হাইকোর্টে আটকে গেল ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। নির্বাচনের তফসিল চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় এক ভোটারের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নির্বাচনের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশসহ রুল দেয়। রুলে ফরিদপুর পৌরসভাকে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৬তম সভায় সিটি করপোরেশন করার অনুমোদনের পরও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুরে পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নিকারের ১১৬তম সভার আলোচ্যসূচিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ (৪) অনুযায়ী ফরিদপুর পৌর এলাকাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার জন্য শর্ত প্রযোজ্য হয়েছে। সভাতে ফরিদপুর পৌরসভা সিটি করপোরেশন হিসেবে অনুমোদন পায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর শাখা ইসিকে দেওয়া চিঠিতে জানায়, ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন করতে আইনগত বাধা নেই। গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন পাঁচটি পৌরসভা, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনের তারিখ ও সময় ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ নভেম্বর রিট আবেদনটি করা হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৬ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০

ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। নির্বাচনের তফসিল চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় এক ভোটারের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নির্বাচনের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশসহ রুল দেয়। রুলে ফরিদপুর পৌরসভাকে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) ১১৬তম সভায় সিটি করপোরেশন করার অনুমোদনের পরও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ঘোষিত তফসিল কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ১০ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে আদেশে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুরে পৌরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।
গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নিকারের ১১৬তম সভার আলোচ্যসূচিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৩ (৪) অনুযায়ী ফরিদপুর পৌর এলাকাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার জন্য শর্ত প্রযোজ্য হয়েছে। সভাতে ফরিদপুর পৌরসভা সিটি করপোরেশন হিসেবে অনুমোদন পায়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর শাখা ইসিকে দেওয়া চিঠিতে জানায়, ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন করতে আইনগত বাধা নেই। গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন পাঁচটি পৌরসভা, সংশ্লিষ্ট পৌরসভার সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নির্বাচনের তারিখ ও সময় ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে গত ১৫ নভেম্বর রিট আবেদনটি করা হয়।