দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে : ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
দেশে এখন ঊনসত্তরের মতো গণঅভ্যুত্থানের পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আবারও অধিকারহারা বঞ্চিত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে আসতে হবে। ভাঙতে হবে স্বৈরাচারের দুঃশাসনের শৃঙ্খল।’ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে। দেশে এখন জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা ও নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার নেই। দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উৎস।’
তিনি বলেন, ‘১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতাপ্রাপ্তির অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও দেশীয় কর্র্তৃত্ববাদী স্বৈরাচার ঔপনিবেশিক প্রভুদের মতো দুঃশাসন চালাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এ দিনে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য দীর্ঘ আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল পশ্চিমা শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে রাজপথে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের জনগণের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ঊনসত্তরের এ দিনে গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি লাভ করে। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের এ সংগ্রাম ছিল বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

দেশে এখন ঊনসত্তরের মতো গণঅভ্যুত্থানের পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আবারও অধিকারহারা বঞ্চিত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে বেরিয়ে আসতে হবে। ভাঙতে হবে স্বৈরাচারের দুঃশাসনের শৃঙ্খল।’ ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে। দেশে এখন জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা ও নির্ভয়ে কথা বলার অধিকার নেই। দেশের গণতন্ত্র ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের প্রেরণার উৎস।’
তিনি বলেন, ‘১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতাপ্রাপ্তির অর্ধশতাব্দী অতিক্রান্ত হলেও দেশীয় কর্র্তৃত্ববাদী স্বৈরাচার ঔপনিবেশিক প্রভুদের মতো দুঃশাসন চালাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এ দিনে ছাত্র-জনতার দৃঢ় ঐক্য দীর্ঘ আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল পশ্চিমা শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে রাজপথে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। দীর্ঘদিন ধরে এদেশের জনগণের হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন ঊনসত্তরের এ দিনে গণঅভ্যুত্থানের পরিণতি লাভ করে। সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের এ সংগ্রাম ছিল বিশ্বের সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা।’