খুলনায় শিশু রাকিব হত্যা মামলা
দুই আসামির যাবজ্জীবনের রায় আপিলেও বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে খুলনায় ১২ বছরের শিশু রাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামি ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টু খানকে হাইকোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল রয়েছে। গতকাল সোমবার এ দুই আসামির আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।
ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের নথি) ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে ওই বছরের ৩ মে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেরে আপিল বিভাগে আপিল করেন দুই আসামি। যার চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় এলো।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়া এলাকার একটি মোটর ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে ১২ বছরের শিশু রাকিবের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পর দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফ, তার মা বিউটি বেগম ও শরীফের সহযোগী মিন্টু খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। শিশু রাকিবকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাটি তখন সারা দেশে নিন্দার ঝড় তোলে। সে ওই গ্যারেজে কাজ করত। ঘটনার কিছুদিন আগে ওমর শরীফের গ্যারেজ ছেড়ে অন্য আরেকটি গ্যারেজে কাজ নেয় সে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা এ ঘটনা ঘটায় বলে তদন্তে উঠে আসে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর অভিযোগ গঠন শেষে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ নভেম্বর খুলনার সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের রায়ে ওমর শরীফ ও মিন্টু খানের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়। খালাস পান বিউটি বেগম। পরে দন্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের নথি) ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে আলোচিত এই মামলার পেপারবুক (মামলার যাবতীয় বৃত্তান্ত) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত হয়। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্তরাও আপিল করেন।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

পায়ুপথ দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে খুলনায় ১২ বছরের শিশু রাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামি ওমর শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টু খানকে হাইকোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও বহাল রয়েছে। গতকাল সোমবার এ দুই আসামির আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেয়।
ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের নথি) ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল দুই আসামির মৃত্যুদন্ডের সাজা কমিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে ওই বছরের ৩ মে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেরে আপিল বিভাগে আপিল করেন দুই আসামি। যার চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় এলো।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ। আসামিপক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ার।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়া এলাকার একটি মোটর ওয়ার্কশপে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসার মেশিনের মাধ্যমে ১২ বছরের শিশু রাকিবের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
পর দিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে গ্যারেজ মালিক ওমর শরীফ, তার মা বিউটি বেগম ও শরীফের সহযোগী মিন্টু খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। শিশু রাকিবকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাটি তখন সারা দেশে নিন্দার ঝড় তোলে। সে ওই গ্যারেজে কাজ করত। ঘটনার কিছুদিন আগে ওমর শরীফের গ্যারেজ ছেড়ে অন্য আরেকটি গ্যারেজে কাজ নেয় সে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিরা এ ঘটনা ঘটায় বলে তদন্তে উঠে আসে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের পর অভিযোগ গঠন শেষে বিচার শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্কের শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ নভেম্বর খুলনার সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের রায়ে ওমর শরীফ ও মিন্টু খানের মৃত্যুদন্ডের রায় হয়। খালাস পান বিউটি বেগম। পরে দন্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের নথি) ১০ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে আলোচিত এই মামলার পেপারবুক (মামলার যাবতীয় বৃত্তান্ত) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রস্তুত হয়। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্তরাও আপিল করেন।