২৪ ঘণ্টায় এক লাখ শনাক্ত
ভারতে রাজ্যে রাজ্যে কারফিউ
রূপান্তর ডেস্ক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভারতে করোনা মহামারী শুরুর পর এক দিনে এত রোগী আগে কখনো শনাক্ত হয়নি। এদিকে চলতি এপ্রিল মাসের এক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে। বিশেষ করে গত চারদিন ধরে বিশ্বে শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর বেশির ভাগই শনাক্ত হচ্ছে ভারতে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে এই সংখ্যা গড়ে ১৮ থেকে ২২ শতাংশ। দেশটির সরকার করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আগামী চার সপ্তাহকে খুবই আশঙ্কাজনক সময় হিসেবে উল্লেখ করেছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে রাজধানী দিল্লিসহ অনেক এলাকায়। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার শনাক্ত হয়েছিল ৯৬ হাজার ৫৫৭ জন, রবিবার প্রথমবারের মতো দেশটি করোনা রোগী শনাক্ত লাখ অতিক্রম করে। ওই দিন ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। শনিবার শনাক্ত হয়েছিল ৯২ হাজার ৯৯৮ জন রোগী।
আলোচ্য চার দিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রাজিল থেকেছে নতুন রোগী শনাক্তে দুই অথবা তিন নম্বর তালিকায়। তবে মোটের ওপর করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিল দ্বিতীয়।
ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই ঢেউয়েই করোনা শনাক্তের সংখ্যায় আগের সব রেকর্ড ভাঙছে প্রতিদিনই।
ভারতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ৭৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৭ জন।
ভারতে করোনা মোকাবিলায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ শনাক্তের নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। দেশটির সরকার সতর্ক করে বলেছে, ভারতে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আগামী চার সপ্তাহ হবে খুবই আশঙ্কাজনক সময়।
ভারতে করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে অবস্থা মহারাষ্ট্রের। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৫৫ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কেরালা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়–র অবস্থাও খারাপ। এ ছাড়া ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
রাজধানী দিল্লির করোনা পরিস্থিতিও অবনতিশীল। দিল্লিতে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ বছরের মধ্যে এক দিনে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এই কারফিউ চলবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড হয়েছে। গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভারতে করোনা মহামারী শুরুর পর এক দিনে এত রোগী আগে কখনো শনাক্ত হয়নি। এদিকে চলতি এপ্রিল মাসের এক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ভারতে। বিশেষ করে গত চারদিন ধরে বিশ্বে শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীর বেশির ভাগই শনাক্ত হচ্ছে ভারতে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে এই সংখ্যা গড়ে ১৮ থেকে ২২ শতাংশ। দেশটির সরকার করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আগামী চার সপ্তাহকে খুবই আশঙ্কাজনক সময় হিসেবে উল্লেখ করেছে। কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে রাজধানী দিল্লিসহ অনেক এলাকায়। জারি করা হয়েছে রাত্রিকালীন কারফিউ।
ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন সোমবার শনাক্ত হয়েছিল ৯৬ হাজার ৫৫৭ জন, রবিবার প্রথমবারের মতো দেশটি করোনা রোগী শনাক্ত লাখ অতিক্রম করে। ওই দিন ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। শনিবার শনাক্ত হয়েছিল ৯২ হাজার ৯৯৮ জন রোগী।
আলোচ্য চার দিন যুক্তরাষ্ট্র বা ব্রাজিল থেকেছে নতুন রোগী শনাক্তে দুই অথবা তিন নম্বর তালিকায়। তবে মোটের ওপর করোনায় বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাজিল দ্বিতীয়।
ভারতে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই ঢেউয়েই করোনা শনাক্তের সংখ্যায় আগের সব রেকর্ড ভাঙছে প্রতিদিনই।
ভারতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২৮ লাখ ১ হাজার ৭৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে করোনায় মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৭ জন।
ভারতে করোনা মোকাবিলায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ শনাক্তের নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। দেশটির সরকার সতর্ক করে বলেছে, ভারতে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আগামী চার সপ্তাহ হবে খুবই আশঙ্কাজনক সময়।
ভারতে করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাজে অবস্থা মহারাষ্ট্রের। মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ৫৫ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কেরালা, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়–র অবস্থাও খারাপ। এ ছাড়া ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, গুজরাট প্রভৃতি রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
রাজধানী দিল্লির করোনা পরিস্থিতিও অবনতিশীল। দিল্লিতে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ বছরের মধ্যে এক দিনে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়াদিল্লিতে মঙ্গলবার থেকে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত এই কারফিউ চলবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।