ঢাকা-৮ আসন
আতঙ্কে বিএনপি আশাবাদী মহাজোট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। আগেই দলের কর্মীরা যথাসম্ভব বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছে, দিয়েছে ভোটার সিøপ। কেন্দ্র ও বুথের এজেন্টও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে রাজধানীর মতিঝিলে এজিবি কলোনি এলাকায় কয়েকজন বিএনপি কর্মী আশঙ্কা করেছেন, ধানের শীষের ব্যাচ লাগিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা কেন্দ্রে এজেন্ট সেজে বসে যেতে পারেন। বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন। এখানে বিএনপি প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এদিকে প্রচার শেষে বেশ উজ্জীবিত মহাজোটের কর্মীরা। তারা এই আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো নৌকার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তারা পর্যাপ্ত প্রচার চালিয়েছেন, এলাকায় ব্যাপক মিছিল-মিটিং করেছেন। পোস্টারে ভরিয়ে দিয়েছেন এলাকার অলিগলি। যেন নৌকা হাওয়ায় ভাসছে। বিপরীতে ধানের শীষের পোস্টার ছিল না বললেই চলে। তাদের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে ছিলেন কৌশলে, গোপনেই তারা নির্বাচনী কাজ করছেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-৮ আসনভুক্ত মতিঝিল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, এজিবি কলোনি, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর এলাকা ঘুরে ধানের শীষের পোস্টার তেমন একটা চোখে পড়েনি। নয়াপল্টন বক্স কালভার্ট রোডের কাছে ধানের শীষের কিছু পোস্টার দেখা যায়। ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ধানের শীষের পোস্টার না থাকলেও নৌকা, লাঙ্গল, হাতপাখা ও বাঘ মার্কার পোস্টার ছিল চোখে পড়ার মতো। আনুষ্ঠানিক প্রচার না থাকায় নৌকার সমর্থনে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বসানো নির্বাচনী অফিসগুলোতে সরব আড্ডা দেখা যায়। সেই অর্থে ধানের শীষের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
এজিবি কলোনি এলাকার ভোটার আতিকুর রহমান জানান, তাদের ওখানে মিছিল-মিটিং যা হয়েছে সবই নৌকার পক্ষে। তার আশঙ্কা, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কিছু কর্মী ধানের শীষের ব্যাচ পরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এজেন্ট হিসেবে বসে যেতে পারেন।
নয়াপল্টনের ভোটার শফিউদ্দিন জানান, তিনি বিএনপির সমর্থক। ভোটাররা সবাই ভয়ের মধ্যে আছেন। এভাবে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন।
মির্জা আব্বাসের মিডিয়া শাখার সমন্বয়কারী নাহিদ বলেন, তারা শুক্রবার বের হননি। ভোটার সিøপ আগেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। তার দাবি, নিরপেক্ষ ভোট হলে মির্জা আব্বাস জয়লাভ করবেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এজেন্ট সেজে বসে যেতে পারেন এই আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। কিন্তু কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
নির্বাচন কেমন হবে জানতে চাইলে স্থানীয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তবা জামান পপি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। দুই পক্ষের সহাবস্থান রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো সহিংসতা হয়নি। আশা করি ভোটের দিনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। আগেই দলের কর্মীরা যথাসম্ভব বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছে, দিয়েছে ভোটার সিøপ। কেন্দ্র ও বুথের এজেন্টও চূড়ান্ত হয়েছে। তবে রাজধানীর মতিঝিলে এজিবি কলোনি এলাকায় কয়েকজন বিএনপি কর্মী আশঙ্কা করেছেন, ধানের শীষের ব্যাচ লাগিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা কেন্দ্রে এজেন্ট সেজে বসে যেতে পারেন। বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী রাশেদ খান মেনন। এখানে বিএনপি প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এদিকে প্রচার শেষে বেশ উজ্জীবিত মহাজোটের কর্মীরা। তারা এই আসনে টানা তৃতীয়বারের মতো নৌকার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তারা পর্যাপ্ত প্রচার চালিয়েছেন, এলাকায় ব্যাপক মিছিল-মিটিং করেছেন। পোস্টারে ভরিয়ে দিয়েছেন এলাকার অলিগলি। যেন নৌকা হাওয়ায় ভাসছে। বিপরীতে ধানের শীষের পোস্টার ছিল না বললেই চলে। তাদের নেতাকর্মীরা ভোটের মাঠে ছিলেন কৌশলে, গোপনেই তারা নির্বাচনী কাজ করছেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-৮ আসনভুক্ত মতিঝিল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, এজিবি কলোনি, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর এলাকা ঘুরে ধানের শীষের পোস্টার তেমন একটা চোখে পড়েনি। নয়াপল্টন বক্স কালভার্ট রোডের কাছে ধানের শীষের কিছু পোস্টার দেখা যায়। ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ধানের শীষের পোস্টার না থাকলেও নৌকা, লাঙ্গল, হাতপাখা ও বাঘ মার্কার পোস্টার ছিল চোখে পড়ার মতো। আনুষ্ঠানিক প্রচার না থাকায় নৌকার সমর্থনে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে বসানো নির্বাচনী অফিসগুলোতে সরব আড্ডা দেখা যায়। সেই অর্থে ধানের শীষের কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
এজিবি কলোনি এলাকার ভোটার আতিকুর রহমান জানান, তাদের ওখানে মিছিল-মিটিং যা হয়েছে সবই নৌকার পক্ষে। তার আশঙ্কা, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কিছু কর্মী ধানের শীষের ব্যাচ পরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এজেন্ট হিসেবে বসে যেতে পারেন।
নয়াপল্টনের ভোটার শফিউদ্দিন জানান, তিনি বিএনপির সমর্থক। ভোটাররা সবাই ভয়ের মধ্যে আছেন। এভাবে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন।
মির্জা আব্বাসের মিডিয়া শাখার সমন্বয়কারী নাহিদ বলেন, তারা শুক্রবার বের হননি। ভোটার সিøপ আগেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। তার দাবি, নিরপেক্ষ ভোট হলে মির্জা আব্বাস জয়লাভ করবেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এজেন্ট সেজে বসে যেতে পারেন এই আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরাও শুনেছি। কিন্তু কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
নির্বাচন কেমন হবে জানতে চাইলে স্থানীয় ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তবা জামান পপি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় নির্বাচনী পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। দুই পক্ষের সহাবস্থান রয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে কোনো সহিংসতা হয়নি। আশা করি ভোটের দিনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’