১০ মাস পর চীনে ‘মারাত্মক’ প্রাদুর্ভাব
রূপান্তর ডেস্ক | ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
গত বছরের মার্চের পর এখন সবচেয়ে মারাত্মক প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে চীন। দি গার্ডিয়ান বলছে, গত ১৭ জানুয়ারি শনাক্তদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার ফলাফল এসেছে গতকাল বুধবার। এতে দুজনের শরীরে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত অতি সংক্রামক করোনার নতুন ধরন পাওয়া গেছে।
পেইচিংয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক প্যাং চিনহুয়া জানান, শনাক্ত নতুন দুটি ঘটনার সঙ্গে অতীতে চীনে স্থানীয় সংক্রমণের কোনো মিল নেই। প্রাথমিকভাবে একে বিদেশ থেকে আসা এবং সম্ভবত ব্রিটেনের নতুন ধরন মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশে রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এমন এক সময়ে চীনে এ বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের দেখা মিলেছে, যখন বৈশ্বিক মহামারী পর্যালোচনা করা স্বাধীন একটি সংস্থা প্রথম দিকের প্রাদুর্ভাবের লাগাম টেনে ধরতে চীন আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারত বলে মন্তব্য করেছে।
যদিও মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস করোনা মোকাবিলায় নিজেদের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোর পক্ষে সাফাই গেয়েছে। তারা বলেছে, সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের কোনো দেশেরই অভিজ্ঞতা থাকে না। পেছনে ফিরে তাকালে কোনো দেশই নতুন একটি ভাইরাসের মোকাবিলায় সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে পারে না। একই ধরনের মহামারী ফের এলে কোনো ভুল না করার নিশ্চয়তা কোনো দেশই দিতে পারবে না।
টানা অষ্টম দিনের মতো চীন শতাধিক নতুন রোগী পেয়েছে। গতকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে ১০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্র্তৃপক্ষ। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১১৮। মঙ্গলবার শনাক্তদের মধ্যে ১০৬ জনই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। উত্তর-পূর্ব প্রদেশ জিলিনে শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ৪৩ জন রোগী; চেইপিংয়ের কাছের হুবেই প্রদেশে মিলেছে ৩৫ জন। চীনের রাজধানীতে একজনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; উত্তরে হেইলংজিয়ানে রোগী মিলেছে আরও ২৭ জন।
সরকারি হিসাবে চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৪৫৪; প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৬৩৫ জনের। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যে, বিশ্বে ৯ কোটি ৬৮ লাখ ১ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। আর মারা গেছে ২০ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

গত বছরের মার্চের পর এখন সবচেয়ে মারাত্মক প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করছে চীন। দি গার্ডিয়ান বলছে, গত ১৭ জানুয়ারি শনাক্তদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার ফলাফল এসেছে গতকাল বুধবার। এতে দুজনের শরীরে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত অতি সংক্রামক করোনার নতুন ধরন পাওয়া গেছে।
পেইচিংয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক প্যাং চিনহুয়া জানান, শনাক্ত নতুন দুটি ঘটনার সঙ্গে অতীতে চীনে স্থানীয় সংক্রমণের কোনো মিল নেই। প্রাথমিকভাবে একে বিদেশ থেকে আসা এবং সম্ভবত ব্রিটেনের নতুন ধরন মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় একটি প্রদেশে রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এমন এক সময়ে চীনে এ বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের দেখা মিলেছে, যখন বৈশ্বিক মহামারী পর্যালোচনা করা স্বাধীন একটি সংস্থা প্রথম দিকের প্রাদুর্ভাবের লাগাম টেনে ধরতে চীন আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে পারত বলে মন্তব্য করেছে।
যদিও মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ট্যাবলয়েড গ্লোবাল টাইমস করোনা মোকাবিলায় নিজেদের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলোর পক্ষে সাফাই গেয়েছে। তারা বলেছে, সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের কোনো দেশেরই অভিজ্ঞতা থাকে না। পেছনে ফিরে তাকালে কোনো দেশই নতুন একটি ভাইরাসের মোকাবিলায় সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে পারে না। একই ধরনের মহামারী ফের এলে কোনো ভুল না করার নিশ্চয়তা কোনো দেশই দিতে পারবে না।
টানা অষ্টম দিনের মতো চীন শতাধিক নতুন রোগী পেয়েছে। গতকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে ১০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্র্তৃপক্ষ। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ১১৮। মঙ্গলবার শনাক্তদের মধ্যে ১০৬ জনই স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। উত্তর-পূর্ব প্রদেশ জিলিনে শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড ৪৩ জন রোগী; চেইপিংয়ের কাছের হুবেই প্রদেশে মিলেছে ৩৫ জন। চীনের রাজধানীতে একজনের দেহে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে; উত্তরে হেইলংজিয়ানে রোগী মিলেছে আরও ২৭ জন।
সরকারি হিসাবে চীনের মূল ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৪৫৪; প্রাণ গেছে ৪ হাজার ৬৩৫ জনের। গতকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যে, বিশ্বে ৯ কোটি ৬৮ লাখ ১ হাজারের বেশি শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি। আর মারা গেছে ২০ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ।