কৃত্রিম ত্বকে আসলের সংবেদনশীলতা!
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০
মানুষের ত্বকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি স্পর্শকাতর। কৃত্রিমভাবে এমন ত্বক উদ্ভাবনে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে গবেষণা। বছর দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক এমন ত্বক তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্পর্শ সংবেদনশীল সেই ত্বক ব্যবহার করা হয়েছিল রোবটে। তবে এবার মানুষের শরীরেও প্রয়োজনমতো ব্যবহার করার উপযোগী কৃত্রিম ত্বক তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন সিঙ্গাপুরের এক দল গবেষক।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষকরা দাবি করেছেন, তাদের উদ্ভাবন প্রস্থেটিক বাহু বা কৃত্রিম বাহুতে বস্তু শনাক্তকরণ ও স্পর্শের বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক স্কিন বা বিশেষ কৃত্রিম বৈদ্যুতিক ত্বক যা মূলত এক ধরনের কৃত্রিম ডিভাইসটিক তাকে বলা হচ্ছে অ্যাসিনক্রোনাস কোডেড ইলেকট্রনিক স্কিন বা এসিইএস। এটি ১০০টি ক্ষুদ্র সেন্সরযুক্ত এক বর্গ সেন্টিমিটার আকারের একটি ডিভাইস।
গবেষকরা দাবি করেছেন, তাদের তৈরি ডিভাইসটি দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের চেয়েও দ্রুত কাজ করে। এটি ব্রেইল অক্ষর ৯০ শতাংশ নিখুঁতভাবে পড়তে এবং ২০ থেকে ৩০ ধরনের গঠনবিন্যাস শনাক্ত করতে পারে।
গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা বেঞ্জামিন টি বলেন, কোনো বয়নবিন্যাস শনাক্ত করতে মানুষকে ঘষা দিতে হয় কিন্তু এই কৃত্রিম ত্বক একবার স্পর্শেই তা বুঝতে পারে। এর এআই অ্যালগরিদম ডিভাইসটিকে দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।
গবেষক টি বলেন, যখন কেউ স্পর্শ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন তার অঙ্গ অসাড় হয়ে যায়। কৃত্রিম বাহু ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা এ সমস্যায় পড়েন। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম ত্বক কৃত্রিম বাহুতে স্পর্শের অনুভূতি তৈরি করতে পারে। তাদের এ ডিভাইসের ধারণা মূলত ‘স্টার ওয়ার্স’ চলচ্চিত্রের দৃশ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা।
গবেষকরা বলেন, তাদের তৈরি প্রযুক্তিটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ উদ্ভাবন নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০

মানুষের ত্বকের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি স্পর্শকাতর। কৃত্রিমভাবে এমন ত্বক উদ্ভাবনে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে গবেষণা। বছর দুয়েক আগে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ইউনিভার্সিটির এক দল গবেষক এমন ত্বক তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্পর্শ সংবেদনশীল সেই ত্বক ব্যবহার করা হয়েছিল রোবটে। তবে এবার মানুষের শরীরেও প্রয়োজনমতো ব্যবহার করার উপযোগী কৃত্রিম ত্বক তৈরিতে সক্ষম হয়েছেন সিঙ্গাপুরের এক দল গবেষক।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের গবেষকরা দাবি করেছেন, তাদের উদ্ভাবন প্রস্থেটিক বাহু বা কৃত্রিম বাহুতে বস্তু শনাক্তকরণ ও স্পর্শের বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক স্কিন বা বিশেষ কৃত্রিম বৈদ্যুতিক ত্বক যা মূলত এক ধরনের কৃত্রিম ডিভাইসটিক তাকে বলা হচ্ছে অ্যাসিনক্রোনাস কোডেড ইলেকট্রনিক স্কিন বা এসিইএস। এটি ১০০টি ক্ষুদ্র সেন্সরযুক্ত এক বর্গ সেন্টিমিটার আকারের একটি ডিভাইস।
গবেষকরা দাবি করেছেন, তাদের তৈরি ডিভাইসটি দ্রুত তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে। এটি মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের চেয়েও দ্রুত কাজ করে। এটি ব্রেইল অক্ষর ৯০ শতাংশ নিখুঁতভাবে পড়তে এবং ২০ থেকে ৩০ ধরনের গঠনবিন্যাস শনাক্ত করতে পারে।
গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা বেঞ্জামিন টি বলেন, কোনো বয়নবিন্যাস শনাক্ত করতে মানুষকে ঘষা দিতে হয় কিন্তু এই কৃত্রিম ত্বক একবার স্পর্শেই তা বুঝতে পারে। এর এআই অ্যালগরিদম ডিভাইসটিকে দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।
গবেষক টি বলেন, যখন কেউ স্পর্শ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন তার অঙ্গ অসাড় হয়ে যায়। কৃত্রিম বাহু ব্যবহারকারী ব্যক্তিরা এ সমস্যায় পড়েন। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম ত্বক কৃত্রিম বাহুতে স্পর্শের অনুভূতি তৈরি করতে পারে। তাদের এ ডিভাইসের ধারণা মূলত ‘স্টার ওয়ার্স’ চলচ্চিত্রের দৃশ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা।
গবেষকরা বলেন, তাদের তৈরি প্রযুক্তিটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তবে এ উদ্ভাবন নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।