ওয়েবসাইটে তথ্যবিভ্রাটে বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা
ববি প্রতিনিধি | ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক শিক্ষার্থী বিষয় নির্বাচনের তালিকা নিয়ে ওয়েবসাইটের তথ্যবিভ্রাটের বিপাকে পড়েছেন। গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১১ জানুয়ারি প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় তা প্রকাশ করা হয়। ওই সময় অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য পেতে ধফসরংংরড়হ.বরং.নঁ.ধপ.নফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে বিষয় পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হলেও ভর্তি হতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হননি। ফল পেয়ে অনেকে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি বাতিল করে ববিতে ভর্তি হতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। খ ইউনিটে ১৭৫তম মেধাক্রম আমিনুল ইমলামের মনোনীত বিষয় এসেছে বাংলা বিভাগ। কিন্তু ফল প্রকাশের পরের দিন পুনরায় ওয়েবসাইটে দেখতে পান তার মনোনীত বিষয় বাতিল করে নো ডিপার্টমেন্ট প্রদর্শন করা হয়েছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে গ ইউনিটে মার্কেটিং বিভাগে মনোনীত হওয়া শিক্ষার্থী রাইয়ান আহসান এবং খ ইউনিটে ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগে মনোনীত হওয়া ৩৪১তম মেধাক্রমের রেদওয়ান হাসানের বেলায়ও।
১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় খ ইউনিটে ৩৪১তম রেদওয়ান হাসান জানতে পারেন তার মনোনীত বিষয় ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ। পরের দিন সকালে ববিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ভর্তি বাতিল করেন। এরপর ববিতে ভর্তি হতে এসে জানতে পান তিনি
কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হননি।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও তা বাতিল করেছেন। আবার ববিতেও তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে শিক্ষাজীবন নিয়ে টানাপোড়েনে পড়তে হচ্ছে তাদের। এদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কোনোটিতে ইংরেজিতে ‘সি’ গ্রেড থাকায় বিভিন্ন বিষয়ের জন্য মনোনীত হয়েও ভর্তি হতে পারছেন না ১৮ জন শিক্ষার্থী। কেননা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে ‘খ’ ইউনিটের যেকোনো বিষয় পেতে হলে শিক্ষার্থীকে ইংরেজিতে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড পেতে হবে।
কুমিল্লা থেকে আসা পিয়াস সরকারের মেধাক্রম ২৪৭। ওয়েবসাইটের ফলে বিষয় পেয়েছেন ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ। ভর্তি হতে গিয়ে জানতে পারেন, এইচএসসিতে ইংরেজিতে ‘সি’ গ্রেট থাকায় তিনি ভর্তি হতে পারবেন না। তিনি বলেন, যদি ভর্তি হতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমাকে সাবজেক্ট দেওয়া হলো কেন? আর ভর্তি পরীক্ষার সুযোগই বা দিল কেন?
একই রকম ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে ভর্তি বাতিল করে ববিতে ভর্তি হতে আসা আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। ‘খ’ ইউনিটে ১৭৫তম হওয়া ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে এখানে ভর্তি হতে এসেছি। এখন আমার কী হবে?’
তবে ভর্তির অযোগ্য শিক্ষার্থীদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে বিষয় পাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার ব্যবহার করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। সার্ভার অপারেটর সঠিক সময়ে কাজ না করায় এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
নির্ধারিত সময় পার হলেও প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশে বিলম্ব কেন হলোথএমন প্রশ্নের জবাবে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, রেজাল্ট তৈরি করার পর আপলোড করতে হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটের সার্ভার ঢাকায়। কিন্তু যিনি রেজাল্ট আপলোড দেবেন, তিনি ঢাকার বাইরে ছিলেন তাই যথাসময়ে আপলোড দিতে পারেননি এবং কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে প্রাথমিকভাবে ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। এ জন্য কিছুটা অসংগতিরও সৃষ্টি হয়েছে।
ভর্তিচ্ছুদের বিভাগ মনোনীত করে পরে আবার বাতিল করার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, বিভাগ মনোনয়নের তালিকা প্রকাশের দিন ঢাকায় ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড বা প্যানেলে তথ্যগুলো আপলোড সম্পন্ন হয় রাত ১১টায়। যারা ১০টা-১১টার মধ্যে অনলাইনে ফল দেখেছেন তাদের এই সমস্যা হওয়ার কারণ তখন তথ্যগুলো আপলোড সম্পন্ন হয়নি। তাই ভর্তি বিজ্ঞপ্তির কন্ডিশন পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিষয় মনোনয়ন দেখানো হয়। কিন্তু সার্ভারে তথ্য আপলোড সম্পন্ন হওয়ার পর আর কোনো ধরনের অসংগতি হয়নি। তাই ফল প্রকাশের ১ ঘণ্টার মধ্যে (১০টা-১১টা) যাদের সাবজেক্ট মনোনয়ন দেখানো হয়েছে, পরে তাদের ওয়েবসাইটে নো ডিপার্টমেন্ট প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া খ ইউনিটে ইংরেজিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কোনোটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকলে খ ইউনিটে কোনো সাবজেক্ট না পেলেও শাখা পরিবর্তনের (প্রচলিত ঘ ইউনিট) আবেদন করলে মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ এই বিভাগগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসিতে ইংরেজিতে কোনো গ্রেড থাকতে হবে এ রকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে ববিতে ভর্তি হতে এসেছিলেন, কিন্তু ইংরেজিতে ‘সি’ গ্রেড থাকায় ভর্তি হতে পারছেন না, তারা যেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ভর্তি হতে পারেন সে ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন রাহাত হোসাইন ফয়সাল। তিনি আরও বলেন, অনেকের মেধাক্রম কম থাকলেও তারা বিষয় পায়নি। কেননা বিষয় পেতে যেসব শর্ত রয়েছে তারা সেসব শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু অনেকের মেধাক্রম অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও বিষয় পেয়েছেন। কেননা তারা সব শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন। যেমন সি ইউনিটের (ব্যবসায় অনুষদ) মেধাতালিকার প্রথম ১৫০ জনের ৩৫ জন শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হননি। কেননা ওই ইউনিটের সাবজেক্ট পেতে ন্যূনতম যেসব শর্ত রয়েছে তা তারা পূরণ করতে পারেননি। আবার ১১৩১তম মেধাক্রম থেকেও সাবজেক্ট পেয়েছেন। কেননা তারা ভর্তি বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত পূরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘এবারের অভিজ্ঞতার আলোকে আগামীতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকব।’
শেয়ার করুন
ববি প্রতিনিধি | ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক শিক্ষার্থী বিষয় নির্বাচনের তালিকা নিয়ে ওয়েবসাইটের তথ্যবিভ্রাটের বিপাকে পড়েছেন। গত ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১১ জানুয়ারি প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় তা প্রকাশ করা হয়। ওই সময় অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য পেতে ধফসরংংরড়হ.বরং.নঁ.ধপ.নফ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে বিষয় পেয়েছেন বলে নিশ্চিত হলেও ভর্তি হতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হননি। ফল পেয়ে অনেকে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি বাতিল করে ববিতে ভর্তি হতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী অনেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়েছে। খ ইউনিটে ১৭৫তম মেধাক্রম আমিনুল ইমলামের মনোনীত বিষয় এসেছে বাংলা বিভাগ। কিন্তু ফল প্রকাশের পরের দিন পুনরায় ওয়েবসাইটে দেখতে পান তার মনোনীত বিষয় বাতিল করে নো ডিপার্টমেন্ট প্রদর্শন করা হয়েছে। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে গ ইউনিটে মার্কেটিং বিভাগে মনোনীত হওয়া শিক্ষার্থী রাইয়ান আহসান এবং খ ইউনিটে ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগে মনোনীত হওয়া ৩৪১তম মেধাক্রমের রেদওয়ান হাসানের বেলায়ও।
১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টায় খ ইউনিটে ৩৪১তম রেদওয়ান হাসান জানতে পারেন তার মনোনীত বিষয় ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ। পরের দিন সকালে ববিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজের ভর্তি বাতিল করেন। এরপর ববিতে ভর্তি হতে এসে জানতে পান তিনি
কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হননি।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েও তা বাতিল করেছেন। আবার ববিতেও তারা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে শিক্ষাজীবন নিয়ে টানাপোড়েনে পড়তে হচ্ছে তাদের। এদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কোনোটিতে ইংরেজিতে ‘সি’ গ্রেড থাকায় বিভিন্ন বিষয়ের জন্য মনোনীত হয়েও ভর্তি হতে পারছেন না ১৮ জন শিক্ষার্থী। কেননা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে ‘খ’ ইউনিটের যেকোনো বিষয় পেতে হলে শিক্ষার্থীকে ইংরেজিতে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড পেতে হবে।
কুমিল্লা থেকে আসা পিয়াস সরকারের মেধাক্রম ২৪৭। ওয়েবসাইটের ফলে বিষয় পেয়েছেন ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগ। ভর্তি হতে গিয়ে জানতে পারেন, এইচএসসিতে ইংরেজিতে ‘সি’ গ্রেট থাকায় তিনি ভর্তি হতে পারবেন না। তিনি বলেন, যদি ভর্তি হতে না দেওয়া হয়, তাহলে আমাকে সাবজেক্ট দেওয়া হলো কেন? আর ভর্তি পরীক্ষার সুযোগই বা দিল কেন?
একই রকম ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে ভর্তি বাতিল করে ববিতে ভর্তি হতে আসা আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। ‘খ’ ইউনিটে ১৭৫তম হওয়া ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে এখানে ভর্তি হতে এসেছি। এখন আমার কী হবে?’
তবে ভর্তির অযোগ্য শিক্ষার্থীদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলে বিষয় পাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার ব্যবহার করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। সার্ভার অপারেটর সঠিক সময়ে কাজ না করায় এমন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
নির্ধারিত সময় পার হলেও প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশে বিলম্ব কেন হলোথএমন প্রশ্নের জবাবে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, রেজাল্ট তৈরি করার পর আপলোড করতে হয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটের সার্ভার ঢাকায়। কিন্তু যিনি রেজাল্ট আপলোড দেবেন, তিনি ঢাকার বাইরে ছিলেন তাই যথাসময়ে আপলোড দিতে পারেননি এবং কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে প্রাথমিকভাবে ফল প্রকাশে দেরি হয়েছে। এ জন্য কিছুটা অসংগতিরও সৃষ্টি হয়েছে।
ভর্তিচ্ছুদের বিভাগ মনোনীত করে পরে আবার বাতিল করার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাহাত হোসাইন ফয়সাল জানান, বিভাগ মনোনয়নের তালিকা প্রকাশের দিন ঢাকায় ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ড বা প্যানেলে তথ্যগুলো আপলোড সম্পন্ন হয় রাত ১১টায়। যারা ১০টা-১১টার মধ্যে অনলাইনে ফল দেখেছেন তাদের এই সমস্যা হওয়ার কারণ তখন তথ্যগুলো আপলোড সম্পন্ন হয়নি। তাই ভর্তি বিজ্ঞপ্তির কন্ডিশন পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিষয় মনোনয়ন দেখানো হয়। কিন্তু সার্ভারে তথ্য আপলোড সম্পন্ন হওয়ার পর আর কোনো ধরনের অসংগতি হয়নি। তাই ফল প্রকাশের ১ ঘণ্টার মধ্যে (১০টা-১১টা) যাদের সাবজেক্ট মনোনয়ন দেখানো হয়েছে, পরে তাদের ওয়েবসাইটে নো ডিপার্টমেন্ট প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া খ ইউনিটে ইংরেজিতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কোনোটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকলে খ ইউনিটে কোনো সাবজেক্ট না পেলেও শাখা পরিবর্তনের (প্রচলিত ঘ ইউনিট) আবেদন করলে মার্কেটিং, ম্যানেজমেন্ট ও হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কারণ এই বিভাগগুলোতে এসএসসি ও এইচএসসিতে ইংরেজিতে কোনো গ্রেড থাকতে হবে এ রকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে ববিতে ভর্তি হতে এসেছিলেন, কিন্তু ইংরেজিতে ‘সি’ গ্রেড থাকায় ভর্তি হতে পারছেন না, তারা যেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পুনরায় ভর্তি হতে পারেন সে ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন রাহাত হোসাইন ফয়সাল। তিনি আরও বলেন, অনেকের মেধাক্রম কম থাকলেও তারা বিষয় পায়নি। কেননা বিষয় পেতে যেসব শর্ত রয়েছে তারা সেসব শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু অনেকের মেধাক্রম অনেক দূরে থাকা সত্ত্বেও বিষয় পেয়েছেন। কেননা তারা সব শর্ত পূরণ করতে পেরেছেন। যেমন সি ইউনিটের (ব্যবসায় অনুষদ) মেধাতালিকার প্রথম ১৫০ জনের ৩৫ জন শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ের জন্য মনোনীত হননি। কেননা ওই ইউনিটের সাবজেক্ট পেতে ন্যূনতম যেসব শর্ত রয়েছে তা তারা পূরণ করতে পারেননি। আবার ১১৩১তম মেধাক্রম থেকেও সাবজেক্ট পেয়েছেন। কেননা তারা ভর্তি বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত পূরণ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘এবারের অভিজ্ঞতার আলোকে আগামীতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকব।’