৪৪ আসনে নাজুক ধানের শীষ
আলাউদ্দিন আরিফ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ধানের শীষের ১৮ প্রার্থী। ২৬ আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ২৪ জনের। আর হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি ও জোটের কমপক্ষে ৪৮ প্রার্থী।
কারাগারে থাকা প্রার্থীদের এলাকায় নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘যেসব আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের পক্ষে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।’ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ভাবে এসব প্রার্থীকে জেলে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাবে এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। ’
স্থানীয় ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থাকা ধানের শীষের ১৮ প্রার্থী হলেন নরসিংদী-১ আসনের খায়রুল কবীর খোকন, কুমিল্লা-১০-এর মনিরুল হক চৌধুরী, গাজীপুর-৫-এর ফজলুল হক মিলন, ঝিনাইদহ-৩-এর অধ্যাপক মতিউর রহমান, টাঙ্গাইল-২-এর সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চট্টগ্রাম-৯-এর ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-৪-এর আসলাম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ-৩-এর এসএম জিলানী, রাজশাহী-৬-এর মো. আবু সাঈদ চাঁদ, মাগুরা-১-এর মনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম-১৫-এর আ ন ম শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২-এর এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, সাতক্ষীরা-২-এর মুহাম্মদ আবদুল খালেক, খুলনা-৬-এর আবুল কালাম আজাদ, ঠাকুরগাঁও-২-এর মাওলানা আবদুল হাকিম, সাতক্ষীরা-৪-এর গাজী নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১-এর রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও যশোর-২ আসনের আবু সাঈদ মো. শাহাদাত।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রার্থীদের আসনে ভোট কীভাবে হবে জানতে চাইলে গাজীপুর-৫-এর ভোটার আমিনুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ফজলুল হক মিলন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার স্ত্রী শম্পা হক নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। থানার সামনেই দুর্বৃত্তদের একটি দল শম্পা হককে পিটিয়ে জখম করে। তিনি তিন দিন হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ছিলেন। এখন এলাকায় এসেছেন।’
এলাকার ধানের শীষের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে উল্লেখ করে আমিনুল বলেন, ‘এখন কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার মতো লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচন থেকে একরকম ছিটকে পড়েছে ধানের শীষ। তারপরও এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থন মিলনের পক্ষে আছে। তাই তার নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। ’
আদালতে হেরে ২৬ আসনে প্রার্থিতা বাতিল ও স্থগিত হয়েছে ধানের শীষের ২৪ প্রার্থীর। এর মধ্যে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, নরসিংদী-৩ আসনে মঞ্জুর এলাহী, নাটোর-৪ আসনে আবদুল আজিজ, গাইবান্ধা-৪ আসনে ফারুক আলম, চাঁদপুর-৪ আসনে আবদুল হান্নান, জামালপুর-১ আসনে রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মানিকগঞ্জ-২ আসনে আফরোজা খান রীতা, সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনা, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এম এ জিন্নাহ, নাটোর-১ আসনে মঞ্জুরুল ইসলাম, নওগাঁ-১ আসনে ডা. খালেক, রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফা, বগুড়া-৩ আসনে মুহিত তালুকদার, কক্সবাজার-২ আসনে আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ, ময়মনসিংহ-১ আসনে আলী আসগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে মুসলিম উদ্দিন, দিনাজপুর-৩ আসনে জাহাঙ্গীর আলম, জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান, বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ মিল্টন, রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চান, ঝিনাইদহ-২ আসনে আবদুল মজিদ, জামালপুর-৪ আসনে শামীম তালুকদার, ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক ও ঢাকা-২০ আসনে তমিজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
হামলার শিকার প্রায় ৫০ প্রার্থী: বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন ধানের শীষের কমপক্ষে ৪৮ প্রার্থী। এদের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মতিঝিলে মির্জা আব্বাস, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাহবুব উদ্দিন খোকন, রামগতিতে আ স ম আবদুর রব, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান, লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকার খিলগাঁওয়ে আফরোজা আব্বাস, শরীয়তপুরে মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, নোয়াখালীর সেনবাগে জয়নুল আবদিন ফারুক, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মিজানুর রহমান সিনহা হামলায় আহত হন। অন্যদিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাহমুদুল হক রুবেল, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জেএম নুরুর রহমান, ফরিদপুরে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নরসিংদীতে বিএনপি প্রার্থী মনজুর এলাহী, নাটোরে সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, বরিশালের উজিরপুরে সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, নরসিংদীতে আবদুল মঈন খান, চাঁদপুরের মতলবে জালাল উদ্দীন, রাজধানীর ওয়ারীতে সুব্রত চৌধুরী, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শাহ রিয়াজুল হান্নানের ওপর হামলা হয়। এ ছাড়া যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, পাবনায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, চাঁদপুরের কচুয়ায় মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, কিশোরগঞ্জে শরীফুল আলম, সিরাজগঞ্জে ডা. মুহিত, বাগেরহাটে এমএ সালাম, চট্টগ্রামে আজীবুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাতক্ষীরায় হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ঝালকাঠিতে জেবা আমিনা খান, নোয়াখালীতে মোহাম্মদ শাহজাহান প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন।
শেয়ার করুন
আলাউদ্দিন আরিফ | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

রাত পোহালেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ধানের শীষের ১৮ প্রার্থী। ২৬ আসনে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ২৪ জনের। আর হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি ও জোটের কমপক্ষে ৪৮ প্রার্থী।
কারাগারে থাকা প্রার্থীদের এলাকায় নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল শুক্রবার দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘যেসব আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের পক্ষে বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন।’ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যায়ভাবে এসব প্রার্থীকে জেলে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাবে এবং বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। ’
স্থানীয় ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কারাগারে থাকা ধানের শীষের ১৮ প্রার্থী হলেন নরসিংদী-১ আসনের খায়রুল কবীর খোকন, কুমিল্লা-১০-এর মনিরুল হক চৌধুরী, গাজীপুর-৫-এর ফজলুল হক মিলন, ঝিনাইদহ-৩-এর অধ্যাপক মতিউর রহমান, টাঙ্গাইল-২-এর সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চট্টগ্রাম-৯-এর ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-৪-এর আসলাম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ-৩-এর এসএম জিলানী, রাজশাহী-৬-এর মো. আবু সাঈদ চাঁদ, মাগুরা-১-এর মনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম-১৫-এর আ ন ম শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২-এর এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, সাতক্ষীরা-২-এর মুহাম্মদ আবদুল খালেক, খুলনা-৬-এর আবুল কালাম আজাদ, ঠাকুরগাঁও-২-এর মাওলানা আবদুল হাকিম, সাতক্ষীরা-৪-এর গাজী নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১-এর রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা ও যশোর-২ আসনের আবু সাঈদ মো. শাহাদাত।
গ্রেপ্তার হওয়া প্রার্থীদের আসনে ভোট কীভাবে হবে জানতে চাইলে গাজীপুর-৫-এর ভোটার আমিনুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ফজলুল হক মিলন গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার স্ত্রী শম্পা হক নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। থানার সামনেই দুর্বৃত্তদের একটি দল শম্পা হককে পিটিয়ে জখম করে। তিনি তিন দিন হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ছিলেন। এখন এলাকায় এসেছেন।’
এলাকার ধানের শীষের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে উল্লেখ করে আমিনুল বলেন, ‘এখন কেন্দ্রে এজেন্ট দেওয়ার মতো লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচন থেকে একরকম ছিটকে পড়েছে ধানের শীষ। তারপরও এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থন মিলনের পক্ষে আছে। তাই তার নির্বাচনে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। ’
আদালতে হেরে ২৬ আসনে প্রার্থিতা বাতিল ও স্থগিত হয়েছে ধানের শীষের ২৪ প্রার্থীর। এর মধ্যে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, নরসিংদী-৩ আসনে মঞ্জুর এলাহী, নাটোর-৪ আসনে আবদুল আজিজ, গাইবান্ধা-৪ আসনে ফারুক আলম, চাঁদপুর-৪ আসনে আবদুল হান্নান, জামালপুর-১ আসনে রশিদুজ্জামান মিল্লাত, মানিকগঞ্জ-২ আসনে আফরোজা খান রীতা, সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনা, মানিকগঞ্জ-১ আসনে এম এ জিন্নাহ, নাটোর-১ আসনে মঞ্জুরুল ইসলাম, নওগাঁ-১ আসনে ডা. খালেক, রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফা, বগুড়া-৩ আসনে মুহিত তালুকদার, কক্সবাজার-২ আসনে আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ, ময়মনসিংহ-১ আসনে আলী আসগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে মুসলিম উদ্দিন, দিনাজপুর-৩ আসনে জাহাঙ্গীর আলম, জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান, বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ মিল্টন, রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাঈদ চান, ঝিনাইদহ-২ আসনে আবদুল মজিদ, জামালপুর-৪ আসনে শামীম তালুকদার, ঢাকা-১ আসনে খন্দকার আবু আশফাক ও ঢাকা-২০ আসনে তমিজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এসব আসনে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
হামলার শিকার প্রায় ৫০ প্রার্থী: বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন ধানের শীষের কমপক্ষে ৪৮ প্রার্থী। এদের মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মতিঝিলে মির্জা আব্বাস, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাহবুব উদ্দিন খোকন, রামগতিতে আ স ম আবদুর রব, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর আখতারুজ্জামান, লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকার খিলগাঁওয়ে আফরোজা আব্বাস, শরীয়তপুরে মিয়া নুরুদ্দিন আহমেদ অপু, চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আজিম উল্লাহ বাহার, নোয়াখালীর সেনবাগে জয়নুল আবদিন ফারুক, মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মিজানুর রহমান সিনহা হামলায় আহত হন। অন্যদিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাহমুদুল হক রুবেল, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে জেএম নুরুর রহমান, ফরিদপুরে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নরসিংদীতে বিএনপি প্রার্থী মনজুর এলাহী, নাটোরে সাবিনা ইয়াসমিন ছবি, বরিশালের উজিরপুরে সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু, নরসিংদীতে আবদুল মঈন খান, চাঁদপুরের মতলবে জালাল উদ্দীন, রাজধানীর ওয়ারীতে সুব্রত চৌধুরী, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শাহ রিয়াজুল হান্নানের ওপর হামলা হয়। এ ছাড়া যশোরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, পাবনায় অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, চাঁদপুরের কচুয়ায় মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, কিশোরগঞ্জে শরীফুল আলম, সিরাজগঞ্জে ডা. মুহিত, বাগেরহাটে এমএ সালাম, চট্টগ্রামে আজীবুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাতক্ষীরায় হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ঝালকাঠিতে জেবা আমিনা খান, নোয়াখালীতে মোহাম্মদ শাহজাহান প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন।