পম্পেই নগরীর ২ দেহাবশেষের সন্ধান
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
প্রাচীন রোমান সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন পম্পেই নগরী। সে সময়কার পৃথিবীর অন্যতম অভিজাত জনপদ ছিল এটি। ইতালির নেপলসের ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের পরিকল্পিত ওই শহরটিতে তখন বাস ছিল ১৩ হাজার মানুষের। কিন্তু ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির ছোবল বিনাশ করে দিয়েছিল পুরো সভ্যতাটিকেই। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের দুদিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্ন্যুৎপাতে সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল পম্পেই নগরী। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু ছাই-পাথর চাপা এবং ফুটন্ত লাভার নিচে জীবন্ত কবর হয়েছিল পুরো শহরবাসীর। সেই ঘটনা আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগের। কিন্তু সম্প্রতি প্রতœতত্ত্ববিদরা সে সময়ের দুটি দেহাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বিবিসি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বহু বছর ধরেই পম্পেই শহরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রাচীন ওই শহরের উপকণ্ঠে খননকাজ চলার সময় চলতি মাসেই দেহাবশেষ দুটির সন্ধান পান তারা। ওই দেহাবশেষ দুটির একজন উচ্চ শ্রেণি মর্যাদার এবং অন্য ব্যক্তি তার দাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পম্পেই নগরীর ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই এতদিন ধরে সংরক্ষিত ছিল ওই মরদেহ দুটি।
পম্পেই প্রত্নতত্ত্ব পার্কের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ধনী ব্যক্তিটির বয়স হবে ৩০ থেকে ৪০। তার গলার নিচে গরম উলের কাপড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স হবে ১৮ থেকে ২৩। তার মেরুদণ্ডের অংশ পরীক্ষা করে ধারণা করা যায় যে তিনি কায়িক পরিশ্রম করতেন এবং একজন দাস ছিলেন।
পম্পেই প্রত্নতত্ত্ব পার্কের পরিচালক মাসিমো ওসান্না বলেন, ‘অগ্ন্যুৎপাতের সময় হয়তো তারা বাঁচার জন্য কোনো আশ্রয় খুঁজছিল। হয়তো পালিয়েও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু পালাতে গিয়ে হয়তো লাভার স্রোতে ভেসে যায় তারা। মুষ্টিবদ্ধ হাত ও পা দেখে বোঝা যায় যে, পুড়ে গিয়ে বা প্রচণ্ড তাপে মৃত্যু হয়েছে তাদের।’
নতুন করে দুই দেহাবশেষ উদ্ধারের মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাতের ব্যাপারে দারুণ সব তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

প্রাচীন রোমান সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন পম্পেই নগরী। সে সময়কার পৃথিবীর অন্যতম অভিজাত জনপদ ছিল এটি। ইতালির নেপলসের ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের পরিকল্পিত ওই শহরটিতে তখন বাস ছিল ১৩ হাজার মানুষের। কিন্তু ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির ছোবল বিনাশ করে দিয়েছিল পুরো সভ্যতাটিকেই। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াসের দুদিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্ন্যুৎপাতে সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল পম্পেই নগরী। প্রায় ৬০ ফুট উঁচু ছাই-পাথর চাপা এবং ফুটন্ত লাভার নিচে জীবন্ত কবর হয়েছিল পুরো শহরবাসীর। সেই ঘটনা আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগের। কিন্তু সম্প্রতি প্রতœতত্ত্ববিদরা সে সময়ের দুটি দেহাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বিবিসি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বহু বছর ধরেই পম্পেই শহরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রাচীন ওই শহরের উপকণ্ঠে খননকাজ চলার সময় চলতি মাসেই দেহাবশেষ দুটির সন্ধান পান তারা। ওই দেহাবশেষ দুটির একজন উচ্চ শ্রেণি মর্যাদার এবং অন্য ব্যক্তি তার দাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পম্পেই নগরীর ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই এতদিন ধরে সংরক্ষিত ছিল ওই মরদেহ দুটি।
পম্পেই প্রত্নতত্ত্ব পার্কের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘ধনী ব্যক্তিটির বয়স হবে ৩০ থেকে ৪০। তার গলার নিচে গরম উলের কাপড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স হবে ১৮ থেকে ২৩। তার মেরুদণ্ডের অংশ পরীক্ষা করে ধারণা করা যায় যে তিনি কায়িক পরিশ্রম করতেন এবং একজন দাস ছিলেন।
পম্পেই প্রত্নতত্ত্ব পার্কের পরিচালক মাসিমো ওসান্না বলেন, ‘অগ্ন্যুৎপাতের সময় হয়তো তারা বাঁচার জন্য কোনো আশ্রয় খুঁজছিল। হয়তো পালিয়েও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু পালাতে গিয়ে হয়তো লাভার স্রোতে ভেসে যায় তারা। মুষ্টিবদ্ধ হাত ও পা দেখে বোঝা যায় যে, পুড়ে গিয়ে বা প্রচণ্ড তাপে মৃত্যু হয়েছে তাদের।’
নতুন করে দুই দেহাবশেষ উদ্ধারের মাধ্যমে অগ্ন্যুৎপাতের ব্যাপারে দারুণ সব তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।