সরকারি হাসপাতাল
অচল যন্ত্রপাতি সচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের অচল যন্ত্রপাতি মেরামত করে সচল করার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদনটি করেন। আবেদনের বরাতে ওই আইনজীবী জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলের আর্জি জানানো হয়েছে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোর পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। তিনি জানান, কার্যতালিকায় আসলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।
অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন বলেন, সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮ (১) অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও মূলত অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকার, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক যন্ত্রপাতি নেই এবং বিদ্যমান যন্ত্রপাতির মধ্যে অধিকাংশই অচল। এগুলো মেরামত করে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ কর্র্তৃক অর্থ বরাদ্দ হলেও তা যথাযথ কাজে ব্যবহার না হওয়ায় একদিকে দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি জানান, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিবাদীদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসের জবাব না পাওয়ায় এই রিট আবেদনটি করা হলো।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের অচল যন্ত্রপাতি মেরামত করে সচল করার নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদনটি করেন। আবেদনের বরাতে ওই আইনজীবী জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুলের আর্জি জানানো হয়েছে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ কেন্দ্রীয় মেডিকেল স্টোর ডিপোর পরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে। তিনি জানান, কার্যতালিকায় আসলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হবে।
অ্যাডভোকেট জে আর খান রবিন বলেন, সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮ (১) অনুচ্ছেদে স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও মূলত অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা মৌলিক অধিকার, যা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক যন্ত্রপাতি নেই এবং বিদ্যমান যন্ত্রপাতির মধ্যে অধিকাংশই অচল। এগুলো মেরামত করে সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ কর্র্তৃক অর্থ বরাদ্দ হলেও তা যথাযথ কাজে ব্যবহার না হওয়ায় একদিকে দেশের সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি জানান, গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিবাদীদের আইনি নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসের জবাব না পাওয়ায় এই রিট আবেদনটি করা হলো।