আড়াই হাজার যুদ্ধাপরাধীর তালিকা সরকারের হাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০
স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসের ২ হাজার ৫০৪ জনের তালিকা সরকারের হাতে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকা চেয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের চিঠি দেওয়ার পর এ সংখ্যা তাদের কাছে এসেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এর আগে সংসদীয় কমিটি রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা যতটুকুই এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তা অবিলম্বে গেজেট আকারে প্রকাশের সুপারিশ করে। এরপর এ তথ্য জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি থেকে তালিকা পাওয়া গেলে প্রাপ্ত তালিকাসহ যাচাই-বাছাই করে গেজেট আকারে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যাদের নাম পাচ্ছি তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে ভেরিফাই হয়ে আসছে। তারপর তালিকা করা হচ্ছে। আইনটা হয়ে গেলে তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
গত বছর বিজয় দিবসের আগে আংশিক তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় তা সম্ভব হয়নি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আইনের সংশোধন ছাড়া এটি প্রকাশ করা যাবে না বলে সরকার আইনটি সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আইন সংসদে পাস হলে তারা রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামসের ২ হাজার ৫০৪ জনের তালিকা সরকারের হাতে বলে জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তালিকা চেয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের চিঠি দেওয়ার পর এ সংখ্যা তাদের কাছে এসেছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এর আগে সংসদীয় কমিটি রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা যতটুকুই এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে, তা অবিলম্বে গেজেট আকারে প্রকাশের সুপারিশ করে। এরপর এ তথ্য জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি থেকে তালিকা পাওয়া গেলে প্রাপ্ত তালিকাসহ যাচাই-বাছাই করে গেজেট আকারে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যাদের নাম পাচ্ছি তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সেখান থেকে ভেরিফাই হয়ে আসছে। তারপর তালিকা করা হচ্ছে। আইনটা হয়ে গেলে তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
গত বছর বিজয় দিবসের আগে আংশিক তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও আইনি বাধ্যবাধকতায় তা সম্ভব হয়নি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আইনের সংশোধন ছাড়া এটি প্রকাশ করা যাবে না বলে সরকার আইনটি সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছে। আইন সংসদে পাস হলে তারা রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে বৈঠকে জানানো হয়।