দূরের গ্রহাণুতে নামল জাপানি মহাকাশযান
রূপান্তর ডেস্ক | ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০
বহু দূরের গ্রহাণু রিউগোতে একটি মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের রহস্য জানতে দূরের কোনো গ্রহাণুতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অবতরণ করেছে জাপানি মহাকাশযান। বুধবার সকালে জাপানি মহাকাশ সংস্থা ‘দ্য জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’ (জেএএক্সএ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সুখবরটি দিয়েছে।
একটি টুইট বার্তায় জেএএক্সএ বলে, ‘কোনো ঝামেলা ছাড়াই মহাকাশযান হায়াবোসা-টু গ্রহাণুতে পৌঁছেছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই এটি গ্রহাণুকে স্পর্শ করেছে। প্রকল্পের ম্যানেজার সুদা এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছেন।’ অবতরণের পর হায়াবোসা-টু-এর প্রথম কাজ হবে গ্রহাণুটির ভূপৃষ্ঠ গর্ত করে গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা। জাপানি বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই নমুনা সৌরজগতের বিবর্তন সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষকে চমকপ্রদ তথ্য দেবে।
জাপানি মহাকাশ সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, যদি এই অভিযান সফল হয় তবে এটিই হবে দূরের কোনো গ্রহাণুর গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রথম ঘটনা। শুধু তাই নয়, ওই গ্রহাণুতে মহাকাশযান পৌঁছে যাওয়াও বিশাল এক সফলতা। রিউগো নামে ওই গ্রহাণুটি প্রায় ১ কিলোমিটার (৯১৪ মিটার) প্রশস্ত এবং পৃথিবী থেকে
এটি প্রায় ১ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৯৯ সালের ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে অবস্থিত একটি গ্রহাণু গবেষণা কেন্দ্র থেকে একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রথমবারের মতো এই গ্রহাণুটিকে আবিষ্কার করেছিলেন। পরে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এর নাম রাখা হয় ‘রিউগো’ (ৎুঁমঁ)। জাপানি লোকসাহিত্যে সমুদ্রের নিচে অবস্থিত একটি ড্রাগনের প্রাসাদকে বলা হয় রিউগো। উপকথা অনুযায়ী, উরাশিমা তারো নামে এক জেলে একটি কচ্ছপের পিঠে চড়ে রিউগোতে পৌঁছায়। একটি রহস্যময় বাক্স নিয়ে সে ওই প্রাসাদ থেকে ফিরে আসে।
রিউগো অভিযানে রূপকথাই জাপানিদের অনুপ্রেরণা। তারা আশা করছে, রূপকথার জেলে উরাশিমা তারোর মতো মহাকাশযান ‘হায়াবোসা-টু’ও রহস্যময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
হায়াবোসা-টু প্রথমবারের মতো ওই গ্রহাণুতে পৌঁছেছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি রিউগো থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে ফিরে আসবে এবং আগামী বছরের শেষ নাগাদ এটি পৃথিবীতে পৌঁছে যাবে। সঙ্গে করে নিয়ে আসবে রিউগোর নানা পাথর, মাটি কিংবা এমন আরও অনেক নমুনা। জাপানি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রিউগোতে পৌঁছতে এর যত সময় লেগেছে আসার সময় আরও কম সময়ে এটি পৃথিবীতে চলে আসবে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০

বহু দূরের গ্রহাণু রিউগোতে একটি মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছেন জাপানি বিজ্ঞানীরা। সৌরজগতের রহস্য জানতে দূরের কোনো গ্রহাণুতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অবতরণ করেছে জাপানি মহাকাশযান। বুধবার সকালে জাপানি মহাকাশ সংস্থা ‘দ্য জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি’ (জেএএক্সএ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই সুখবরটি দিয়েছে।
একটি টুইট বার্তায় জেএএক্সএ বলে, ‘কোনো ঝামেলা ছাড়াই মহাকাশযান হায়াবোসা-টু গ্রহাণুতে পৌঁছেছে। পূর্বনির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই এটি গ্রহাণুকে স্পর্শ করেছে। প্রকল্পের ম্যানেজার সুদা এই সাফল্যের কথা ঘোষণা করেছেন।’ অবতরণের পর হায়াবোসা-টু-এর প্রথম কাজ হবে গ্রহাণুটির ভূপৃষ্ঠ গর্ত করে গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা। জাপানি বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই নমুনা সৌরজগতের বিবর্তন সম্পর্কে পৃথিবীর মানুষকে চমকপ্রদ তথ্য দেবে।
জাপানি মহাকাশ সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, যদি এই অভিযান সফল হয় তবে এটিই হবে দূরের কোনো গ্রহাণুর গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহের প্রথম ঘটনা। শুধু তাই নয়, ওই গ্রহাণুতে মহাকাশযান পৌঁছে যাওয়াও বিশাল এক সফলতা। রিউগো নামে ওই গ্রহাণুটি প্রায় ১ কিলোমিটার (৯১৪ মিটার) প্রশস্ত এবং পৃথিবী থেকে
এটি প্রায় ১ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৯৯ সালের ১০ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে অবস্থিত একটি গ্রহাণু গবেষণা কেন্দ্র থেকে একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রথমবারের মতো এই গ্রহাণুটিকে আবিষ্কার করেছিলেন। পরে ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এর নাম রাখা হয় ‘রিউগো’ (ৎুঁমঁ)। জাপানি লোকসাহিত্যে সমুদ্রের নিচে অবস্থিত একটি ড্রাগনের প্রাসাদকে বলা হয় রিউগো। উপকথা অনুযায়ী, উরাশিমা তারো নামে এক জেলে একটি কচ্ছপের পিঠে চড়ে রিউগোতে পৌঁছায়। একটি রহস্যময় বাক্স নিয়ে সে ওই প্রাসাদ থেকে ফিরে আসে।
রিউগো অভিযানে রূপকথাই জাপানিদের অনুপ্রেরণা। তারা আশা করছে, রূপকথার জেলে উরাশিমা তারোর মতো মহাকাশযান ‘হায়াবোসা-টু’ও রহস্যময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
হায়াবোসা-টু প্রথমবারের মতো ওই গ্রহাণুতে পৌঁছেছিল ২০১৮ সালের জুন মাসে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এটি রিউগো থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে ফিরে আসবে এবং আগামী বছরের শেষ নাগাদ এটি পৃথিবীতে পৌঁছে যাবে। সঙ্গে করে নিয়ে আসবে রিউগোর নানা পাথর, মাটি কিংবা এমন আরও অনেক নমুনা। জাপানি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রিউগোতে পৌঁছতে এর যত সময় লেগেছে আসার সময় আরও কম সময়ে এটি পৃথিবীতে চলে আসবে।