এবারও শূন্য খাতা জমা দিলেন সুদীপ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
এবারও শূন্য খাতা জমা দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে এলেন বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুদীপ দাস। গতকাল শুক্রবার ১৩তম সহকারী জজ নিয়োগের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা হয়। শুধু ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন) শিট ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এক ঘণ্টা রাজধানীর মগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বসে থেকে চলে আসেন তিনি।
এর আগে ২০১৮ সালেও শ্রুতিলেখকের সুবিধা না মেলায় সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় শুধু খাতায় স্বাক্ষর করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুদীপ। ২০১৭ সালে প্রবেশপত্র নিলেও শ্রুতিলিখন পদ্ধতির সুযোগ না থাকায় অভিমানে পরীক্ষাকেন্দ্রেই যাননি তিনি।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে এ পরীক্ষায় শ্রুতিলিখন পদ্ধতির সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুদীপ। বিধান নেই জানিয়ে তার আবেদনে সাড়া দেয়নি সংস্থাটি। এরপর গত বুধবার সুদীপের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। পরদিন তার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় আদালত।
ময়নসিংহের নান্দাইলের চন্ডিপাশা গ্রামের সুদীপ দাস ছোটবেলা থেকেই চোখের রেটিনা সমস্যার কারণে প্রায় অন্ধ। স্বজন ও বন্ধুদের সহযোগিতায় শ্রুতিলিখন পদ্ধতিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ২০১৪ সালে শ্রুতিলিখন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে আইনে স্নাতক (এলএলবি) ও ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর (এলএলএম) সম্পন্ন করেন তিনি।
গতকাল সুদীপ দাস দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পরীক্ষার হলে এক বন্ধুর সহায়তায় ওএমআর শিট পূরণ ও তাতে স্বাক্ষর করি। এরপর কেন্দ্রের পরিদর্শকের সহায়তায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি। এক ঘণ্টার পরীক্ষার পুরোটা সময় হলেই ছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তর লিখিনি।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

এবারও শূন্য খাতা জমা দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে এলেন বিচারক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুদীপ দাস। গতকাল শুক্রবার ১৩তম সহকারী জজ নিয়োগের প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা হয়। শুধু ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন) শিট ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এক ঘণ্টা রাজধানীর মগবাজারের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে বসে থেকে চলে আসেন তিনি।
এর আগে ২০১৮ সালেও শ্রুতিলেখকের সুবিধা না মেলায় সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় শুধু খাতায় স্বাক্ষর করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুদীপ। ২০১৭ সালে প্রবেশপত্র নিলেও শ্রুতিলিখন পদ্ধতির সুযোগ না থাকায় অভিমানে পরীক্ষাকেন্দ্রেই যাননি তিনি।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে এ পরীক্ষায় শ্রুতিলিখন পদ্ধতির সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুদীপ। বিধান নেই জানিয়ে তার আবেদনে সাড়া দেয়নি সংস্থাটি। এরপর গত বুধবার সুদীপের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। পরদিন তার আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয় আদালত।
ময়নসিংহের নান্দাইলের চন্ডিপাশা গ্রামের সুদীপ দাস ছোটবেলা থেকেই চোখের রেটিনা সমস্যার কারণে প্রায় অন্ধ। স্বজন ও বন্ধুদের সহযোগিতায় শ্রুতিলিখন পদ্ধতিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। ২০১৪ সালে শ্রুতিলিখন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়ে আইনে স্নাতক (এলএলবি) ও ২০১৬ সালে স্নাতকোত্তর (এলএলএম) সম্পন্ন করেন তিনি।
গতকাল সুদীপ দাস দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পরীক্ষার হলে এক বন্ধুর সহায়তায় ওএমআর শিট পূরণ ও তাতে স্বাক্ষর করি। এরপর কেন্দ্রের পরিদর্শকের সহায়তায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করি। এক ঘণ্টার পরীক্ষার পুরোটা সময় হলেই ছিলাম। কিন্তু কোনো উত্তর লিখিনি।’