনেক মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। শুধু নিয়মিত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে জমা দিতে বিএনপির প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
ফেনী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, কোথাও কাউকে হামলা করা হয়নি বা হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মামলার ভারে নুয়ে পড়েছে বিএনপি
দলটির দুই শতাধিক নেতাকর্মী জেলে রয়েছে। পালিয়ে আছে আরো প্রায় এক হাজার। এসব কারণে ফেনীর তিনটি আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছে না অনেকেই।
বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছেন জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, জেলা ছাত্রদলের একাংশের সাবেক সভাপতি, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন, সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, ফেনী পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল, ফেনী সদরের বালিগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আফসার পাটোয়ারী, দাগনভূঞার যুবদল নেতা ফটিক, সোনাগাজীর বিএনপি নেতা মো. নিজামসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় জেলে রয়েছেন।
তবে কিছুদিন আগে মুক্তি পান জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার, ফেনী পৌর কমিটির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীসহ আরো কয়েকজন নেতা। ফেনী সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন মামুন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম সালাহউদ্দিন মামুন, ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন দোলন, জিয়াউদ্দিনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকায় ভোটের মাঠে কাজ করতে পারছেন না বলে জানান নেতারা।
শেয়ার করুন
পারভেজ হোসেন, ফেনী থেকে ফিরে | ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

রিকশাচালক আবদুর রহমান। ২০ বছর ধরে ফেনী শহরে রিকশা চালান। জীবনে এই রকম নির্বাচন আর কখনো দেখেননি বলে জানান। তিনি জানান, মহাজোটের প্রার্থী নিজাম হাজারী ছাড়া আর কারো প্রচারের খবর নেই। নিজামীর ইশারায় চলে প্রশাসনের সবকিছু। ভিপি জয়নালসহ বিএনপির অন্য প্রার্থীরা প্রায় গৃহবন্দি। নেই কোনো পোস্টার বা মিছিল-মিটিং। একই কথা বলেছেন পাছগাছিয়া রোডের মুদি দোকানি আরিফুর রহমান। ভোটের বাকি আর মাত্র তিনদিন। উৎসবের ভেতরেই শঙ্কা দেখছেন তিনি।
ভোট নিয়ে শঙ্কা কাটছে না ফেনীর বিরোধী জোটের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদেরও। একদিকে মহাজোট শিবিরে চলছে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ। উদ্যমে-উৎসাহে চালাচ্ছেন নির্বাচনী কর্মকাণ্ড। অপরদিকে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ মামলা, হামলাসহ নানা কারণে অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে আছেন। যে কয়েকজন বাইরে আছেন, তারাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি, কয়েকজন প্রার্থী ও বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই মাঠে নেমে ব্যাপক প্রচার চালান মহাজোট প্রার্থীরা। বিশেষ করে ফেনী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী এককভাবে ভোটের মাঠ নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফেনী-১ ও ৩ আসনের শিরিন আক্তার ও লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছেন। আনাচে-কানাচে রয়েছে তাদের নির্বাচনী ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন। কর্মীরাও সক্রিয়ভাবে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। মহাজোটের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার করছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এদিকে ফেনী-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এম আব্দুল্লাহ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কিছুদিন মাঠে থাকলেও সম্প্রতি সরে দাঁড়িয়েছেন। ফেনী-৩ আসনেও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে সক্রিয় থাকলেও পরে সরে যান।
অপরদিকে পুরো ফেনী জেলায় বিএনপি প্রার্থীদের কোনো পোস্টার দেখা যায়নি। তারা কোনো ধরনের মিছিল, সমাবেশ করতে পারছেন না। তাদের গণসংযোগ চলছে খুবই সীমিত আকারে। ফেনী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মুন্সী রফিকুল আলম মজনু দেশ রূপান্তরকে জানান, ছাগলনাইয়ায় তার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে মহাজোটের কর্মীরা। ফুলগাজীতেও তার প্রচার মাইকে হামলা ও পরশুরামে কয়েকজন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। পুলিশ তাদের সব ধরনের সহায়তা করছে।
ফেনী-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ওরফে ভিপি জয়নাল টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ৫০ বছরেও এমন একতরফা নির্বাচন আর দেখিনি। আমি অনেকটা অবরুদ্ধের মতো আছি। ঠিকমতো গণসংযোগ করতে পারছি না। সরকারি দলের ক্যাডাররা আমার বাড়ির চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছে। নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব কারণে অনেকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছে না। প্রচারকালে মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের ঘটনাও ঘটছে।
ফেনী-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন বলেন, মামলা-হামলার ভয়ে নেতাকর্মীরা কর্মকাণ্ড চালাতে পারছেন না। দাগনভূঞা-সোনাগাজীর বিভিন্ন এলাকায় তার প্রচার গাড়ি-মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার বলেন, জেলার তিনটি আসনে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরাট অংশ বিভিন্ন গায়েবি মামলায় জেলে রয়েছেন। অনেক মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে ফেনী জেলার পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। শুধু নিয়মিত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে জমা দিতে বিএনপির প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
ফেনী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, কোথাও কাউকে হামলা করা হয়নি বা হুমকি দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মামলার ভারে নুয়ে পড়েছে বিএনপি
দলটির দুই শতাধিক নেতাকর্মী জেলে রয়েছে। পালিয়ে আছে আরো প্রায় এক হাজার। এসব কারণে ফেনীর তিনটি আসনে প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারছে না অনেকেই।
বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে রয়েছেন জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক, জেলা ছাত্রদলের একাংশের সাবেক সভাপতি, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট মেজবাহউদ্দিন, সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, ফেনী পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সুমন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল, ফেনী সদরের বালিগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আফসার পাটোয়ারী, দাগনভূঞার যুবদল নেতা ফটিক, সোনাগাজীর বিএনপি নেতা মো. নিজামসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় জেলে রয়েছেন।
তবে কিছুদিন আগে মুক্তি পান জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিস্টার, ফেনী পৌর কমিটির সভাপতি আলাল উদ্দিন আলাল, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীসহ আরো কয়েকজন নেতা। ফেনী সদর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বকুল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন মামুন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম সালাহউদ্দিন মামুন, ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন দোলন, জিয়াউদ্দিনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশ বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকায় ভোটের মাঠে কাজ করতে পারছেন না বলে জানান নেতারা।