স্যার ফজলে হাসান আবেদের ইদান প্রাইজ নিলেন শামেরান-তামারা
বাবার বক্তব্য পড়লেন ছেলে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০
কথা ছিল ডিসেম্বর মাসে হংকংয়ে ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তার আগেই পৃথিবী ছাড়েন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘ইদান প্রাইজ’। শিক্ষায় যুগান্তকারী অবদান রাখায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার ইমেরিটাস স্যার
ফজলে হাসান আবেদকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। যখন এই ঘোষণা আসে তখন তিনি বেশ অসুস্থ। তারপরও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পড়ার জন্য নিজেই বক্তব্যের খসড়া তৈরি করেন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদের পুরস্কার দিতে ইদানের প্রতিষ্ঠাতা এবং এ পুরস্কারের প্রবর্তক ড. চার্লস চেন ইদান নিজেই ঢাকায় এসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এসে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে স্যার আবেদের লেখা বক্তব্য পড়ে শোনান তার ছেলে শামেরান আবেদ। স্যার আবেদ বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্য মোচনের সর্বোত্তম হাতিয়ার। আমি এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন দেখি যেখানে আমাদের মধ্যে দরিদ্রতম মানুষও লক্ষ্যবহ ও মর্যাদার জীবন যাপন করার সুযোগ পাবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার অভিযাত্রায় সকলকে শামিল হওয়ার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানাই।’
অনুষ্ঠানে ড. চার্লস চেন ইদান বলেন, ‘প্রকৃত সহানুভূতি, সাহস ও বিশ্বাসের সঙ্গে মানুষের সেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। চারপাশের মানুষকে আশাবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি। মানুষের সুপ্ত সম্ভাবনায় আস্থাশীল হতে শিখিয়েছিলেন। যে লক্ষ কোটি মানুষের জীবন তিনি পাল্টে দিয়েছিলেন, বিশেষ করে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর মানুষ তাকে আশার স্ফুলিঙ্গ হিসেবে আজীবন মনে রাখবে।’ ফজলে হাসান আবেদের মেয়ে তামারা আবেদ বলেন, ‘বাবার বিপুল কর্মযোগের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
‘ইদান প্রাইজ ফর এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট লরিয়েট’ হিসেবে স্যার ফজলেকে একটি সোনার মেডেল, একটি সার্টিফিকেট এবং ৩ কোটি হংকং ডলার (৩০ মিলিয়ন হংকং ডলার বা ৩.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৩ কোটি টাকা) প্রদান করা হয়েছে। অর্থ পুরস্কারের অর্ধেক নগদ ও বাকি অর্ধেক অর্থ একটি প্রকল্পের তহবিল হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
৩৩ কোটি টাকা দিয়ে কী করা হবে জানতে চাইলে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, ‘ইদান প্রাইজের এই তহবিল বাংলাদেশ, উগান্ডা ও তানজানিয়ায় খেলাভিত্তিক প্রাক-শৈশব উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের উদ্ভাবনগুলোর বিস্তার এবং বাংলাদেশে খেলাভিত্তিক শিশু পরিচর্যার একটি নতুন মডেল উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০

কথা ছিল ডিসেম্বর মাসে হংকংয়ে ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তার আগেই পৃথিবী ছাড়েন তিনি। শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ‘ইদান প্রাইজ’। শিক্ষায় যুগান্তকারী অবদান রাখায় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার ইমেরিটাস স্যার
ফজলে হাসান আবেদকে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। যখন এই ঘোষণা আসে তখন তিনি বেশ অসুস্থ। তারপরও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পড়ার জন্য নিজেই বক্তব্যের খসড়া তৈরি করেন।
স্যার ফজলে হাসান আবেদের পুরস্কার দিতে ইদানের প্রতিষ্ঠাতা এবং এ পুরস্কারের প্রবর্তক ড. চার্লস চেন ইদান নিজেই ঢাকায় এসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এসে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি। সেই অনুষ্ঠানে স্যার আবেদের লেখা বক্তব্য পড়ে শোনান তার ছেলে শামেরান আবেদ। স্যার আবেদ বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, শিক্ষা হচ্ছে বৈষম্য মোচনের সর্বোত্তম হাতিয়ার। আমি এমন একটি বিশ্বের স্বপ্ন দেখি যেখানে আমাদের মধ্যে দরিদ্রতম মানুষও লক্ষ্যবহ ও মর্যাদার জীবন যাপন করার সুযোগ পাবেন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার অভিযাত্রায় সকলকে শামিল হওয়ার জন্য আন্তরিক আহ্বান জানাই।’
অনুষ্ঠানে ড. চার্লস চেন ইদান বলেন, ‘প্রকৃত সহানুভূতি, সাহস ও বিশ্বাসের সঙ্গে মানুষের সেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। চারপাশের মানুষকে আশাবাদী হতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি। মানুষের সুপ্ত সম্ভাবনায় আস্থাশীল হতে শিখিয়েছিলেন। যে লক্ষ কোটি মানুষের জীবন তিনি পাল্টে দিয়েছিলেন, বিশেষ করে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর মানুষ তাকে আশার স্ফুলিঙ্গ হিসেবে আজীবন মনে রাখবে।’ ফজলে হাসান আবেদের মেয়ে তামারা আবেদ বলেন, ‘বাবার বিপুল কর্মযোগের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
‘ইদান প্রাইজ ফর এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট লরিয়েট’ হিসেবে স্যার ফজলেকে একটি সোনার মেডেল, একটি সার্টিফিকেট এবং ৩ কোটি হংকং ডলার (৩০ মিলিয়ন হংকং ডলার বা ৩.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩৩ কোটি টাকা) প্রদান করা হয়েছে। অর্থ পুরস্কারের অর্ধেক নগদ ও বাকি অর্ধেক অর্থ একটি প্রকল্পের তহবিল হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
৩৩ কোটি টাকা দিয়ে কী করা হবে জানতে চাইলে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ বলেন, ‘ইদান প্রাইজের এই তহবিল বাংলাদেশ, উগান্ডা ও তানজানিয়ায় খেলাভিত্তিক প্রাক-শৈশব উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের উদ্ভাবনগুলোর বিস্তার এবং বাংলাদেশে খেলাভিত্তিক শিশু পরিচর্যার একটি নতুন মডেল উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’