মাস্ক নেই মুখে বাড়ছে ঝুঁকি
নয়ন চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেই রোগী বাড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রামে। মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা এবং স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে গা-ছাড়া ভাবের কারণেই রোগী বাড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ছাড়া মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত দুরূহ বলেও মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসমাগম স্থলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এ বিষয়ে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কোনো প্রশাসনের দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত বুধবার ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে ৯৫ জন এবং উপজেলায় ১৫ জন। এই পর্যন্ত সর্বমোট চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে নগরীতে ১৪ হাজার ৯৩০ জন এবং উপজেলায় ৫ হাজার ৫৩৫ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক ছাড়া বিকল্প নেই, এই বিষয়ে কঠোরতা প্রয়োজন। তবে পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর নয়। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কোতোয়ালি থানার বিপরীতে সড়কে টংয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সেখানে কারও মুখে মাস্ক নেই। কোতোয়ালি থানার সামনে থেকেই নগরীর বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন চলাচল করে। নগরী থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাওয়ার রুটটিতে সিএনজি, টেম্পু, বাসে থাকা বেশিরভাগ বাসিন্দার মুখেই মাস্ক ছিল না। চট্টগ্রামের সদরঘাট, এনায়েত বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছে মানুষ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানছে না স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্কের ব্যবহার। এ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায়নি নগরীর কোনো স্থানে। এদিকে, নগরীর পার্ক, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে বাসিন্দারা। করোনা প্রতিরোধে পদক্ষেপ এবং প্রশাসন হার্ডলাইনে না থাকায় মাস্ক ব্যবহারের উদাসীনতা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের তৎপরতা এবং বর্তমানে কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মোস্তাক আহমেদকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দ্বিতীয় সংক্রমণের আগেই যদি রোগী বাড়তে শুরু করে, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়বে চট্টগ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এমন অবহেলায় এটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য রক্ষা অধিকার কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নগর ও জেলার বাসিন্দাদের নিজ থেকে আগে সচেতন হতে হবে। যদি কেউ মাস্ক ছাড়া বের হয়, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে কেন ছাড় দেবে? স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকারি নির্দেশনা তো বলবৎ আছে। প্রধানমন্ত্রীও মাস্ক পরিধান কঠোর উপায়ে কার্যকর করতে বলেছেন। পুলিশের উচিত অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়া। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে মানুষ বর্তমানে মাস্ক ছাড়া বের হয়ে ঘুরছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া গণপরিবহনে সড়কে মানুষ যেভাবে ঘুরছে, এরমধ্যে হাঁচি-কাশি দিয়ে অন্যকে সংক্রমিত করছে। এভাবে গণহারে সংক্রমণ বেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কেউ তো তখন দায় নেবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রশাসনের দৃশ্যমান ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চট্টগ্রামে গত ১৫ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র সাত দিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৮২ জন। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ জন। চলতি মাসের ২১ দিনেই রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫০২ জন।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘গত বুধবার ৮টি ল্যাবে ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার পজিটিভ বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ শতাংশ। মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতার কারণেই বাড়ছে ঝুঁকি। আমরা বারবার বলছি চিকিৎসা দিয়ে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব না। আমাদের অবকাঠামো ও জনবলও সীমিত। সামাজিক দূরত্ব হয়তো রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু মাস্ক ব্যবহার না করলে অন্তত সংক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব না। তাই এখন মানুষের জীবনরক্ষায় উচিত আর্থিক দন্ড দেওয়া। তাহলে অন্তত টাকার ভয়ে কেউ আইন ভঙ্গ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস্কই হলো করোনা প্রতিরোধে আসল ভ্যাকসিন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমূখী। মাস্ক ব্যবহার না করলে এর মাশুল দিতে হবে। আজ একটি মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে, সেখানে মাস্ক পরিধান বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে মাঠ পর্যায়ে কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা কঠোর আইনি অবস্থানে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন পর বিনামূল্যে আমরা কাপড়ের প্রায় দুই লাখ মাস্ক বিতরণ করব। যাতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, মাস্ক ছাড়া যেন চলাচল না করে।’
শেয়ার করুন
নয়ন চক্রবর্ত্তী, চট্টগ্রাম | ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেই রোগী বাড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রামে। মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতা এবং স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে গা-ছাড়া ভাবের কারণেই রোগী বাড়ছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ছাড়া মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত দুরূহ বলেও মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনসমাগম স্থলে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এ বিষয়ে চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কোনো প্রশাসনের দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।
চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত বুধবার ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরীতে ৯৫ জন এবং উপজেলায় ১৫ জন। এই পর্যন্ত সর্বমোট চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে নগরীতে ১৪ হাজার ৯৩০ জন এবং উপজেলায় ৫ হাজার ৫৩৫ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্ক ছাড়া বিকল্প নেই, এই বিষয়ে কঠোরতা প্রয়োজন। তবে পুলিশ এ বিষয়ে তৎপর নয়। দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কোতোয়ালি থানার বিপরীতে সড়কে টংয়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। সেখানে কারও মুখে মাস্ক নেই। কোতোয়ালি থানার সামনে থেকেই নগরীর বিভিন্ন রুটের গণপরিবহন চলাচল করে। নগরী থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাওয়ার রুটটিতে সিএনজি, টেম্পু, বাসে থাকা বেশিরভাগ বাসিন্দার মুখেই মাস্ক ছিল না। চট্টগ্রামের সদরঘাট, এনায়েত বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়াই ঘুরছে মানুষ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানছে না স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্কের ব্যবহার। এ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায়নি নগরীর কোনো স্থানে। এদিকে, নগরীর পার্ক, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে বাসিন্দারা। করোনা প্রতিরোধে পদক্ষেপ এবং প্রশাসন হার্ডলাইনে না থাকায় মাস্ক ব্যবহারের উদাসীনতা দেখা গেছে।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের তৎপরতা এবং বর্তমানে কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মোস্তাক আহমেদকে মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দ্বিতীয় সংক্রমণের আগেই যদি রোগী বাড়তে শুরু করে, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়বে চট্টগ্রাম। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এমন অবহেলায় এটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য রক্ষা অধিকার কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নগর ও জেলার বাসিন্দাদের নিজ থেকে আগে সচেতন হতে হবে। যদি কেউ মাস্ক ছাড়া বের হয়, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের উচিত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। এ বিষয়ে কেন ছাড় দেবে? স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সরকারি নির্দেশনা তো বলবৎ আছে। প্রধানমন্ত্রীও মাস্ক পরিধান কঠোর উপায়ে কার্যকর করতে বলেছেন। পুলিশের উচিত অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়া। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে মানুষ বর্তমানে মাস্ক ছাড়া বের হয়ে ঘুরছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস্ক ছাড়া গণপরিবহনে সড়কে মানুষ যেভাবে ঘুরছে, এরমধ্যে হাঁচি-কাশি দিয়ে অন্যকে সংক্রমিত করছে। এভাবে গণহারে সংক্রমণ বেড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কেউ তো তখন দায় নেবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রশাসনের দৃশ্যমান ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।’
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চট্টগ্রামে গত ১৫ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র সাত দিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৮২ জন। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ জন। চলতি মাসের ২১ দিনেই রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫০২ জন।
চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘গত বুধবার ৮টি ল্যাবে ৯৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার পজিটিভ বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ শতাংশ। মাস্ক ব্যবহারে উদাসীনতার কারণেই বাড়ছে ঝুঁকি। আমরা বারবার বলছি চিকিৎসা দিয়ে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব না। আমাদের অবকাঠামো ও জনবলও সীমিত। সামাজিক দূরত্ব হয়তো রক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু মাস্ক ব্যবহার না করলে অন্তত সংক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব না। তাই এখন মানুষের জীবনরক্ষায় উচিত আর্থিক দন্ড দেওয়া। তাহলে অন্তত টাকার ভয়ে কেউ আইন ভঙ্গ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস্কই হলো করোনা প্রতিরোধে আসল ভ্যাকসিন। সম্প্রতি চট্টগ্রামে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমূখী। মাস্ক ব্যবহার না করলে এর মাশুল দিতে হবে। আজ একটি মন্ত্রণালয়ের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে, সেখানে মাস্ক পরিধান বিষয়ে চট্টগ্রামের পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে মাঠ পর্যায়ে কঠোর হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা কঠোর আইনি অবস্থানে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন পর বিনামূল্যে আমরা কাপড়ের প্রায় দুই লাখ মাস্ক বিতরণ করব। যাতে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, মাস্ক ছাড়া যেন চলাচল না করে।’