আনুশকা ধর্ষণ-হত্যা মামলা
‘দুলালের সহায়তায় আনুশকাকে বাসা থেকে নামায় দিহান’
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিন ধর্ষণ-হত্যা মামলার সাক্ষী হয়েছেন আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাসার নিরাপত্তারক্ষী দুলাল হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার আদালত প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দুলালের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার বেলা ১২টার দিকে দুলালকে মিরপুর রোডের ডলফিন গলির সামনে থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার আনুশকার মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
এসি আবুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দুলাল মামলার সাক্ষী হিসেবে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আর পুলিশের হেফাজতে থাকবেন না। বাসায় চলে যাবেন।’ পুলিশের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দুলাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দিহান বাসা থেকে আনুশকাকে নামানোর সময় তার সহযোগিতা নিয়েছে। আনুশকাকে ধরে বাসার তিন তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে গাড়িতে তুলেছে দিহান ও দুলাল। এক্ষেত্রে দুলাল ওই বাসায় গিয়ে যা দেখেছে আদালতে তার বর্ণনা দিয়েছেন।’
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনুশকার মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এর আগে দিহান আনুশকার মাকে ফোন করে জানায়, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তার মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় আনুশকার কথিত বন্ধু দিহানকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া ওই সময় হাসপাতালে থাকা দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। ঘটনার সঙ্গে তাদের প্রাথমিকভাবে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরদিন মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আনুশকার বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয় শুধু দিহানের বিরুদ্ধে। দিহান বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকা নূর আমিন ধর্ষণ-হত্যা মামলার সাক্ষী হয়েছেন আসামি ফারদিন ইফতেখার দিহানের বাসার নিরাপত্তারক্ষী দুলাল হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার আদালত প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দুলালের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেছে। ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার বেলা ১২টার দিকে দুলালকে মিরপুর রোডের ডলফিন গলির সামনে থেকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার আনুশকার মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
এসি আবুল হাসান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দুলাল মামলার সাক্ষী হিসেবে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আর পুলিশের হেফাজতে থাকবেন না। বাসায় চলে যাবেন।’ পুলিশের এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দুলাল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দিহান বাসা থেকে আনুশকাকে নামানোর সময় তার সহযোগিতা নিয়েছে। আনুশকাকে ধরে বাসার তিন তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে গাড়িতে তুলেছে দিহান ও দুলাল। এক্ষেত্রে দুলাল ওই বাসায় গিয়ে যা দেখেছে আদালতে তার বর্ণনা দিয়েছেন।’
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আনুশকার মরদেহ উদ্ধার করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এর আগে দিহান আনুশকার মাকে ফোন করে জানায়, আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে তার মেয়ে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এ ঘটনায় আনুশকার কথিত বন্ধু দিহানকে আটক করে পুলিশ। এ ছাড়া ওই সময় হাসপাতালে থাকা দিহানের তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। ঘটনার সঙ্গে তাদের প্রাথমিকভাবে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরদিন মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আনুশকার বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলায় ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ আনা হয় শুধু দিহানের বিরুদ্ধে। দিহান বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।