মাদক মামলা
পাপিয়া দম্পতির বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিচার শুরুর আদেশ এসেছে আদালত থেকে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর অষ্টম বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম এ মামলায় দুজনের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১ মার্চ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ ধার্য করেন। অস্ত্র মামলায় ২০ বছর করে দ-প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন পাপিয়া ও সুমন।
পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার ও কিছু বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এরপর পাপিয়ার ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার ও জব্দ করে র্যাব। র্যাব তখন জানায়, পাপিয়া গুলশানের ‘ওয়েস্টিন’ হোটেল রুম ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন এবং ওই হোটেলে কোটি টাকার বেশি বিল দিতেন। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে। পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা করে র্যাব। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় দুজনের বিরুদ্ধে একটি এবং মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে আরও একটি মামলা হয় এই দম্পতির বিরুদ্ধে।
অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত বছর ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৭ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামীকে পৃথক দুটি ধারায় ২০ ও ৭ বছর করে কারাদ- দেয় ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। দুই ধারায় দুজনের ২৭ বছর কারাদন্ড হলেও রায় অনুযায়ী দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে দুজনকে ২০ বছর সাজা খাটতে হবে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নরসিংদী যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বিচার শুরুর আদেশ এসেছে আদালত থেকে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর অষ্টম বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আমিরুল ইসলাম এ মামলায় দুজনের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ১ মার্চ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ ধার্য করেন। অস্ত্র মামলায় ২০ বছর করে দ-প্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন পাপিয়া ও সুমন।
পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে গত বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার ও কিছু বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এরপর পাপিয়ার ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার ও জব্দ করে র্যাব। র্যাব তখন জানায়, পাপিয়া গুলশানের ‘ওয়েস্টিন’ হোটেল রুম ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন এবং ওই হোটেলে কোটি টাকার বেশি বিল দিতেন। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে। পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে আলাদা মামলা করে র্যাব। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় দুজনের বিরুদ্ধে একটি এবং মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে আরও একটি মামলা হয় এই দম্পতির বিরুদ্ধে।
অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলায় গত বছর ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২৭ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামীকে পৃথক দুটি ধারায় ২০ ও ৭ বছর করে কারাদ- দেয় ঢাকার ১ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। দুই ধারায় দুজনের ২৭ বছর কারাদন্ড হলেও রায় অনুযায়ী দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে দুজনকে ২০ বছর সাজা খাটতে হবে।