ইসি মাহবুব বললেন
নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ভোটের মাঠে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ‘অনভিপ্রেত আচরণ’ না করার পরামর্শ দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। ভোটের তিন দিন আগে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক লিখিত বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর একটি সহিংসতামুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না করতে পারলে এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। ভোটে যারাই জয়ী হোক, দেশের মানুষ যেন পরাজিত না হয়।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে কোনো অনভিপ্রেত আচরণ করবেন না। আপনারা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। প্রত্যেকের প্রতি সমআচরণ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন আপনাদের কর্তব্য। নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের পোশাকের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করুন।’ ভোটের তিন দিন আগে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে গতকাল আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে ‘আমার বার্তা’ নামে এ বিবৃতি সাংবাদিকদের সামনে পড়লেও কোনো প্রশ্ন নিতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কেবল অংশগ্রহণমূলক হলে হয় না, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ হতে হয়। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব না। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা কলঙ্কিত হতে চাই না।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ভোটের মাঠে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ‘অনভিপ্রেত আচরণ’ না করার পরামর্শ দিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। ভোটের তিন দিন আগে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া এক লিখিত বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর একটি সহিংসতামুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন না করতে পারলে এই স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। ভোটে যারাই জয়ী হোক, দেশের মানুষ যেন পরাজিত না হয়।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অতি উৎসাহী হয়ে কোনো অনভিপ্রেত আচরণ করবেন না। আপনারা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। প্রত্যেকের প্রতি সমআচরণ ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন আপনাদের কর্তব্য। নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকুন। নিজেদের পোশাকের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করুন।’ ভোটের তিন দিন আগে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে গতকাল আগারগাঁওয়ে ইসি কার্যালয়ে ‘আমার বার্তা’ নামে এ বিবৃতি সাংবাদিকদের সামনে পড়লেও কোনো প্রশ্ন নিতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কেবল অংশগ্রহণমূলক হলে হয় না, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও আইনানুগ হতে হয়। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য না হলে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব না। প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে আমরা কলঙ্কিত হতে চাই না।