সিলেটে ফাঁড়িতে যুবক ‘হত্যা’
আরও ২ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের আরও দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র ও রায়হান হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেন। গতকাল বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর পর বন্দরবাজার ফাঁড়ির তখনকার ইনচার্জ উপপরিদর্শক আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে নতুন করে এই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, ‘আকবরকে পালাতে কারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।’
গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়ার রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার পরই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশের চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তের পরদিনই লাপাত্তা হন এসআই আকবর। ৯ নভেম্বর তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ধরা পড়েন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের আরও দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র ও রায়হান হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেন। গতকাল বুধবার সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর পর বন্দরবাজার ফাঁড়ির তখনকার ইনচার্জ উপপরিদর্শক আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে নতুন করে এই দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বি এম আশরাফ উল্যাহ বলেন, ‘আকবরকে পালাতে কারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।’
গত ১০ অক্টোবর রাতে নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়ার রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার পরই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশের চার সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তের পরদিনই লাপাত্তা হন এসআই আকবর। ৯ নভেম্বর তিনি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে ধরা পড়েন।