সাংবাদিকদের কাদের শপথ না নিলে জনগণের রায়কে অসম্মান করা হবে
| ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০
নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এমনটি না হলে জনগণের রায়কে অপমান ও অসম্মান করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) গতবার নির্বাচন বর্জন করে ভুল করেছে। এর মধ্যে যে কয়জন নির্বাচিত হয়েছেন, তারা জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা যেন জনগণের রায়কে অসম্মান না করেন। এবার জনগণ যে রায় তাদের দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্ট থাকা তাদের ব্যাপার।’ এ সময় তিনি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আবার ‘ভুল’ না করার পরামর্শ দেন।
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের ঘোষণাকে কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দেশে আন্দোলন করার মতো কোনো অবজেকটিভ কন্ডিশনে নেই এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মতো কোনো সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও তাদের নেই। এ অবস্থায় আন্দোলনের সূত্র তাদের বিরুদ্ধে। আন্দোলন করতে হলে সে রকম চেতনা দরকার, সে রকম মানসিকতা দরকার, সুসংগঠিত করতে সে রকম প্রস্তুতি দরকার। সেই প্রস্তুতিটা তাদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। যদি থাকত, তাহলে তারা সারা দেশে তাৎক্ষণিক একটা মিছিল করতে পারত। এ রকমটাও দেখলাম না।’
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পায়। বিপরীতে ধানের শীষের প্রার্থীরা পায় মাত্র সাতটি আসন। অসম এ ফলের পর বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তাদের নেতাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? এত নার্ভাস! তারা হতাশায় ভেঙে পড়েছেন। নেতারাই হতাশায় ভেঙে পড়েছেন। কর্মীরা কীভাবে আশাবাদী হবে? কর্মীদের মধ্যে কীভাবে গতি আসবে?’
বিএনপির ফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে আপত্তি তারা করেছে, এর একটা প্রতিবাদও কোথাও দেখলাম না। বিএনপি নেত্রী জেলে। তার পরও তারা কোনো সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। বিএনপি অচিরেই কোনো আন্দোলন গড়ে তুলবেÑ এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
শেয়ার করুন
| ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০

নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জয়ীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এমনটি না হলে জনগণের রায়কে অপমান ও অসম্মান করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) গতবার নির্বাচন বর্জন করে ভুল করেছে। এর মধ্যে যে কয়জন নির্বাচিত হয়েছেন, তারা জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা যেন জনগণের রায়কে অসম্মান না করেন। এবার জনগণ যে রায় তাদের দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্ট থাকা তাদের ব্যাপার।’ এ সময় তিনি ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের আবার ‘ভুল’ না করার পরামর্শ দেন।
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের ঘোষণাকে কীভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দেশে আন্দোলন করার মতো কোনো অবজেকটিভ কন্ডিশনে নেই এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মতো কোনো সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও তাদের নেই। এ অবস্থায় আন্দোলনের সূত্র তাদের বিরুদ্ধে। আন্দোলন করতে হলে সে রকম চেতনা দরকার, সে রকম মানসিকতা দরকার, সুসংগঠিত করতে সে রকম প্রস্তুতি দরকার। সেই প্রস্তুতিটা তাদের মধ্যে আছে বলে মনে হয় না। যদি থাকত, তাহলে তারা সারা দেশে তাৎক্ষণিক একটা মিছিল করতে পারত। এ রকমটাও দেখলাম না।’
গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পায়। বিপরীতে ধানের শীষের প্রার্থীরা পায় মাত্র সাতটি আসন। অসম এ ফলের পর বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তাদের নেতাদের চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখেছেন? এত নার্ভাস! তারা হতাশায় ভেঙে পড়েছেন। নেতারাই হতাশায় ভেঙে পড়েছেন। কর্মীরা কীভাবে আশাবাদী হবে? কর্মীদের মধ্যে কীভাবে গতি আসবে?’
বিএনপির ফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যে আপত্তি তারা করেছে, এর একটা প্রতিবাদও কোথাও দেখলাম না। বিএনপি নেত্রী জেলে। তার পরও তারা কোনো সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। বিএনপি অচিরেই কোনো আন্দোলন গড়ে তুলবেÑ এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’