বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ৯ নির্দেশনা বাস্তবায়ন চায় হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশ এলাকার বায়ুদূষণ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক মাসের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ঢাকা শহর ও আশপাশের বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির (হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৯টি নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।
নির্দেশনাগুলো হলো ১) ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনের ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, ২) নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, ৩) সিটি করপোরেশন সড়কে পানি ছিটাবে, ৪) রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, ৫) কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, ৬)
সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ৭) অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, ৮) পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সব টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখা এবং ৯) মার্কেট/দোকানে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখাসহ সেগুলো অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ নেওয়া।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম টিপু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে গত ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নিলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমলেও সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা শহর আবারও সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহরে পরিণত হয়েছে। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে বায়ুদূষণ রোধের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।’ ডিএজি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ঢাকার বাতাস কী কারণে দূষিত হচ্ছে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বা প্রয়োজন সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। তবে ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশ এলাকার বায়ুদূষণ যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এক মাসের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। ঢাকা শহর ও আশপাশের বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির (হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট ৯টি নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়।
নির্দেশনাগুলো হলো ১) ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনের ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, ২) নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালি/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, ৩) সিটি করপোরেশন সড়কে পানি ছিটাবে, ৪) রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, ৫) কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা, ৬)
সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, ৭) অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা, ৮) পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান সব টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখা এবং ৯) মার্কেট/দোকানে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখাসহ সেগুলো অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ নেওয়া।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইনাম টিপু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরিদা ইয়াসমিন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে গত ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নিলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমলেও সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা শহর আবারও সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহরে পরিণত হয়েছে। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে বায়ুদূষণ রোধের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।’ ডিএজি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ঢাকার বাতাস কী কারণে দূষিত হচ্ছে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বা প্রয়োজন সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট। তবে ঢাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’