চিকিৎসা না পেয়ে যমজ নবজাতকের মৃত্যু
হাইকোর্টের আদেশের ব্যাখ্যা তিন হাসপাতালের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
রাজধানীর তিনটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে যমজ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে তিন হাসপাতাল। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক এ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যা জমা দেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি ধার্য করে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এদিকে এ-সংক্রান্ত রুলের শুনানিতে মতামত দিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে (আদালতে আইনি সহায়তাকারী) নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারা হলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ড. শাহদীন মালিক, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
২ নভেম্বর যমজ নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অফিস সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ। তার অভিযোগ, সরকারি-বেসরকারি ওই তিন হাসপাতাল ঘুরে নবজাতকদের চিকিৎসা মেলেনি। আর এতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ দুই শিশু। এমন ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে বিএসএমএমইউ, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই শিশু মুমূর্ষু হওয়ার পরও চিকিৎসায় বিবাদীদের (তিন হাসপাতাল) অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারি করে আদালত।
ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল তাদের ব্যাখ্যায় বলেছে, সেখানে নবজাতকদের পর্যাপ্ত সুবিধা দেওয়ার মতো উপাদান নেই। আর ঢাকা শিশু হাসপাতাল যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে তাদের বক্তব্যের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। হাসপাতালের ঊর্ধ্বতনরা বলছেন, দুই নবজাতককে সেখানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতেন না। কিন্তু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সহযোগে দুই নবজাতককে নিয়ে যাওয়া, টিকিট কাটাসহ সেখানে অবস্থান করার সব তথ্যই রয়েছে। বিএসএমএমইউ বলেছে, দুই নবজাতককে নিয়ে যাওয়ার পর তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একজন নার্স পাঠান এবং কর্তব্যরত নার্স শিশুদের কোনো পালস খুঁজে পাননি। এখন অ্যামিকাস কিউরিরা সব বিষয় পর্যালোচনা করে তাদের বক্তব্য দেবেন।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

রাজধানীর তিনটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে যমজ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে তিন হাসপাতাল। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পক্ষে আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব শফিক এবং মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পক্ষে আইনজীবী আব্দুল খালেক এ-সংক্রান্ত ব্যাখ্যা জমা দেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৮ জানুয়ারি ধার্য করে।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এদিকে এ-সংক্রান্ত রুলের শুনানিতে মতামত দিতে সুপ্রিম কোর্টের তিন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও একজন শিশু বিশেষজ্ঞকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে (আদালতে আইনি সহায়তাকারী) নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারা হলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ড. শাহদীন মালিক, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।
২ নভেম্বর যমজ নবজাতকের লাশ নিয়ে হাইকোর্টে এসেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অফিস সহকারী মো. আবুল কালাম আজাদ। তার অভিযোগ, সরকারি-বেসরকারি ওই তিন হাসপাতাল ঘুরে নবজাতকদের চিকিৎসা মেলেনি। আর এতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ দুই শিশু। এমন ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত আদেশে বিএসএমএমইউ, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চায় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই শিশু মুমূর্ষু হওয়ার পরও চিকিৎসায় বিবাদীদের (তিন হাসপাতাল) অবহেলা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারি করে আদালত।
ডিএজি আমিন উদ্দিন মানিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল তাদের ব্যাখ্যায় বলেছে, সেখানে নবজাতকদের পর্যাপ্ত সুবিধা দেওয়ার মতো উপাদান নেই। আর ঢাকা শিশু হাসপাতাল যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তাতে তাদের বক্তব্যের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। হাসপাতালের ঊর্ধ্বতনরা বলছেন, দুই নবজাতককে সেখানে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতেন না। কিন্তু হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সহযোগে দুই নবজাতককে নিয়ে যাওয়া, টিকিট কাটাসহ সেখানে অবস্থান করার সব তথ্যই রয়েছে। বিএসএমএমইউ বলেছে, দুই নবজাতককে নিয়ে যাওয়ার পর তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একজন নার্স পাঠান এবং কর্তব্যরত নার্স শিশুদের কোনো পালস খুঁজে পাননি। এখন অ্যামিকাস কিউরিরা সব বিষয় পর্যালোচনা করে তাদের বক্তব্য দেবেন।’