মুন্সীগঞ্জে মেয়রের বাড়িতে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজে!
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০
মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আবদুস সালামের বাসভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, সিআইডি, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আবদুস সালাম গতকালও বিস্ফোরণের ঘটনাকে নাশকতামূলক কর্মকা- বলে দাবি করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর এলাকায় পৌর মেয়রের বাসভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মেয়রপতœী ও চার পৌর কাউন্সিলরসহ ১৩ জন দগ্ধ হন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরক জাতীয় কোনো দ্রব্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলোয় লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরই বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণস্থলে বিস্ফোরকের কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে সিআইডি ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা কাজ করছেন। আমি ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় মেয়রের বাসভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেছি। সেখানে আগুনে পোড়া চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে ওই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিআইডি ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের তদন্ত প্রতিবেদনই প্রাধান্য পাবে।’
এ প্রসঙ্গে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কুচক্রী মহল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাল ব্যাগভর্তি বিস্ফোরক জাতীয়দ্রব্য বাসভবনের তৃতীয় তলার দরজার সামনে রেখে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ পৌর নির্বাচনের বিরোধীপক্ষরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
শেয়ার করুন
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি | ৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০

মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আবদুস সালামের বাসভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো বিস্ফোরকের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোমা ডিসপোজাল ইউনিট, সিআইডি, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার ও পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র আবদুস সালাম গতকালও বিস্ফোরণের ঘটনাকে নাশকতামূলক কর্মকা- বলে দাবি করেছেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার রামগোপালপুর এলাকায় পৌর মেয়রের বাসভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মেয়রপতœী ও চার পৌর কাউন্সিলরসহ ১৩ জন দগ্ধ হন।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরক জাতীয় কোনো দ্রব্য পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলোয় লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ সুপার আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরই বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণস্থলে বিস্ফোরকের কোনো অস্তিত্ব মেলেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে ওই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।’
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনাস্থলে সিআইডি ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা কাজ করছেন। আমি ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ সময় মেয়রের বাসভবনের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেছি। সেখানে আগুনে পোড়া চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলা থেকে ওই ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিআইডি ও বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের তদন্ত প্রতিবেদনই প্রাধান্য পাবে।’
এ প্রসঙ্গে মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র হাজি আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কুচক্রী মহল আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাল ব্যাগভর্তি বিস্ফোরক জাতীয়দ্রব্য বাসভবনের তৃতীয় তলার দরজার সামনে রেখে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’ পৌর নির্বাচনের বিরোধীপক্ষরাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।