ইউএনও ওয়াহিদা ও তার স্বামীকে ঢাকায় বদলি
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত তার স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকেও ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, মূলত ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে তার স্বামীও যাতে কাছাকাছি থাকতে পারেন সেজন্য তাকেও ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। ওয়াহিদা খানম ৩১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তার স্বামী মেজবাউল হোসেনও একই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ইউএনওর সরকারি বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে ‘হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে’ গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়াহিদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হলেও সর্বশেষ পুলিশ বলছে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অফিসের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী এই হামলা চালিয়েছেন। ওই কর্মচারীর নাম মো. রবিউল ইসলাম। তাকেও পুলিশ প্রেপ্তার করেছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০

দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে বদলি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। একই সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত তার স্বামী মো. মেজবাউল হোসেনকেও ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, মূলত ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়ে তার স্বামীও যাতে কাছাকাছি থাকতে পারেন সেজন্য তাকেও ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। ওয়াহিদা খানম ৩১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা। তার স্বামী মেজবাউল হোসেনও একই ব্যাচে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।
গত ২ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ইউএনওর সরকারি বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে ‘হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে’ গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়াহিদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এ ঘটনায় একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হলেও সর্বশেষ পুলিশ বলছে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অফিসের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী এই হামলা চালিয়েছেন। ওই কর্মচারীর নাম মো. রবিউল ইসলাম। তাকেও পুলিশ প্রেপ্তার করেছে।