মৃত্যুতে শীর্ষে ইউরোপ, আরোগ্যে এশিয়া
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
মহামারী করোনাভাইরাসের আঘাতটা সবচেয়ে বেশি লেগেছে ইউরোপ মহাদেশে। মহাদেশটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। অঞ্চলটিতে আক্রান্তদের মধ্যে মারাও গেছে সবচেয়ে বেশি। তবে রোগী শনাক্ত তুলনামূলক কম হলেও সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যায় এগিয়ে আছে এশিয়া।
গতকাল অবধি বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৬১ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারসের তথ্যমতে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ইউরোপে শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৯৪২ জন। মহাদেশটিতে মারা গেছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০৮ জন। সেখানে সেরে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪১২ জন।
উত্তর আমেরিকায় শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৬ জন। অঞ্চলটিতে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৯২২ জন।
দক্ষিণ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৭৬ জন। মহাদেশটিতে গতকাল অবধি মারা গেছে অন্তত ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১০৩ জন। সেখানে আরোগ্য লাভ করেছে অন্তত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৩ জন।
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার মহাদেশ এশিয়ায় শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৪৫ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৪ জন। মহাদেশটিতে মারা গেছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ২৩ জন। অঞ্চলটিতে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা অন্তত ২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ৬১৮ জন।
আফ্রিকা মহাদেশে গতকাল অবধি শনাক্ত হয়েছে ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৪ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১ হাজার ৫০০ জন। এখানে আরোগ্য লাভ করা করোনা রোগীর সংখ্যা অন্তত ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৮৭ জন।
ওশেনিয়া মহাদেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৫০ হাজার ৮০৯ জন করোনা রোগী। সেখানে মারা গেছে অন্তত ১ হাজার ৮৪ জন। মহাদেশটিতে আরোগ্য লাভ করা রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ২৪৮ জন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ১৩৩ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৮ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ১ কোটি ১ লাখ ৬৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬০ জনের।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের শরীরে হানা দিয়েছে করোনা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ হাজার ২৯৩ জনে ঠেকেছে।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারীর গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ৪১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮০ জনের।
ছয়ে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ৩৬ লাখ ৫ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৮৪ হাজার ৩০৬ জনের।
স্পেনে করোনার শিকার ৩১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১০১ জনে ঠেকেছে।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২৮ লাখ ৯ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৯৫ হাজার ৭১৮ জনের। সুস্থতা লাভ করেছে দুই-তৃতীয়াংশ রোগী।
তুরস্কে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৬০ জনের।
এ ছাড়া মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, পেরু, চিলি, জার্মানি, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

মহামারী করোনাভাইরাসের আঘাতটা সবচেয়ে বেশি লেগেছে ইউরোপ মহাদেশে। মহাদেশটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। অঞ্চলটিতে আক্রান্তদের মধ্যে মারাও গেছে সবচেয়ে বেশি। তবে রোগী শনাক্ত তুলনামূলক কম হলেও সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যায় এগিয়ে আছে এশিয়া।
গতকাল অবধি বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১১ কোটি ১৯ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ২৪ লাখ ৭৭ হাজার ৮১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৮ কোটি ৭৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৬১ জন।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারসের তথ্যমতে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ইউরোপে শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮২ হাজার ৯৪২ জন। মহাদেশটিতে মারা গেছে ৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০৮ জন। সেখানে সেরে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪১২ জন।
উত্তর আমেরিকায় শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪১১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৭৩৬ জন। অঞ্চলটিতে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ২৪ লাখ ৩০ হাজার ৯২২ জন।
দক্ষিণ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৭৬ জন। মহাদেশটিতে গতকাল অবধি মারা গেছে অন্তত ৪ লাখ ৫৪ হাজার ১০৩ জন। সেখানে আরোগ্য লাভ করেছে অন্তত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৩ জন।
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার মহাদেশ এশিয়ায় শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৪৫ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৪ জন। মহাদেশটিতে মারা গেছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ২৩ জন। অঞ্চলটিতে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা অন্তত ২ কোটি ৩০ লাখ ৯২ হাজার ৬১৮ জন।
আফ্রিকা মহাদেশে গতকাল অবধি শনাক্ত হয়েছে ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৪ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১ হাজার ৫০০ জন। এখানে আরোগ্য লাভ করা করোনা রোগীর সংখ্যা অন্তত ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৮৭ জন।
ওশেনিয়া মহাদেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৫০ হাজার ৮০৯ জন করোনা রোগী। সেখানে মারা গেছে অন্তত ১ হাজার ৮৪ জন। মহাদেশটিতে আরোগ্য লাভ করা রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ২৪৮ জন।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই দীর্ঘ হয়ে চলেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ১৩৩ জনের।
সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে করোনা রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৮ জনের।
প্রাণহানিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও সংক্রমণে তিনে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার ১ কোটি ১ লাখ ৬৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫৬০ জনের।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের শরীরে হানা দিয়েছে করোনা। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ হাজার ২৯৩ জনে ঠেকেছে।
দ্বিতীয় তরঙ্গে মহামারীর গতি বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। এখন পর্যন্ত সেখানে করোনা হানা দিয়েছে ৪১ লাখ ১৫ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮০ জনের।
ছয়ে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ৩৬ লাখ ৫ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৮৪ হাজার ৩০৬ জনের।
স্পেনে করোনার শিকার ৩১ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ১০১ জনে ঠেকেছে।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত ২৮ লাখ ৯ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৯৫ হাজার ৭১৮ জনের। সুস্থতা লাভ করেছে দুই-তৃতীয়াংশ রোগী।
তুরস্কে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২৬ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৬০ জনের।
এ ছাড়া মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, পেরু, চিলি, জার্মানি, ইউক্রেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোতে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।