নির্বাচন বড় পরিবর্তন আনবে
আহসান হাবীব অপু | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রাজশাহী-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। গতকাল সকালে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভোট ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহসান হাবীব অপু
দেশ রূপান্তর : রাজশাহীর সবশেষ নির্বাচনের পরিবেশ কেমন দেখছেন?
বাদশা : রাজশাহীর নির্বাচনী পরিবেশ সব সময়ই ভালো ছিল। আমরা খুবই গণতান্ত্রিক সহনশীলতা নিয়েই কাজ করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যাচার করা হয়েছে; আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। আমার গভীর বিশ্বাস, রাজশাহীবাসী আমাদের জানে-বোঝে এবং আমরা অত্যন্ত সততার সঙ্গে রাজনীতি করে এসেছি। আমি দুই টার্ম পার্লামেন্টের মেম্বার ছিলাম, আমি রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। সেই উন্নয়নে কোনো দুর্নীতি ছিল না। আমি মনে করি, রাজশাহীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা দরকার। আর বিএনপি প্রার্থী যিনি দাঁড়িয়েছেন, তাদের অতীত কর্মকাণ্ড কলঙ্কিত। তারা সন্ত্রাস করেছে, জঙ্গিবাদ করেছে, দুর্নীতি করেছে এবং সহিংস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এদের যদি রাজশাহীর মানুষ জায়গা করে দেয়, তাহলে আজকে রাজশাহীর যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, তা ধ্বংস হয়ে যাবে; উন্নয়নও ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমি রাজশাহীবাসীর কাছে আহ্বান রাখি, রাজশাহীবাসী সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে যেন আমরা যেতে পারি, রাজশাহীর মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেই পথেই আমি কাজ করে যাব। সেই কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আমি নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।
দেশ রূপান্তর : নির্বাচনী প্রচারের সময় কেমন অবস্থা দেখলেন, মানুষের চাওয়ার জায়গাটা কেমন দেখলেন?
বাদশা : আমার মনে হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আমার সঙ্গে আছে।
দেশ রূপান্তর : বিএনপি প্রার্থী যে অবস্থায় আছেন, তাদের নিয়ে কী মনে হচ্ছে, কোনো আশঙ্কা আছে কি?
বাদশা : তারা কিছুই করতে পারবে না; জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কেননা, প্রত্যেকের তো একটা ভবিষ্যৎ থাকে। ওই রাজনৈতিক দলের, জোটের তো কোনো লক্ষ্য নেই। তাদের নেতা নেই, তাদের সরকার গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশের উন্নয়নের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি নেই। তাদের কেন ভোট দেবে মানুষ?
দেশ রূপান্তর : প্রচারে মহাজোটের কেমন অংশগ্রহণ দেখলেন?
বাদশা : আমার মনে হচ্ছে মহাজোটের পক্ষে একটা জাগরণ আছে। মানুষ বলছে, ‘ভুল করব না, ভোট নষ্ট করব না। নৌকা মার্কাতেই দেব, বাদশা ভাইকেই দেব।’
দেশ রূপান্তর : নির্বাচনের প্রচারে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের প্রতিবন্ধকতার খবর পাওয়া গেছে। অনেক অভিযোগ আছে। তবে রাজশাহী সদর আসনের চিত্রটা তেমন ছিল না। এটা কীভাবে সম্ভব হয়েছে?
বাদশা : আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই। আমরা মনে করি তারা যতই প্রচার করুক, তাদের লাভ হবে না। তাদের মানুষ চেনে। সে জন্য তাদের আমরা বাধা দেইনি, পোস্টারও ছিঁড়িনি; বরং তারা আমাদের পোস্টার ছিঁড়েছে, অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা মেরেছে। এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস। আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা মারার পরও আমি একটা প্রতিবাদ সভা করিনি। কারণ মানুষ আতঙ্কিত হবে, মনে করবে যে সহিংসতা মনে হয় ছড়িয়ে পড়ছে; তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা হবে না।
দেশ রূপান্তর : সার্বিকভাবে সারা দেশে ওয়ার্কার্স পার্টির অবস্থা কেমন দেখছেন?
বাদশা : আমি মনে করি, এবারের নির্বাচন দেশে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।
শেয়ার করুন
আহসান হাবীব অপু | ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। রাজশাহী-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। গতকাল সকালে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ভোট ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহসান হাবীব অপু
দেশ রূপান্তর : রাজশাহীর সবশেষ নির্বাচনের পরিবেশ কেমন দেখছেন?
বাদশা : রাজশাহীর নির্বাচনী পরিবেশ সব সময়ই ভালো ছিল। আমরা খুবই গণতান্ত্রিক সহনশীলতা নিয়েই কাজ করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যাচার করা হয়েছে; আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে। আমার গভীর বিশ্বাস, রাজশাহীবাসী আমাদের জানে-বোঝে এবং আমরা অত্যন্ত সততার সঙ্গে রাজনীতি করে এসেছি। আমি দুই টার্ম পার্লামেন্টের মেম্বার ছিলাম, আমি রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। সেই উন্নয়নে কোনো দুর্নীতি ছিল না। আমি মনে করি, রাজশাহীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে আমাদের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা দরকার। আর বিএনপি প্রার্থী যিনি দাঁড়িয়েছেন, তাদের অতীত কর্মকাণ্ড কলঙ্কিত। তারা সন্ত্রাস করেছে, জঙ্গিবাদ করেছে, দুর্নীতি করেছে এবং সহিংস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এদের যদি রাজশাহীর মানুষ জায়গা করে দেয়, তাহলে আজকে রাজশাহীর যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, তা ধ্বংস হয়ে যাবে; উন্নয়নও ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমি রাজশাহীবাসীর কাছে আহ্বান রাখি, রাজশাহীবাসী সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে যেন আমরা যেতে পারি, রাজশাহীর মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেই পথেই আমি কাজ করে যাব। সেই কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আমি নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।
দেশ রূপান্তর : নির্বাচনী প্রচারের সময় কেমন অবস্থা দেখলেন, মানুষের চাওয়ার জায়গাটা কেমন দেখলেন?
বাদশা : আমার মনে হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আমার সঙ্গে আছে।
দেশ রূপান্তর : বিএনপি প্রার্থী যে অবস্থায় আছেন, তাদের নিয়ে কী মনে হচ্ছে, কোনো আশঙ্কা আছে কি?
বাদশা : তারা কিছুই করতে পারবে না; জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। কেননা, প্রত্যেকের তো একটা ভবিষ্যৎ থাকে। ওই রাজনৈতিক দলের, জোটের তো কোনো লক্ষ্য নেই। তাদের নেতা নেই, তাদের সরকার গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশের উন্নয়নের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি নেই। তাদের কেন ভোট দেবে মানুষ?
দেশ রূপান্তর : প্রচারে মহাজোটের কেমন অংশগ্রহণ দেখলেন?
বাদশা : আমার মনে হচ্ছে মহাজোটের পক্ষে একটা জাগরণ আছে। মানুষ বলছে, ‘ভুল করব না, ভোট নষ্ট করব না। নৌকা মার্কাতেই দেব, বাদশা ভাইকেই দেব।’
দেশ রূপান্তর : নির্বাচনের প্রচারে দেশের অন্যান্য জায়গাতেও প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের প্রতিবন্ধকতার খবর পাওয়া গেছে। অনেক অভিযোগ আছে। তবে রাজশাহী সদর আসনের চিত্রটা তেমন ছিল না। এটা কীভাবে সম্ভব হয়েছে?
বাদশা : আমাদের কোনো দুর্বলতা নেই। আমরা মনে করি তারা যতই প্রচার করুক, তাদের লাভ হবে না। তাদের মানুষ চেনে। সে জন্য তাদের আমরা বাধা দেইনি, পোস্টারও ছিঁড়িনি; বরং তারা আমাদের পোস্টার ছিঁড়েছে, অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা মেরেছে। এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস। আমার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে বোমা মারার পরও আমি একটা প্রতিবাদ সভা করিনি। কারণ মানুষ আতঙ্কিত হবে, মনে করবে যে সহিংসতা মনে হয় ছড়িয়ে পড়ছে; তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনটা হবে না।
দেশ রূপান্তর : সার্বিকভাবে সারা দেশে ওয়ার্কার্স পার্টির অবস্থা কেমন দেখছেন?
বাদশা : আমি মনে করি, এবারের নির্বাচন দেশে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।