তাপস ও সাঈদের বিষয়ে দুদক চুপ কেন : রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক) নিশ্চুপ কেন তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এসব অভিযোগের উদ্দেশ্য যাই হোক, তার কথায় অনেক সত্য বেরিয়ে আসছে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দুই মেয়রের বিষয়ে দুদকের চুপ থাকার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এখন দুদক তামাশা দেখবে না পদক্ষেপ নেবে? বিএনপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তো তাদের কোনো সময় লাগে না। মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক মামলাকে দুদক একেবারে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দুদকের চেয়ারম্যান প্রেস ব্রিফিং করে বিএনপির নেতাদের নামে কথা বলেন। আমাদের প্রশ্ন এখন দুদক নিশ্চুপ কেন? তারাই (দুজন) তো তাদের কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা যেসব অভিযোগ উত্থাপন করছেন সেসবের উদ্দেশ্য যাই হোক, তার বক্তব্যে অনেক সত্য বেরিয়ে আসছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে খোদ ওবায়দুল কাদের সাহেব জিতবেন কি না, তার আপন ছোট ভাই-ই এ প্রশ্ন তুলেছেন। আওয়ামী লীগের এ তিনজন (তাপস-খোকন-কাদের মির্জা) নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের “টপ টু বটম” আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। লুটপাটে কে কাকে টক্কর দিতে পেরেছে এ নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছে। আওয়ামী লীগ তাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে যে সত্য তুলে ধরছে তাতে প্রমাণিত, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একটি ওয়ান-ইলেভেনের নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল “২১ আগস্টের ঘটনা”। ’৭৫-এর নভেম্বরে যারা দেশকে উল্টো পথে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল, ২০০৭ সালে কথিত “ওয়ান-ইলেভেনে”র মাধ্যমে তারা সফল হয়। এরপরই তারা দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিডিআর পিলখানায় সুকৌশলে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ ছিল তাদের সেই এজেন্ডা বাস্তবায়নেরই অংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অধ্যাপিকা শাহিদা রফিক, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক প্রমুখ।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতির দমন কমিশন (দুদক) নিশ্চুপ কেন তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এসব অভিযোগের উদ্দেশ্য যাই হোক, তার কথায় অনেক সত্য বেরিয়ে আসছে।’ গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দুই মেয়রের বিষয়ে দুদকের চুপ থাকার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এখন দুদক তামাশা দেখবে না পদক্ষেপ নেবে? বিএনপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে তো তাদের কোনো সময় লাগে না। মিথ্যা-বানোয়াট-কাল্পনিক মামলাকে দুদক একেবারে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দুদকের চেয়ারম্যান প্রেস ব্রিফিং করে বিএনপির নেতাদের নামে কথা বলেন। আমাদের প্রশ্ন এখন দুদক নিশ্চুপ কেন? তারাই (দুজন) তো তাদের কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা যেসব অভিযোগ উত্থাপন করছেন সেসবের উদ্দেশ্য যাই হোক, তার বক্তব্যে অনেক সত্য বেরিয়ে আসছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে খোদ ওবায়দুল কাদের সাহেব জিতবেন কি না, তার আপন ছোট ভাই-ই এ প্রশ্ন তুলেছেন। আওয়ামী লীগের এ তিনজন (তাপস-খোকন-কাদের মির্জা) নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যে আবারও প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের “টপ টু বটম” আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। লুটপাটে কে কাকে টক্কর দিতে পেরেছে এ নিয়েই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলছে। আওয়ামী লীগ তাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে যে সত্য তুলে ধরছে তাতে প্রমাণিত, আওয়ামী লীগ এখন ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘একটি ওয়ান-ইলেভেনের নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছিল “২১ আগস্টের ঘটনা”। ’৭৫-এর নভেম্বরে যারা দেশকে উল্টো পথে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল, ২০০৭ সালে কথিত “ওয়ান-ইলেভেনে”র মাধ্যমে তারা সফল হয়। এরপরই তারা দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিডিআর পিলখানায় সুকৌশলে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তার নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ ছিল তাদের সেই এজেন্ডা বাস্তবায়নেরই অংশ।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, অধ্যাপিকা শাহিদা রফিক, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক প্রমুখ।