সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল দুদক
১০ বছর বিদ্যুৎ বিল দেন না কাউন্সিলর আজিজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
বিল না দিয়েই ১০ বছর ধরে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজ। তার কাছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বারবার তাগাদা দিয়েও ডিএসসিসির এ প্রভাবশালী কাউন্সিলরের কাছ থেকে বকেয়া এই মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতে পারছিল না ডিপিডিসি। অবশেষে গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে আজিজের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম দেশ রূপান্তরকে জানান, ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল
ইসলামের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল কাউন্সিলর আজিজের বাড়িতে অভিযানে যায়। তিনি গত ১০ বছর ধরে কোনো বিল না দিলেও ডিপিডিসি কর্র্তৃপক্ষ তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। ডিপিডিসি দুদককে বলেছে, আজিজ আদালতে আবেদনের মাধ্যমে তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিল দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন।
অভিযানে যাওয়া দুদকের দলটি বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে ডিপিডিসিকে অনুরোধ করেছে বলেও জানান দুদক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভুয়া একটি হোল্ডিং নম্বরের ভুয়া বিল আমাদের ২৭টি পরিবারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ডিপিডিসি। সে কারণে ২৭টি পরিবারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি যুক্তিযুক্ত মনে করায় বিষয়টি নিয়ে স্থিতাবস্থা দিয়েছে। আদালতেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।’
উত্তরখান ভূমি অফিসে অভিযান : রাজধানীর উত্তরখানে ভূমি নামজারিতে হয়রানির অভিযোগ পেয়ে সেখানে আলাদা অভিযানে যায় দুদকের আরেকটি দল। সংস্থার সহকারী পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী ও উপসহকারী পরিচালক সোমা হোড় এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
দুদক জানিয়েছে, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে উত্তরখান ভূমি অফিসে অভিযান চালানো হয়। তিন মাস আগে জমির নামজারির আবেদন করলেও নানা টালবাহানা করে ওই অভিযোগকারীর আবেদনটি ফেলে রাখা হয়। এর ভিত্তিতে তথ্যানুসন্ধানে উত্তরখান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পায় দুদকের দলটি। দুদক দলের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তাৎক্ষণিক কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। পরে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিলম্বে অভিযোগকারীর নামজারির কার্যক্রম শেষ হবে মর্মে দুদক দলকে জানান।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

বিল না দিয়েই ১০ বছর ধরে বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজ। তার কাছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। বারবার তাগাদা দিয়েও ডিএসসিসির এ প্রভাবশালী কাউন্সিলরের কাছ থেকে বকেয়া এই মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতে পারছিল না ডিপিডিসি। অবশেষে গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়ে আজিজের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম দেশ রূপান্তরকে জানান, ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মনিরুল
ইসলামের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল কাউন্সিলর আজিজের বাড়িতে অভিযানে যায়। তিনি গত ১০ বছর ধরে কোনো বিল না দিলেও ডিপিডিসি কর্র্তৃপক্ষ তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। ডিপিডিসি দুদককে বলেছে, আজিজ আদালতে আবেদনের মাধ্যমে তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিল দেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন।
অভিযানে যাওয়া দুদকের দলটি বকেয়া আদায়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে ডিপিডিসিকে অনুরোধ করেছে বলেও জানান দুদক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ওমর বিন আবদাল আজিজ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ভুয়া একটি হোল্ডিং নম্বরের ভুয়া বিল আমাদের ২৭টি পরিবারের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ডিপিডিসি। সে কারণে ২৭টি পরিবারের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। আদালত আবেদনটি যুক্তিযুক্ত মনে করায় বিষয়টি নিয়ে স্থিতাবস্থা দিয়েছে। আদালতেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।’
উত্তরখান ভূমি অফিসে অভিযান : রাজধানীর উত্তরখানে ভূমি নামজারিতে হয়রানির অভিযোগ পেয়ে সেখানে আলাদা অভিযানে যায় দুদকের আরেকটি দল। সংস্থার সহকারী পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনী ও উপসহকারী পরিচালক সোমা হোড় এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
দুদক জানিয়েছে, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে উত্তরখান ভূমি অফিসে অভিযান চালানো হয়। তিন মাস আগে জমির নামজারির আবেদন করলেও নানা টালবাহানা করে ওই অভিযোগকারীর আবেদনটি ফেলে রাখা হয়। এর ভিত্তিতে তথ্যানুসন্ধানে উত্তরখান ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার গাফিলতির প্রমাণ পায় দুদকের দলটি। দুদক দলের পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তাৎক্ষণিক কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়। পরে ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অবিলম্বে অভিযোগকারীর নামজারির কার্যক্রম শেষ হবে মর্মে দুদক দলকে জানান।