কোরবানি দেননি খালেদা জিয়া
রেজাউল করিম লাবলু | ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে তিনি এবার কোরবানি দেননি বলে জানিয়েছেন এক স্বজন। গতকাল মঙ্গলবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই স্বজন দেশ রূপান্তরকে জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে ঢাকায় ও বগুড়ায় দুটি গরু কোরবানি দিলেও এবার খালেদা জিয়া কোরবানি দেননি। তিনি তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসা থেকে আনা রান্না করা খাবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুপুরে খেয়েছেন।
ওই স্বজন আরও জানান, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে কোরবানি দেননি। সকালে গৃহকর্মী ফাতেমার রান্না করা সেমাই খান খালেদা জিয়া। দুপুরে নিজ বাসা থেকে কোরবানির মাংস রান্না করে খালেদা জিয়ার জন্য নিয়ে আসেন ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। পরে দুপুরে মেজো বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমাসহ সবাইকে নিয়ে খাবার খান। এরপর স্বজনদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে বিশ্রাম নেন তিনি।
স্বজন বলেন, স্বজনদের নিয়ে দুপুরের খাবারের আগে লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী, তাদের দুই মেয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া।
ফিরোজার নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ঈদের নামাজের পর বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাসায় আসেন। দুপুরের খাবার বোনকে নিয়ে খেয়েছেন খালেদা জিয়া।
ঈদের দিন স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ : এদিকে ঈদের দিন গত শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ সময় তিনি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজার বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এই বার্তার কথা জানান।
ওইদিন গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজায়’ রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সাক্ষাৎ হয়। ‘ফিরোজায়’ প্রবেশের পর নেতারা পিপিই পরে দোতলায় ড্রয়িং রুমে বসেন। সেখানে এই সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
ওইদিন রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা মির্জা ফখরুল বলেন, এই কভিডে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা-পরবর্তী যে সমস্যা দাঁড়াবে তার জন্য তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব নেতাকর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম এতই অসুস্থ যে নিজেও বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাঁটতেও পারেন না। তার এখনো খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা, খেতেও সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন রকমভাবে। আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না এখানে যে পরিস্থিতি চলছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না।
কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কথা বলেছি, ঈদের দিনে যেসব কথা বলা হয়। এতদিন ধরে আমরা একসাথে কাজ করছি, সকলের সুখ-দুঃখের কথাবার্তা আছে।
আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমাদের দলেরই অনেক নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।
ফখরুল বলেন, কভিড সংক্রমণের যে বর্তমান অবস্থা, বন্যার যে বর্তমান অবস্থা, দেশের অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের যে নিদারুণ কষ্ট আর কিছুদিন পরে কী অবস্থা দাঁড়াবে সে নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার বেশিরভাগ সময় ছিল কভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি ও বন্যা-পরবর্তী অবস্থা কী হবে যেহেতু শোনা যাচ্ছে এবারকার বন্যা লংটার্ম থাকবে। তাহলে দেশের বন্যাকবলিত মানুষ কীভাবে পুনর্বাসিত হবে, কৃষক কীভাবে টিকে থাকবে সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দল যাতে সঠিকভাবে চলতে পারে তা নিয়েও চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, দেশে বর্তমান যে কভিড পরিস্থিতি, বন্যা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক যে অবস্থা এটা তো স্বাভাবিক নয়। এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে উনার বিরুদ্ধে, দেশের সব মানুষের বিরুদ্ধে বিশেষ করে যারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মামলা-মোকদ্দমা, জেল-জুলুম চলছে। এর মধ্যে তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন।
খালেদা জিয়ার নির্বাহী আদেশে মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে, পরবর্তী কর্মকা- সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। সময় এলে আলোচনা হবে।
গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্ত হওয়ার পর প্রথম গত ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
এর আগে ঈদুল আজহার নামাজের পর বেলা ১১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।
শেয়ার করুন
রেজাউল করিম লাবলু | ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে তিনি এবার কোরবানি দেননি বলে জানিয়েছেন এক স্বজন। গতকাল মঙ্গলবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই স্বজন দেশ রূপান্তরকে জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে ঢাকায় ও বগুড়ায় দুটি গরু কোরবানি দিলেও এবার খালেদা জিয়া কোরবানি দেননি। তিনি তার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসা থেকে আনা রান্না করা খাবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুপুরে খেয়েছেন।
ওই স্বজন আরও জানান, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনা করে কোরবানি দেননি। সকালে গৃহকর্মী ফাতেমার রান্না করা সেমাই খান খালেদা জিয়া। দুপুরে নিজ বাসা থেকে কোরবানির মাংস রান্না করে খালেদা জিয়ার জন্য নিয়ে আসেন ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা। পরে দুপুরে মেজো বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমাসহ সবাইকে নিয়ে খাবার খান। এরপর স্বজনদের সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে বিশ্রাম নেন তিনি।
স্বজন বলেন, স্বজনদের নিয়ে দুপুরের খাবারের আগে লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী, তাদের দুই মেয়ের সঙ্গে ভার্চুয়ালি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া।
ফিরোজার নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ঈদের নামাজের পর বোন সেলিমা ইসলাম ও ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাসায় আসেন। দুপুরের খাবার বোনকে নিয়ে খেয়েছেন খালেদা জিয়া।
ঈদের দিন স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ : এদিকে ঈদের দিন গত শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ সময় তিনি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজার বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এই বার্তার কথা জানান।
ওইদিন গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজায়’ রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সাক্ষাৎ হয়। ‘ফিরোজায়’ প্রবেশের পর নেতারা পিপিই পরে দোতলায় ড্রয়িং রুমে বসেন। সেখানে এই সাক্ষাৎ হয়।
সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
ওইদিন রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা মির্জা ফখরুল বলেন, এই কভিডে জনগণের পাশে দাঁড়ানো, বন্যা-পরবর্তী যে সমস্যা দাঁড়াবে তার জন্য তাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব নেতাকর্মীদের দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ম্যাডাম এতই অসুস্থ যে নিজেও বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাঁটতেও পারেন না। তার এখনো খাওয়াদাওয়ায় সমস্যা, খেতেও সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন রকমভাবে। আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না এখানে যে পরিস্থিতি চলছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না।
কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কথা বলেছি, ঈদের দিনে যেসব কথা বলা হয়। এতদিন ধরে আমরা একসাথে কাজ করছি, সকলের সুখ-দুঃখের কথাবার্তা আছে।
আপনারা জানেন ইতিমধ্যে আমাদের দলেরই অনেক নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার-পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।
ফখরুল বলেন, কভিড সংক্রমণের যে বর্তমান অবস্থা, বন্যার যে বর্তমান অবস্থা, দেশের অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষদের যে নিদারুণ কষ্ট আর কিছুদিন পরে কী অবস্থা দাঁড়াবে সে নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার বেশিরভাগ সময় ছিল কভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি ও বন্যা-পরবর্তী অবস্থা কী হবে যেহেতু শোনা যাচ্ছে এবারকার বন্যা লংটার্ম থাকবে। তাহলে দেশের বন্যাকবলিত মানুষ কীভাবে পুনর্বাসিত হবে, কৃষক কীভাবে টিকে থাকবে সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
দল যাতে সঠিকভাবে চলতে পারে তা নিয়েও চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, দেশে বর্তমান যে কভিড পরিস্থিতি, বন্যা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক যে অবস্থা এটা তো স্বাভাবিক নয়। এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে উনার বিরুদ্ধে, দেশের সব মানুষের বিরুদ্ধে বিশেষ করে যারা ভিন্নমত পোষণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মামলা-মোকদ্দমা, জেল-জুলুম চলছে। এর মধ্যে তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন।
খালেদা জিয়ার নির্বাহী আদেশে মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে, পরবর্তী কর্মকা- সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। সময় এলে আলোচনা হবে।
গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্ত হওয়ার পর প্রথম গত ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল।
এর আগে ঈদুল আজহার নামাজের পর বেলা ১১টার দিকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।