বিয়ের ২ মাসে লাশ তামান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
সিলেট নগরীতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে সৈয়দা তামান্না বেগম (১৯) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর উত্তর কাজলশাহ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তামান্নার স্বামী মো. আল-মামুন (৩০) পলাতক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়েছিল। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধে হত্যা করে মামুন পালিয়েছে।
নগরীর কোতোয়ালি থানার এসআই আবদুল মান্নান জানান, বাসাটি তালাবদ্ধ থাকায় সন্দেহবশত বাসার মালিক পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে তামান্নার লাশ উদ্ধার করে। লাশ বিছানায় পড়েছিল। লাশের পাশে ছিল অর্ধেক খাওয়া একটি কেক। তামান্নার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলার আঘাত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এসআই মান্নান আরও জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তামান্না সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বলদি গ্রামের ফয়জুর রহমানের মেয়ে। আর মামুন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার হোগলারচর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, মামুন সিলেট নগরীর আল মারজান শপিং কমপ্লেক্সে কাপড়ের ব্যবসা করে। ঐশী ফেব্রিকস নামে তার একটি দোকান রয়েছে। কেনাকাটা করতে গিয়েই মামুনের সঙ্গে তামান্নার পরিচয় হয়েছিল। এরপর বিয়ের আলোচনা শুরু হলে তামান্নার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই প্রথমে রাজি হননি। তবে শেষ পর্যন্ত পারিবারিক আয়োজনেই গত ৩০ সেপ্টেম্বর তামান্না ও মামুনের বিয়ে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার রাতের কোনো একসময় তামান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে মামুন।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছে তামান্না। তখন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই তামান্না ও মামুনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর খবর পেয়ে স্বজনরা এসে বিছানায় তামান্নার লাশ দেখতে পান।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

সিলেট নগরীতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে সৈয়দা তামান্না বেগম (১৯) নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর উত্তর কাজলশাহ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তামান্নার স্বামী মো. আল-মামুন (৩০) পলাতক। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের বিয়ে হয়েছিল। পুলিশের ধারণা, শ্বাসরোধে হত্যা করে মামুন পালিয়েছে।
নগরীর কোতোয়ালি থানার এসআই আবদুল মান্নান জানান, বাসাটি তালাবদ্ধ থাকায় সন্দেহবশত বাসার মালিক পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে তামান্নার লাশ উদ্ধার করে। লাশ বিছানায় পড়েছিল। লাশের পাশে ছিল অর্ধেক খাওয়া একটি কেক। তামান্নার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলার আঘাত দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এসআই মান্নান আরও জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তামান্না সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বলদি গ্রামের ফয়জুর রহমানের মেয়ে। আর মামুন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার হোগলারচর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া জানান, মামুন সিলেট নগরীর আল মারজান শপিং কমপ্লেক্সে কাপড়ের ব্যবসা করে। ঐশী ফেব্রিকস নামে তার একটি দোকান রয়েছে। কেনাকাটা করতে গিয়েই মামুনের সঙ্গে তামান্নার পরিচয় হয়েছিল। এরপর বিয়ের আলোচনা শুরু হলে তামান্নার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই প্রথমে রাজি হননি। তবে শেষ পর্যন্ত পারিবারিক আয়োজনেই গত ৩০ সেপ্টেম্বর তামান্না ও মামুনের বিয়ে হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার রাতের কোনো একসময় তামান্নাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে মামুন।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, রবিবার রাত ৯টার দিকে মায়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছে তামান্না। তখন অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। কিন্তু সোমবার সকাল থেকেই তামান্না ও মামুনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর খবর পেয়ে স্বজনরা এসে বিছানায় তামান্নার লাশ দেখতে পান।