মৃত বাবার মেসেজ সূত্রে জন্ম নেওয়া শিশু
রূপান্তর ডেস্ক | ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
লেনি কেহন্ট ও জেরেমি কেহন্ট দম্পতি সন্তানের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। তবে তার আগে স্বামী জেরেমি যেন ধূমপান ছেড়ে দেন, সেজন্য নিয়মিত তাকে অনুরোধ করতেন স্ত্রী লেনি। ২০১৬ সালের মে মাসে স্ত্রী লেনিকে পাঠানো এক টেক্সট মেসেজে জেরেমি প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি ধূমপান ছেড়ে দেবেন। ওই মেসেজে স্ত্রীর কাছে আরেকটি অদ্ভzত অনুরোধও করেন জেরেমি। তিনি লেখেন, আমি যদি কখনো মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে কোমায় চলে যাই অথবা ব্রেইন ডেড হয়ে যাই, তাহলে আমাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁচিয়ে রাখবে এবং আমার শুক্রাণু নিয়ে সন্তান জন্ম দেবে। তার সেই মেজেস অনুসারেই তার মৃত্যুর পর জন্ম নিয়েছে তারই সন্তান।
সে সময় লেনি চিন্তাও করতে পারেননি যে, কয়েক দিনের ম্যধেই তাকে এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। ওই টেক্সট মেসেজ পাওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জেরেমি কেহন্টের।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই জেরেমির পাঠানো টেক্সট মেসেজের কথা মনে পড়ে লেনির। তিনি বিবিসিকে বলেন, জেরেমির মৃত্যুর রেশ কাটার আগেই আমার স্বাভাবিকভাবেই ওই টেক্সট মেসেজটির কথা মনে পড়ে। আমার পাশে সে সময় আমার মা, খালা ও বন্ধু ছিল। আমি তখনই তাদের টেক্সট মেসেজটি দেখাই এবং জানাই যে, আমি এই চেষ্টা করে দেখতে চাই।
কিন্তু ততক্ষণে জেরেমির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। লেনি তখনও নিশ্চিত ছিলেন না যে, তার শরীর থেকে শুত্রাণু নেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না। সে সময় ইউরোলজিস্ট ক্যাপি রথম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
ডাক্তার রথম্যানও নিশ্চিত ছিলেন না যে, জেরেমির দেহ থেকে শুক্রাণু নিয়ে এলেই কার্যকরভাবে তা লেনির ডিম্বাণুতে প্রবেশ করিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে কি না। ডাক্তার রথম্যান বলেন, শুক্রাণু ৩২ বছর সংরক্ষণ করে রাখার পরও তা থেকে সন্তান জন্ম নিতে পারে, কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা আগে মৃত ব্যক্তির শুক্রাণু কতটা কার্যকরভাবে কাজ করবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল আমার।
তারপরও জেরেমির মৃত্যুর ৪৪ ঘণ্টা পর তার বীর্য নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু তার শুক্রাণু তখনও জীবিত রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সবাই। সন্দেহের অবসান ঘটে জেরেমির মৃত্যুর ১১ মাস পর, যখন তার ও লেনির একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তখন।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০

লেনি কেহন্ট ও জেরেমি কেহন্ট দম্পতি সন্তানের জন্য পরিকল্পনা করছিলেন। তবে তার আগে স্বামী জেরেমি যেন ধূমপান ছেড়ে দেন, সেজন্য নিয়মিত তাকে অনুরোধ করতেন স্ত্রী লেনি। ২০১৬ সালের মে মাসে স্ত্রী লেনিকে পাঠানো এক টেক্সট মেসেজে জেরেমি প্রতিজ্ঞা করেন যে, তিনি ধূমপান ছেড়ে দেবেন। ওই মেসেজে স্ত্রীর কাছে আরেকটি অদ্ভzত অনুরোধও করেন জেরেমি। তিনি লেখেন, আমি যদি কখনো মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে কোমায় চলে যাই অথবা ব্রেইন ডেড হয়ে যাই, তাহলে আমাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাঁচিয়ে রাখবে এবং আমার শুক্রাণু নিয়ে সন্তান জন্ম দেবে। তার সেই মেজেস অনুসারেই তার মৃত্যুর পর জন্ম নিয়েছে তারই সন্তান।
সে সময় লেনি চিন্তাও করতে পারেননি যে, কয়েক দিনের ম্যধেই তাকে এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে। ওই টেক্সট মেসেজ পাওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জেরেমি কেহন্টের।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই জেরেমির পাঠানো টেক্সট মেসেজের কথা মনে পড়ে লেনির। তিনি বিবিসিকে বলেন, জেরেমির মৃত্যুর রেশ কাটার আগেই আমার স্বাভাবিকভাবেই ওই টেক্সট মেসেজটির কথা মনে পড়ে। আমার পাশে সে সময় আমার মা, খালা ও বন্ধু ছিল। আমি তখনই তাদের টেক্সট মেসেজটি দেখাই এবং জানাই যে, আমি এই চেষ্টা করে দেখতে চাই।
কিন্তু ততক্ষণে জেরেমির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। লেনি তখনও নিশ্চিত ছিলেন না যে, তার শরীর থেকে শুত্রাণু নেওয়া আদৌ সম্ভব হবে কি না। সে সময় ইউরোলজিস্ট ক্যাপি রথম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
ডাক্তার রথম্যানও নিশ্চিত ছিলেন না যে, জেরেমির দেহ থেকে শুক্রাণু নিয়ে এলেই কার্যকরভাবে তা লেনির ডিম্বাণুতে প্রবেশ করিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে কি না। ডাক্তার রথম্যান বলেন, শুক্রাণু ৩২ বছর সংরক্ষণ করে রাখার পরও তা থেকে সন্তান জন্ম নিতে পারে, কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা আগে মৃত ব্যক্তির শুক্রাণু কতটা কার্যকরভাবে কাজ করবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল আমার।
তারপরও জেরেমির মৃত্যুর ৪৪ ঘণ্টা পর তার বীর্য নিষ্কাশন করা হয়। কিন্তু তার শুক্রাণু তখনও জীবিত রয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সবাই। সন্দেহের অবসান ঘটে জেরেমির মৃত্যুর ১১ মাস পর, যখন তার ও লেনির একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তখন।