রাতেই সিল মারার অভিযোগ আসেনি: আইজিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০
ভোটের আগের রাতেই কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। ৮টায় ভোট শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু নিয়মকানুন আছে। পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা আছে তারা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে ভোটগ্রহণ শুরু করেনি।’
বিভিন্ন জেলায় ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সভর্তি করার অভিযোগ তোলেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। তাদের পোলিং এজেন্টদের পুলিশ হয়রানি করেছে বলেও দাবি করেন।
গতকাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশপ্রধান। কোনো পোলিং এজেন্টকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার আসামি ও পরোয়ানা থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এফআইআরে যাদের নাম নেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তদন্তে নাম আসায়।
শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, ‘এখানে কানাডীয়, ভারতীয় ও নেপালি পর্যবেক্ষক ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারছে।’ বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও গ্রেপ্তার নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার কিসের ভিত্তিতে বলেছেন সেটা আমি জানি না। আমি যেসব কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে সব দলের পোলিং এজেন্ট পেয়েছি। পুলিশ কোনো পোলিং এজেন্ট বা অন্য কাউকে অ্যারেস্ট করেনি।’ তিনি আরো বলেন, পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যারা এসেছে তাদের বসতে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশ নিয়েছে। যারা আসেনি তাদের খুঁজে নিয়ে আসার দায়-দায়িত্ব পুলিশের নয়।
মামলা বা চার্জশিটে নাম না থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ বলে একটা বিষয় আছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে নাম আসায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ভোটের দিনের অবস্থা জানিয়ে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘দু-একটা জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সমস্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। চট্টগ্রামের দুটি কেন্দ্রে গ-গোল হয়েছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দুটি অস্ত্র লুট করে নেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহে একটি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। ভৈরবে একটি কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। নোয়াখালীতে গ-গোল ও ব্যালট লুট করার চেষ্টা করেছিল। আমরা সেটা রোধ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনে ৪২ হাজারের বেশি কেন্দ্র রয়েছে। আমি মাত্র কয়েকটির কথা বললাম। এর পার্সেন্টেজ নিলে তা পয়েন্ট জিরোর কাছে হবে। বাকিগুলোতে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, র্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের আটক করা হচ্ছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০

ভোটের আগের রাতেই কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। গতকাল রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। ৮টায় ভোট শুরু হয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরুর কিছু নিয়মকানুন আছে। পোলিং এজেন্ট, প্রিসাইডিং অফিসার ও কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা আছে তারা সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে ভোটগ্রহণ শুরু করেনি।’
বিভিন্ন জেলায় ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে বাক্সভর্তি করার অভিযোগ তোলেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। তাদের পোলিং এজেন্টদের পুলিশ হয়রানি করেছে বলেও দাবি করেন।
গতকাল ভিকারুননিসা নূন স্কুল ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশপ্রধান। কোনো পোলিং এজেন্টকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার আসামি ও পরোয়ানা থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এফআইআরে যাদের নাম নেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তদন্তে নাম আসায়।
শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, ‘এখানে কানাডীয়, ভারতীয় ও নেপালি পর্যবেক্ষক ছিল। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারছে।’ বিএনপির এজেন্টদের বের করে দেওয়া ও গ্রেপ্তার নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘মাহবুব তালুকদার কিসের ভিত্তিতে বলেছেন সেটা আমি জানি না। আমি যেসব কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে সব দলের পোলিং এজেন্ট পেয়েছি। পুলিশ কোনো পোলিং এজেন্ট বা অন্য কাউকে অ্যারেস্ট করেনি।’ তিনি আরো বলেন, পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যারা এসেছে তাদের বসতে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশ নিয়েছে। যারা আসেনি তাদের খুঁজে নিয়ে আসার দায়-দায়িত্ব পুলিশের নয়।
মামলা বা চার্জশিটে নাম না থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ বলে একটা বিষয় আছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে নাম আসায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ভোটের দিনের অবস্থা জানিয়ে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘দু-একটা জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সমস্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। চট্টগ্রামের দুটি কেন্দ্রে গ-গোল হয়েছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দুটি অস্ত্র লুট করে নেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহে একটি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। ভৈরবে একটি কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। নোয়াখালীতে গ-গোল ও ব্যালট লুট করার চেষ্টা করেছিল। আমরা সেটা রোধ করেছি।’ তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনে ৪২ হাজারের বেশি কেন্দ্র রয়েছে। আমি মাত্র কয়েকটির কথা বললাম। এর পার্সেন্টেজ নিলে তা পয়েন্ট জিরোর কাছে হবে। বাকিগুলোতে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হয়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, র্যাব ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের আটক করা হচ্ছে।