আজ বই উৎসব
রশিদ আল রুহানী | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রতিবারের মতো এবারও নতুন বই তুলে দেওয়া হবে শিশুদের হাতে। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর দুটি স্থানে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের লক্ষাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতেই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হবে নতুন বই।
২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব উদ্যাপন করা হচ্ছে। এবার অনেক স্কুলেই নতুন বইয়ের সেট মিলিয়ে ফিতা দিয়ে বেঁধে আকর্ষণীয়ভাবে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে বই উৎসবের আয়োজন করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেবে। একই দিন সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বিনা মূল্যের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা দশমবারের মতো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বই ছাপার কাজ শেষ করে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০ কপি, প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯ কপি, বাঙালি ছাড়া অন্য নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪ কপি, ইবতেদায়ির ২ কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২৮৩ কপি এবং দাখিলের ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৪ কপি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। গত ১০ বছরে ২৯৬ কোটি কপি বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশে এরই মধ্যে শত ভাগ বই পৌঁছে গেছে। এ বছর ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি বই ছাপা হয়েছে। এই বিশালসংখ্যক বই ছাপানো ও যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়াটা একটা মহাযজ্ঞ। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় সার্বক্ষণিক এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন। সবার প্রচেষ্টায়ই আমরা সফলভাবে আমাদের কাজ শেষ করতে পেরেছি।’
এনসিটিবি সূত্র জানায়, তৃতীয় বারের মতো নিজেদের ভাষায় বই পাচ্ছে চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা। এত দিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও ছিল অবহেলিত। অনেকেরই পড়ার আগ্রহ থাকলেও বই জোগাড় করা সম্ভব হতো না। তাই ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে তাদেরও দেওয়া হচ্ছে বিনা মূল্যের ব্রেইল বই।
শেয়ার করুন
রশিদ আল রুহানী | ১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নতুন বছরের প্রথম দিনে প্রতিবারের মতো এবারও নতুন বই তুলে দেওয়া হবে শিশুদের হাতে। কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীর দুটি স্থানে বই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের লক্ষাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটিতেই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া হবে নতুন বই।
২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব উদ্যাপন করা হচ্ছে। এবার অনেক স্কুলেই নতুন বইয়ের সেট মিলিয়ে ফিতা দিয়ে বেঁধে আকর্ষণীয়ভাবে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে বই উৎসবের আয়োজন করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেবে। একই দিন সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বিনা মূল্যের বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা দশমবারের মতো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। বই ছাপার কাজ শেষ করে মাঠপর্যায়ে পাঠিয়ে দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
এনসিটিবি জানিয়েছে, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০ কপি, প্রাথমিক স্তরের ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯ কপি, বাঙালি ছাড়া অন্য নৃ-গোষ্ঠীর ভাষার ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪ কপি, ইবতেদায়ির ২ কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২৮৩ কপি এবং দাখিলের ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৪ কপি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এ জন্য খরচ পড়ছে প্রায় ১ হাজার ৮২ কোটি টাকা। গত ১০ বছরে ২৯৬ কোটি কপি বই দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশে এরই মধ্যে শত ভাগ বই পৌঁছে গেছে। এ বছর ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ কপি বই ছাপা হয়েছে। এই বিশালসংখ্যক বই ছাপানো ও যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়াটা একটা মহাযজ্ঞ। শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় সার্বক্ষণিক এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন। সবার প্রচেষ্টায়ই আমরা সফলভাবে আমাদের কাজ শেষ করতে পেরেছি।’
এনসিটিবি সূত্র জানায়, তৃতীয় বারের মতো নিজেদের ভাষায় বই পাচ্ছে চাকমা, মারমা, সাদ্রী, গারো ও ত্রিপুরা নৃ-গোষ্ঠীর শিশুরা। এত দিন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও ছিল অবহেলিত। অনেকেরই পড়ার আগ্রহ থাকলেও বই জোগাড় করা সম্ভব হতো না। তাই ২০১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে তাদেরও দেওয়া হচ্ছে বিনা মূল্যের ব্রেইল বই।