চুরির অপবাদ
শিশুর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন
বরিশাল প্রতিনিধি | ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
বরিশালের বাকেরগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে গামছা পেঁচিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার নীলগঞ্জ গ্রামে নির্যাতনের শিকার হয় জুই আক্তার (৯) নামে ওই শিশুটি। আড়াই হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে প্রতিবেশী কবির চৌকিদারের ছেলে সাইল ও তার সহযোগীরা তার ওপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বশির হাওলাদার মামলা করলে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার জুইকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিশু ও তার মা জানায়, জুই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মামার বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে সাইল ও তার সহযোগীরা শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি বাথরুমের ভেতরে আটকে রাখে। সেখানে হাত-পা বেঁধে শিশুটিকে নির্মমভাবে পেটায় তারা। এক পর্যায়ে জুইয়ের মুখে গামছা বেঁধে নাকে-মুখে পানি ঢেলে জোর করে মোবাইল ফোন চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করে তারা। এ সময় শিশুটির শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়ে তারা শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অসুস্থাবস্থায় জুইকে ওইদিনই বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন শুμবার সন্ধ্যায় তাকে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনা জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন স্বজনরা।
শিশু জুইকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা বশির হাওলাদার বাদী হয়ে গত শুμবার অভিযুক্ত সাইলসহ ৫ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মামলার অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শেয়ার করুন
বরিশাল প্রতিনিধি | ১৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মোবাইল চুরির অভিযোগে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে গামছা পেঁচিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার নীলগঞ্জ গ্রামে নির্যাতনের শিকার হয় জুই আক্তার (৯) নামে ওই শিশুটি। আড়াই হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে প্রতিবেশী কবির চৌকিদারের ছেলে সাইল ও তার সহযোগীরা তার ওপর নির্যাতন চালায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বশির হাওলাদার মামলা করলে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার জুইকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শিশু ও তার মা জানায়, জুই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মামার বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে সাইল ও তার সহযোগীরা শিশুটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে একটি বাথরুমের ভেতরে আটকে রাখে। সেখানে হাত-পা বেঁধে শিশুটিকে নির্মমভাবে পেটায় তারা। এক পর্যায়ে জুইয়ের মুখে গামছা বেঁধে নাকে-মুখে পানি ঢেলে জোর করে মোবাইল ফোন চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করে তারা। এ সময় শিশুটির শরীরের স্পর্শকাতর বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়ে তারা শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অসুস্থাবস্থায় জুইকে ওইদিনই বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন শুμবার সন্ধ্যায় তাকে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনা জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন স্বজনরা।
শিশু জুইকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা বশির হাওলাদার বাদী হয়ে গত শুμবার অভিযুক্ত সাইলসহ ৫ জনকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মামলার অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’