এমন ঈদ দেখেননি আ.লীগ নেতারা
পাভেল হায়দার চৌধুরী | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০
’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বা পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলনের সময়ও এমন ঈদ করা হয়নি। আনন্দ-উৎসবের ঈদ করোনাভাইরাসের কারণে অনেকটা আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। ঈদ সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
দেশ রূপান্তরকে তারা বলেন, মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতরের কোলাকুলি পর্যন্ত সম্ভব হবে না এবার। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবারের ঈদ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলেও আনন্দ বা উৎসবের ছিটেফোঁটাও থাকছে না। এরকম আমেজহীন ঈদ ইতিহাসে ‘বিরল’।
প্রবীণ রাজনীতিবিদরা বলছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ঈদ উদযাপিত হয়েছিল। প্রবাসী সরকারের উদ্যোগে কলকাতার থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় প্রাঙ্গণে ঈদ জামাত হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে। কিন্তু এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ঈদ হচ্ছে। তারা বলেন, রাজনীতিবিদদের ঈদ হলো দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভাগাভাগি করার। বিভিন্ন কারণে তারা রাজধানীতে থাকলেও ঈদের আগে সবার মতো ছুটে যেতেন গ্রামে। সেখানে সবার সঙ্গে উদযাপন করতেন ঈদের আনন্দ। এবার কেউ কেউ নির্বাচনী এলাকায় থাকলেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে যে সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে সে কারণে আগের সেই আমেজে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন না।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমার বয়সে কখনো এমন ঈদ উদযাপন করা হয়নি। এবারের ঈদটা মানুষের দুর্বিষহ জীবনের মধ্য দিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ঈদের জামাতে দাঁড়ানো একটা ভীতিকর অবস্থা এ অবস্থা কখনো চিন্তা করা বা ভাবাও যায়নি। তিনি জানান, বিচ্ছিন্ন থেকে বাসায় কাটবে তার ঈদ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ঈদ এসেছে। কিন্তু আনন্দ নেই, আমেজ-উৎসব নেই। এর আগে এমন ঈদ দেখা হয়নি। বাসায় থেকে দেশ-জাতি সবার মঙ্গল কামনায় দোয়া করতে হবে সবাইকে। ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা শুধু নই, সারা দুনিয়ার মুসলমানরা এ ধরনের ঈদ শত বা হাজার বছরেও করেছে কি না জানা নেই। এবারের ঈদ তো উৎসবের নয়, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার। এবারের ঈদটা সবার জন্য নিরানন্দের; লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত, এতে আতঙ্কিত।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসা গণভবনে দলীয় নেতাকর্মী, বিচারক, বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। এবার এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের দিন সর্বস্তরের জনগণ, নেতাকর্মী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কূটনৈতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। কিন্তু এবারের করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো শিডিউল এখন পর্যন্ত নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যতটুকু করা সম্ভব সেটাই হবে।’
করোনার কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে বাসায় অবস্থান করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রতিবার ঈদের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় থাকলেও এবার থাকছেন না। সরকারি বাসভবনেই কাটবে তার ঈদ।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে না পারলেও তারা মানুষের সঙ্গে আছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। অনেকেই এরই মধ্যে কয়েকবার এলাকায়ও গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে সহযোগিতা করেছেন। যারা এলাকায় যেতে পারছেন না তারা বিভিন্ন মাধ্যমে ঈদের উপহার পাঠাচ্ছেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা যারা জনপ্রতিনিধি, আমরা কখনই জনগণ থেকে আলাদা নই। জনগণের সঙ্গেই আছি। আমাদের হয়তো শারীরিক দূরত্ব আছে, কিন্তু মানসিক কোনো দূরত্ব নেই। আমরা সবসময় জনগণের কল্যাণের জন্য নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি এবং দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই কাজগুলো করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদের শারীরিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিন্তু মানসিকভাবে আমরা আরও কাছাকাছি চলে গিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা সাধারণ মানুষের বাইরে নয়। যেখানে এ ভয়াবহ ভাইরাস পরিস্থিতিতে কোনো মানুষই স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পারছে না, সেখানে রাজনীতিবিদদের স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করার সুযোগ নেই। আমরা বরাবরই মানুষের পাশে থাকি। এখনো মানুষের সঙ্গে আছি বিভিন্নভাবে। হয়তো ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শারীরিকভাবে মানুষের সঙ্গে থাকতে পারছি না। তবে সহযোগিতা ও সেবা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। এবারের ঈদে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি করা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট, কষ্ট হলেও মেনে নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এবারের ঈদে উৎসবমুখর পরিবেশ নেই। এটা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কিছুই হবে না। আমাদের দেশের চিরাচরিত সংস্কৃতি, আমরা যেকোনো উৎসব পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে করে থাকি। সে কারণে বেশিরভাগ মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু এবার সেটা সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব মানার জন্য।’
করোনার কারণে এবার ঈদ মøান হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘ধর্মীয় অনুশীলন যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। এবার আসলেই ঈদের কোনো অনুভূতিই নেই। ঈদের যে আনন্দ, যে পরিবেশ তৈরি হয় সেগুলো অনুপস্থিত। এটাই বাস্তবতা। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
শেয়ার করুন
পাভেল হায়দার চৌধুরী | ২৩ মে, ২০২০ ০০:০০

’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বা পরবর্তী বিভিন্ন আন্দোলনের সময়ও এমন ঈদ করা হয়নি। আনন্দ-উৎসবের ঈদ করোনাভাইরাসের কারণে অনেকটা আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। ঈদ সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
দেশ রূপান্তরকে তারা বলেন, মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান উৎসব ঈদুল ফিতরের কোলাকুলি পর্যন্ত সম্ভব হবে না এবার। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এবারের ঈদ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলেও আনন্দ বা উৎসবের ছিটেফোঁটাও থাকছে না। এরকম আমেজহীন ঈদ ইতিহাসে ‘বিরল’।
প্রবীণ রাজনীতিবিদরা বলছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ঈদ উদযাপিত হয়েছিল। প্রবাসী সরকারের উদ্যোগে কলকাতার থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় প্রাঙ্গণে ঈদ জামাত হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে। কিন্তু এবার একটা ভিন্ন পরিস্থিতিতে ঈদ হচ্ছে। তারা বলেন, রাজনীতিবিদদের ঈদ হলো দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভাগাভাগি করার। বিভিন্ন কারণে তারা রাজধানীতে থাকলেও ঈদের আগে সবার মতো ছুটে যেতেন গ্রামে। সেখানে সবার সঙ্গে উদযাপন করতেন ঈদের আনন্দ। এবার কেউ কেউ নির্বাচনী এলাকায় থাকলেও করোনা সংক্রমণ এড়াতে যে সামাজিক দূরত্ব রাখতে হবে সে কারণে আগের সেই আমেজে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন না।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমার বয়সে কখনো এমন ঈদ উদযাপন করা হয়নি। এবারের ঈদটা মানুষের দুর্বিষহ জীবনের মধ্য দিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা দিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে। ঈদের জামাতে দাঁড়ানো একটা ভীতিকর অবস্থা এ অবস্থা কখনো চিন্তা করা বা ভাবাও যায়নি। তিনি জানান, বিচ্ছিন্ন থেকে বাসায় কাটবে তার ঈদ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ঈদ এসেছে। কিন্তু আনন্দ নেই, আমেজ-উৎসব নেই। এর আগে এমন ঈদ দেখা হয়নি। বাসায় থেকে দেশ-জাতি সবার মঙ্গল কামনায় দোয়া করতে হবে সবাইকে। ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আমরা শুধু নই, সারা দুনিয়ার মুসলমানরা এ ধরনের ঈদ শত বা হাজার বছরেও করেছে কি না জানা নেই। এবারের ঈদ তো উৎসবের নয়, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার। এবারের ঈদটা সবার জন্য নিরানন্দের; লাখ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত, এতে আতঙ্কিত।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসা গণভবনে দলীয় নেতাকর্মী, বিচারক, বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকেন। এবার এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তেমন কোনো কর্মসূচি নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের দিন সর্বস্তরের জনগণ, নেতাকর্মী, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কূটনৈতিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। কিন্তু এবারের করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কোনো শিডিউল এখন পর্যন্ত নেই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যতটুকু করা সম্ভব সেটাই হবে।’
করোনার কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে বাসায় অবস্থান করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রতিবার ঈদের আগে নিজের নির্বাচনী এলাকায় থাকলেও এবার থাকছেন না। সরকারি বাসভবনেই কাটবে তার ঈদ।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে না পারলেও তারা মানুষের সঙ্গে আছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। অনেকেই এরই মধ্যে কয়েকবার এলাকায়ও গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে সহযোগিতা করেছেন। যারা এলাকায় যেতে পারছেন না তারা বিভিন্ন মাধ্যমে ঈদের উপহার পাঠাচ্ছেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমরা যারা জনপ্রতিনিধি, আমরা কখনই জনগণ থেকে আলাদা নই। জনগণের সঙ্গেই আছি। আমাদের হয়তো শারীরিক দূরত্ব আছে, কিন্তু মানসিক কোনো দূরত্ব নেই। আমরা সবসময় জনগণের কল্যাণের জন্য নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি এবং দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই কাজগুলো করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আমাদের শারীরিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে কিন্তু মানসিকভাবে আমরা আরও কাছাকাছি চলে গিয়েছি।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা সাধারণ মানুষের বাইরে নয়। যেখানে এ ভয়াবহ ভাইরাস পরিস্থিতিতে কোনো মানুষই স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পারছে না, সেখানে রাজনীতিবিদদের স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করার সুযোগ নেই। আমরা বরাবরই মানুষের পাশে থাকি। এখনো মানুষের সঙ্গে আছি বিভিন্নভাবে। হয়তো ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শারীরিকভাবে মানুষের সঙ্গে থাকতে পারছি না। তবে সহযোগিতা ও সেবা নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। এবারের ঈদে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, কোলাকুলি করা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটি একটি ভিন্ন প্রেক্ষাপট, কষ্ট হলেও মেনে নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘এবারের ঈদে উৎসবমুখর পরিবেশ নেই। এটা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কিছুই হবে না। আমাদের দেশের চিরাচরিত সংস্কৃতি, আমরা যেকোনো উৎসব পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে করে থাকি। সে কারণে বেশিরভাগ মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু এবার সেটা সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না করোনার কারণে শারীরিক দূরত্ব মানার জন্য।’
করোনার কারণে এবার ঈদ মøান হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘ধর্মীয় অনুশীলন যতটুকু না করলেই নয়, ততটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। এবার আসলেই ঈদের কোনো অনুভূতিই নেই। ঈদের যে আনন্দ, যে পরিবেশ তৈরি হয় সেগুলো অনুপস্থিত। এটাই বাস্তবতা। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’