পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার প্রতিশ্রুতি জানাল বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত চুক্তি (টিপিএনডব্লিউ) কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে নিউ ইয়র্ক, জেনেভা এবং ভিয়েনায় একযোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর ৫০তম অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে হন্ডুরাস দলিল জমা দেয়। এর ৯০ দিন পর গত ২২ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশের পূর্ণ ও অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতি অবিচল থাকার সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতির ফলে এ চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ের অন্যতম এক প্রবক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত আহ্বানকে ধারণ করে বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পরে জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশন চলাকালীন ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চুক্তিটি অনুসমর্থন করে বাংলাদেশ।
পারমাণবিক অস্ত্রের অমানবিক ও বিধ্বংসী পরিণতির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা যেসব রাষ্ট্র এখনো এ চুক্তি স্বাক্ষর করেনি তাদের তা স্বাক্ষর করার আহ্বান জানান। পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি শান্তিপূর্ণ ও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে অব্যাহতভাবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার, বিকাশ, পরীক্ষা, উৎপাদন, মজুদকরণ, কেন্দ্র স্থাপন, স্থানান্তর ও হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ। এসব লক্ষ্য অর্জনে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
এ পর্যন্ত ৮৬টি দেশ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছে এবং ৫১টি দেশ অনুসমর্থন করেছে।
অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কোস্টারিকা, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন টু অ্যাবলিস নিউক্লিয়াস উইপনের প্রধানরা। জাতিসংঘ মহাসচিব অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে একটি ভিডিও বক্তব্য দেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত চুক্তি (টিপিএনডব্লিউ) কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এ চুক্তি কার্যকর হওয়ার ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে নিউ ইয়র্ক, জেনেভা এবং ভিয়েনায় একযোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। গতকাল শনিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর ৫০তম অনুসমর্থনকারী দেশ হিসেবে হন্ডুরাস দলিল জমা দেয়। এর ৯০ দিন পর গত ২২ জানুয়ারি থেকে চুক্তিটি কার্যকর হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশের পূর্ণ ও অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রাবাব ফাতিমা। তিনি বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের প্রতি অবিচল থাকার সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতির ফলে এ চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ের অন্যতম এক প্রবক্তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত আহ্বানকে ধারণ করে বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পরে জাতিসংঘের ৭৪তম অধিবেশন চলাকালীন ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চুক্তিটি অনুসমর্থন করে বাংলাদেশ।
পারমাণবিক অস্ত্রের অমানবিক ও বিধ্বংসী পরিণতির কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা যেসব রাষ্ট্র এখনো এ চুক্তি স্বাক্ষর করেনি তাদের তা স্বাক্ষর করার আহ্বান জানান। পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, পারমাণবিক প্রযুক্তির গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি শান্তিপূর্ণ ও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্বের জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে অব্যাহতভাবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার, বিকাশ, পরীক্ষা, উৎপাদন, মজুদকরণ, কেন্দ্র স্থাপন, স্থানান্তর ও হুমকি প্রদান নিষিদ্ধ। এসব লক্ষ্য অর্জনে এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
এ পর্যন্ত ৮৬টি দেশ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছে এবং ৫১টি দেশ অনুসমর্থন করেছে।
অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কোস্টারিকা, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন টু অ্যাবলিস নিউক্লিয়াস উইপনের প্রধানরা। জাতিসংঘ মহাসচিব অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে একটি ভিডিও বক্তব্য দেন।