ছাত্রলীগ নেতা সোহেল হত্যা
কাউন্সিলরসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহাম্মেদ ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ৫২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মহানগরীর পাহাড়তলী বাজারে প্রায় দশ মাস আগে খুন হন সোহেল। সে সময় গণপিটুনিতে সোহেল মারা গেছেন বলে প্রচারণা চালিয়েছিল একটি মহল। অভিযোগপত্রে মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে
হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন গতকাল মঙ্গলবার আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন। ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ দেশ রূপান্তরকে বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ ২৭ জনসহ মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে চার্জশিটে। এর মধ্যে ৩৫ জনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তারা কারাগারে আছেন। বাকি ১৭ জন এখনো পলাতক।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যার পর গণপিটুনি নিহত আখ্যায়িত করে হত্যাকারীরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তদন্তে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমদ ও জাতীয় পার্টি নেতা ওসমানসহ কয়েকজন এ হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর পাহাড়তলী বাজারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেলকে। ঘটনার পর চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তিনি মারা যান বলে প্রচারণা চালানো হয়। পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সোহেলকে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের, জাতীয় পার্টি নেতা ওসমান খানসহ কয়েকজনের যোগসাজশে পারিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একই দিন নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন।
শেয়ার করুন
চট্টগ্রাম ব্যুরো | ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহাম্মেদ ও জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ৫২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মহানগরীর পাহাড়তলী বাজারে প্রায় দশ মাস আগে খুন হন সোহেল। সে সময় গণপিটুনিতে সোহেল মারা গেছেন বলে প্রচারণা চালিয়েছিল একটি মহল। অভিযোগপত্রে মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে
হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন গতকাল মঙ্গলবার আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় এ চার্জশিট জমা দেন। ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ দেশ রূপান্তরকে বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখ ২৭ জনসহ মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে চার্জশিটে। এর মধ্যে ৩৫ জনকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তারা কারাগারে আছেন। বাকি ১৭ জন এখনো পলাতক।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মহিউদ্দিন সোহেলকে হত্যার পর গণপিটুনি নিহত আখ্যায়িত করে হত্যাকারীরা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তদন্তে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলেই সাক্ষ্যপ্রমাণ মিলেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমদ ও জাতীয় পার্টি নেতা ওসমানসহ কয়েকজন এ হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে নগরীর পাহাড়তলী বাজারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেলকে। ঘটনার পর চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তিনি মারা যান বলে প্রচারণা চালানো হয়। পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে সোহেলকে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের, জাতীয় পার্টি নেতা ওসমান খানসহ কয়েকজনের যোগসাজশে পারিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। একই দিন নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশির বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন।