নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আলী কবীর
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এস এম আলী কবীরকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে আলী কবীরকে নতুন করে সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। ২০১১ সালে সচিব পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তার সময়ের এবং পরের অনেক সচিবকে নানা পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলেও আলী কবীরকে দেওয়া হয়নি।
বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের কর্মকর্তা আলী কবীর ছিলেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান নাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর সংস্থাপন সচিব হিসেবে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে তাকে প্রথম নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে পরিবর্তন আনেন শেখ হাসিনা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব পদে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আলী কবীরকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এর আগে কয়েক বছর তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে রাখা হয়। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আলী কবীর চাকরি ফিরে পান। একই সরকারের সময়ে তাকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
সচিব পদমর্যাদা ও এ সংশ্লিষ্ট সুবিধাদিসহ তাকে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী আলী কবীর এই নিয়োগ পেয়েছেন। আলী কবীর বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি মুজিবুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে আলী কবীরের এই নিয়োগ কার্যকর হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে আলী কবির এই নিয়োগ পেয়েছেন। এ এস এম আলী কবীর ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও এমএ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এস এম আলী কবীরকে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে আলী কবীরকে নতুন করে সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো। ২০১১ সালে সচিব পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর তিনি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তার সময়ের এবং পরের অনেক সচিবকে নানা পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলেও আলী কবীরকে দেওয়া হয়নি।
বিসিএস ১৯৭৯ ব্যাচের কর্মকর্তা আলী কবীর ছিলেন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান নাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর সংস্থাপন সচিব হিসেবে প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে তাকে প্রথম নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে পরিবর্তন আনেন শেখ হাসিনা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব পদে যোগদানের আগে তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা আলী কবীরকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এর আগে কয়েক বছর তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে রাখা হয়। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আলী কবীর চাকরি ফিরে পান। একই সরকারের সময়ে তাকে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
সচিব পদমর্যাদা ও এ সংশ্লিষ্ট সুবিধাদিসহ তাকে তিন বছরের জন্য এই নিয়োগ দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী আলী কবীর এই নিয়োগ পেয়েছেন। আলী কবীর বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। আগামী ১৪ জানুয়ারি মুজিবুর রহমানের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে আলী কবীরের এই নিয়োগ কার্যকর হবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে আলী কবির এই নিয়োগ পেয়েছেন। এ এস এম আলী কবীর ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও এমএ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।