বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবার প্রশংসা রানী ম্যাক্সিমার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। একই সঙ্গে তিনি আর্থিক সেবায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেশের বেসরকারি খাতে র প্রতিনিধিদের সঙ্গে একবৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাসসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে এমন ইকো-সিস্টেম ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে, যাতে শতভাগ শ্রমিককে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা যায়। এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রানী বলেছেন, প্রয়োজন হলে বিশ্বের যেসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিয়ে ভালো কাজ করছে, তাদের সঙ্গে কারিগরি জ্ঞান বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তিনি সহায়তা করার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া রানী ম্যক্সিমা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ জোরদারে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে জানান।
রানী ম্যাক্সিমাকে উদ্ধৃত করে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তবে আর্থিক সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এখনো লিঙ্গবৈষম্য রয়ে গেছে। পুরুষদের তুলনায় নারীরা ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ব্যাংকিং সেবা প্রাপ্তিতে পিছিয়ে আছে। এই বৈষম্য কমাতে আর্থিক লেনদেনব্যবস্থা আরও কীভাবে ডিজিটালাইজ করা যায়, এ নিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রানী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। এদের কেবল অনলাইনে বেতন পরিশোধ করলে চলবে না। শ্রমিকরা যেন তাদের কেনাকাটা বা অন্যান্য লেনদেন অনলাইনে করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি সহায়তা করবেন।
রানী ম্যাক্সিমা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির বিশেষ পরামর্শক। তিনি ৯ জুলাই তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০

ডিজিটাল আর্থিক সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা জরিগুয়েতা সেরুতি। একই সঙ্গে তিনি আর্থিক সেবায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেশের বেসরকারি খাতে র প্রতিনিধিদের সঙ্গে একবৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাসসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে এমন ইকো-সিস্টেম ব্যবস্থা দাঁড় করাতে হবে, যাতে শতভাগ শ্রমিককে ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসা যায়। এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। রানী বলেছেন, প্রয়োজন হলে বিশ্বের যেসব প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিয়ে ভালো কাজ করছে, তাদের সঙ্গে কারিগরি জ্ঞান বিনিময়ের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে তিনি সহায়তা করার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া রানী ম্যক্সিমা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ জোরদারে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে জানান।
রানী ম্যাক্সিমাকে উদ্ধৃত করে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে বড় অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তবে আর্থিক সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এখনো লিঙ্গবৈষম্য রয়ে গেছে। পুরুষদের তুলনায় নারীরা ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ব্যাংকিং সেবা প্রাপ্তিতে পিছিয়ে আছে। এই বৈষম্য কমাতে আর্থিক লেনদেনব্যবস্থা আরও কীভাবে ডিজিটালাইজ করা যায়, এ নিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
রানী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতে ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে। এদের কেবল অনলাইনে বেতন পরিশোধ করলে চলবে না। শ্রমিকরা যেন তাদের কেনাকাটা বা অন্যান্য লেনদেন অনলাইনে করতে পারে, সে ধরনের ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি সহায়তা করবেন।
রানী ম্যাক্সিমা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স ফর ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির বিশেষ পরামর্শক। তিনি ৯ জুলাই তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন।