সংবাদ সম্মেলনে দাবি
রোহিঙ্গাদের মোবাইল সেবা বন্ধের নির্দেশনা অকার্যকর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রি, সিম ব্যবহার, এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহারসহ ইন্টারনেট ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা বিটিআরসি দিয়েছিল তা কার্যকর হয়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নির্মল সেন মিলনায়তনে রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ/ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত বিটিআরসির নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। গত ৩১ আগস্ট গণমাধ্যমে ‘অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা’ শিরোনামে একটি বিবৃতি পাঠানোর পর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিটিআরসিকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয় সরকার। বিটিআরসি অপারেটরদেরকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধাদি না দিতে নির্দেশনা দেয়। পরের দিন আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ থাকবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ থাকবে। একটি অবৈধ সেবা গ্রহণ করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নাগরিকগণ সংগঠিত হচ্ছে, অপরাধ করছে এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে।’
এ অবস্থায় ৭ দিন দূরে থাক এক ঘণ্টার জন্য বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে কি না বা তাদের সেই ক্ষমতা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারা ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ১২টি ক্যাম্প পরিদর্শন করে দেখেছে রোহিঙ্গারা অবাধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। যদিও নির্দেশনার প্রথম দিন ইন্টারনেটের গতি অনেক জায়গায় কম ছিল। কিন্তু বিটিআরসির নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সময় শেষ হওয়ার পরই নিবন্ধন করতে ব্যর্থ সকল সিম বন্ধ করা হয়েছিল। দুই মাস আগেও কয়েক লাখ সিম বন্ধ করা হয়েছে। অথচ রোহিঙ্গাদের বেলায় সাত কার্যদিবসেও কেন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেল না, তা আমরা জানতে চাই।
এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের অবৈধ টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধে ৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রি, সিম ব্যবহার, এমনকি মোবাইল ফোন ব্যবহারসহ ইন্টারনেট ব্যবহারে যে নিষেধাজ্ঞা বিটিআরসি দিয়েছিল তা কার্যকর হয়নি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নির্মল সেন মিলনায়তনে রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ/ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কিত বিটিআরসির নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। গত ৩১ আগস্ট গণমাধ্যমে ‘অবৈধভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহার করে সংগঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা’ শিরোনামে একটি বিবৃতি পাঠানোর পর বিষয়টি আমলে নিয়ে বিটিআরসিকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয় সরকার। বিটিআরসি অপারেটরদেরকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো প্রকার সিম বিক্রি ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধাদি না দিতে নির্দেশনা দেয়। পরের দিন আরেক নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় থ্রিজি ও ফোরজি সেবা বন্ধ থাকবে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ থাকবে। একটি অবৈধ সেবা গ্রহণ করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী নাগরিকগণ সংগঠিত হচ্ছে, অপরাধ করছে এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে।’
এ অবস্থায় ৭ দিন দূরে থাক এক ঘণ্টার জন্য বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা দিতে পারে কি না বা তাদের সেই ক্ষমতা আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তারা ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ১২টি ক্যাম্প পরিদর্শন করে দেখেছে রোহিঙ্গারা অবাধে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। যদিও নির্দেশনার প্রথম দিন ইন্টারনেটের গতি অনেক জায়গায় কম ছিল। কিন্তু বিটিআরসির নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি বলে মনে করে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের সময় শেষ হওয়ার পরই নিবন্ধন করতে ব্যর্থ সকল সিম বন্ধ করা হয়েছিল। দুই মাস আগেও কয়েক লাখ সিম বন্ধ করা হয়েছে। অথচ রোহিঙ্গাদের বেলায় সাত কার্যদিবসেও কেন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা গেল না, তা আমরা জানতে চাই।
এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের অবৈধ টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধে ৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়।