৬ বছর আগে নিহত ছাত্রদলকর্মী মামলার আসামি!
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারে হাতবোমা ছোড়ার অভিযোগে করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ছয় বছর আগে নিহত একজনকে। মাহমুদ হোসেন শওকত নামের ওই ছাত্রদলকর্মী ২০১২ সালের ২২ মার্চ অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে খুন হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বাদী তার লিখিত অভিযোগে যাদের নাম দিয়েছেন, তাদেরই এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। এখন পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করবে। এদের মধ্যে মৃত কিংবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়Ñ এমন কারো নাম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের নাম বাদ পড়বে।’ শওকত ছাড়াও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে গত রোববার কোতোয়ালি থানায় এই মামলাটি করেন নৌকা মার্কার প্রচারকর্মী নাইওরপুলের মৌবন আবাসিক এলাকার ফাহিম আহমদ হামিম। আসামিদের তালিকার ২৭ নম্বরে নাম রয়েছে ছাত্রদলকর্মী মাহমুদ হোসেন শওকতের।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই দিন নগরীর কানিশাইল এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আবদুল মোমেনের পক্ষে প্রচারকাজ চলাকালে আসামিরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা রিকশায় লাগানো মাইক খুলে নেন। এ সময় ফাহিম তাদের বাধা দিলে তারা তাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। পরে হাতবোমা ছুড়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুটি হাতবোমা উদ্ধার করে।
২০১২ সালের ২২ মার্চ সিলেট নগরীর উপশহরে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছিলেন সিলেট ছাত্রদলের নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত। ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনারকে। উপশহরের দিনার গ্রুপের কর্মী ছিল শওকত। নিজ দলের কর্মীদের হাতে তার খুন হওয়ার অভিযোগ নিয়ে তখন সিলেটে তোলপাড় হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (মহানগর-সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারে হাতবোমা ছোড়ার অভিযোগে করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ছয় বছর আগে নিহত একজনকে। মাহমুদ হোসেন শওকত নামের ওই ছাত্রদলকর্মী ২০১২ সালের ২২ মার্চ অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে খুন হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘বাদী তার লিখিত অভিযোগে যাদের নাম দিয়েছেন, তাদেরই এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। এখন পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করবে। এদের মধ্যে মৃত কিংবা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়Ñ এমন কারো নাম থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের নাম বাদ পড়বে।’ শওকত ছাড়াও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে গত রোববার কোতোয়ালি থানায় এই মামলাটি করেন নৌকা মার্কার প্রচারকর্মী নাইওরপুলের মৌবন আবাসিক এলাকার ফাহিম আহমদ হামিম। আসামিদের তালিকার ২৭ নম্বরে নাম রয়েছে ছাত্রদলকর্মী মাহমুদ হোসেন শওকতের।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই দিন নগরীর কানিশাইল এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে আবদুল মোমেনের পক্ষে প্রচারকাজ চলাকালে আসামিরা বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা রিকশায় লাগানো মাইক খুলে নেন। এ সময় ফাহিম তাদের বাধা দিলে তারা তাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। পরে হাতবোমা ছুড়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুটি হাতবোমা উদ্ধার করে।
২০১২ সালের ২২ মার্চ সিলেট নগরীর উপশহরে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছিলেন সিলেট ছাত্রদলের নেতা মাহমুদ হোসেন শওকত। ওই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছিল নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনারকে। উপশহরের দিনার গ্রুপের কর্মী ছিল শওকত। নিজ দলের কর্মীদের হাতে তার খুন হওয়ার অভিযোগ নিয়ে তখন সিলেটে তোলপাড় হয়।