বছরজুড়ে স্বর্গরাজ্যে সন্ত্রাস কাশ্মীরে রেকর্ডসংখ্যক নিহত
রূপান্তর ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ২০১৮ সালে। নিহত এই লোকজনের মধ্যে জঙ্গি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। সর্বশেষ নববর্ষের আগেও পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী দুজনকে হত্যার কথা জানিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, তিন দশকের পুরোনো সহিংসতায় জম্মু-কাশ্মীরে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ সমস্যার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। এমন বাস্তবতায় কাশ্মীরের রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবেক হিমালয় রাজ্যে আগে থেকেই পাঁচ লাখ সেনার উপস্থিতি এবং এ বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের কারণে খুব দ্রুত রক্তপাত বন্ধের সম্ভাবনা নেই।
কাশ্মীরভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটির (জেকেসিসিএস) তালিকা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে রাজ্যে ৫৮৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৭ জঙ্গি, ৩১ শিশুসহ ১৬০ বেসামরিক নাগরিক, রাজ্য পুলিশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে। এ তালিকায় লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত আরো অনেকের হিসাব নেই।
জেকেসিসিএসের তালিকা অনুযায়ী, নিহত জঙ্গি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা গত এক দশকে সর্বোচ্চ। দুটি পক্ষের মধ্যে অন্তত ৮০০ সংঘর্ষ হয়েছে।
এ পরিসংখ্যানে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রিত হতে চাওয়া সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিধনে ‘অপারেশন অল-আউট’ নামে সরকারি সাঁড়াশি অভিযানের প্রভাবকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর ভারতীয় বাহিনীর ২০ জনের আত্মহত্যার খবর নথিভুক্ত হয়েছে, যা এক দশকে সর্বোচ্চ। ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১ কোটি ২৫ লাখ বাসিন্দার রাজ্যে জঙ্গিদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জোর সমর্থন আছে জনগণের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বিষয়ে কট্টর অবস্থানে আছে। বিশ্লেষকদের মতে, ফের ক্ষমতায় আসতে চাওয়া বিজেপি আগামী দিনগুলোতে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শনে কোনো কমতি দেখাবে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, ‘আগামী বছর কিংবা সামনের সময়ে কোনো পরিবর্তন দেখছি না। জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকবে।’
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ২০১৮ সালে। নিহত এই লোকজনের মধ্যে জঙ্গি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। সর্বশেষ নববর্ষের আগেও পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারী দুজনকে হত্যার কথা জানিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, তিন দশকের পুরোনো সহিংসতায় জম্মু-কাশ্মীরে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ সমস্যার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। এমন বাস্তবতায় কাশ্মীরের রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাবেক হিমালয় রাজ্যে আগে থেকেই পাঁচ লাখ সেনার উপস্থিতি এবং এ বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের কারণে খুব দ্রুত রক্তপাত বন্ধের সম্ভাবনা নেই।
কাশ্মীরভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর কোয়ালিশন অব সিভিল সোসাইটির (জেকেসিসিএস) তালিকা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে রাজ্যে ৫৮৬ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২৬৭ জঙ্গি, ৩১ শিশুসহ ১৬০ বেসামরিক নাগরিক, রাজ্য পুলিশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য রয়েছে। এ তালিকায় লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত আরো অনেকের হিসাব নেই।
জেকেসিসিএসের তালিকা অনুযায়ী, নিহত জঙ্গি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা গত এক দশকে সর্বোচ্চ। দুটি পক্ষের মধ্যে অন্তত ৮০০ সংঘর্ষ হয়েছে।
এ পরিসংখ্যানে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে একত্রিত হতে চাওয়া সশস্ত্র সংগঠনগুলো নিধনে ‘অপারেশন অল-আউট’ নামে সরকারি সাঁড়াশি অভিযানের প্রভাবকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, গত বছর ভারতীয় বাহিনীর ২০ জনের আত্মহত্যার খবর নথিভুক্ত হয়েছে, যা এক দশকে সর্বোচ্চ। ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১ কোটি ২৫ লাখ বাসিন্দার রাজ্যে জঙ্গিদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জোর সমর্থন আছে জনগণের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার কাশ্মীর ও পাকিস্তানের বিষয়ে কট্টর অবস্থানে আছে। বিশ্লেষকদের মতে, ফের ক্ষমতায় আসতে চাওয়া বিজেপি আগামী দিনগুলোতে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শনে কোনো কমতি দেখাবে না।
এ বিষয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, ‘আগামী বছর কিংবা সামনের সময়ে কোনো পরিবর্তন দেখছি না। জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যেই থাকবে।’