ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ শঙ্কা
৬ জনকে পুশব্যাক বিএসএফের
মেহেরপুর প্রতিনিধি | ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০
মেহেরপুরের মুজিবনগরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এরই মধ্যে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ভারত থেকে অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ করেছেন ছয় বাংলাদেশি। গত রবিবার ভোররাতে মুজিবনগরের নাজিরাকোনা সীমান্তের কাঁটাতারের ফটক খুলে তাদের পুশব্যাক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের অধিকাংশেরই বাড়ি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। পুশব্যাকের ওই ঘটনার পর মেহেরপুরের মানুষের মধ্যে ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বিএসএফের পুশব্যাক করা ছয় বাংলাদেশি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতের পুলিশের হাতে আটক হন। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে তারা সম্প্রতি মুক্তি পান। পরে বিএসএফ তাদের বহরমপুর কারা হেফজাতে রাখে। এরপর সুযোগমতো গত শনিবার শেষ রাতের কোনো একসময় মুজিবনগর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফটক খুলে তাদের বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেয়। ওই ছয়জন রাতের আঁধারে মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে গিয়ে রাজশাহীগামী বাসে উঠেন। কিন্তু তাদের কাছে ভাড়ার টাকা না থাকায় বাসের চালক ও সুপারইভারজার গাংনীর জোড়পুকুরিয়া বাজারে তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে তারা গন্তব্যের উদ্দেশে চলে যান।
পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের নতুন উনিশবিঘা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫), নওগাঁর সাপাহারের কলমিডাঙ্গা গ্রামের ইসলাম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫), একই গ্রামের ইসলাম ম-লের ছেলে রমজান আলী (২৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের হকিমপুরের আবদুল হান্নানের ছেলে শফিক হান্নান (২৬), সুনামগঞ্জের বনগাঁর জামালউদ্দিনের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫) ও দিনাজপুর সদরের সাইদুর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ (২৭)।
এদিকে ছয় বাংলাদেশিকে পুশব্যাকের ঘটনা মুজিবনগর থানা পুলিশ এবং মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ কেউই জানে না বলে দাবি করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুশব্যাক হওয়া ওই ছয়জনের মাধ্যমে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতির বড় কারণ হতে পারে।
পুশব্যাক হওয়া রুবেল হোসেন জানান, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এক বছর আগে ভারতে ঢুকে পুলিশের হাতে আটক হন। অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাকে মুর্শিদাবাদ কারাগারে পাঠায়। তিনি সেখানে কারাভোগ করেন নয় মাস। পুশব্যাক হওয়া রাজু আহমেদ জানান, তিনি হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে আটক হন দুই বছর আগে। তাকে কলকাতা কারাগারে রাখা হয়েছিল। তিনিও নয় মাস কারাভোগ করেন। নুরুল আমিন জানান, বেড়াতে গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে জেলে পাঠায়।
পুশব্যক হওয়া ছয়জনের ভাষ্য, বিভিন্ন অভিযোগে কারাভোগ করা শত শত বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশ জড়ো করে একটি স্থানে নেয়। সেখানে ১৫-২০ জনের গ্রুপ করে ভারতীয় পুলিশ একাধিক গাড়িতে করে বিভিন্ন সীমান্তে নিয়ে গিয়ে জড়ো করে। এভাবে তিন-চার দিন হয়রানি ও মানবেতর জীবন কাটানোর পর বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। বিএসএফ ছয়-সাতজনের গ্রুপ করে সীমান্তের বিভিন্ন ফটকের সামনে তাদের নিয়ে গিয়ে রাখে। এ সময় যৎসামান্য পানি আর হালকা খাবার ছাড়া এসব বাংলাদেশির মুখে কিছুই জোটেনি। সবাই দীর্ঘপথ হেঁটে এবং লাগাতার নিদ্রাহীন থেকে খুবই ক্লান্ত ছিলেন। গত রবিবার ভোর ৪টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা নাজিরাকোনা সীমান্তের একটি ফটক খুলে দিয়ে বলেন, ‘তোরা সোজা হেঁটে চলে যা। কিছুটা গেলে গ্রাম পাবি। গ্রাম পেরোলে বাজার পাবি। সেখান থেকে শহরে চলে গেলে বাস পাবি। ডান-বাম কোনো দিকে যাবি না।’ এই কথা বলে অস্ত্রের মুখে তাদের সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই সীমান্ত পথ তাদের সবারই অজানা ছিল। তারা ওই গভীর রাতে হেঁটে মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে হেঁটে মেহেরপুর শহরে পৌঁছে রাজশাহীগামী বাসে উঠেন।
মেহেরপুরের গাংনী জোড়পুকুর সড়কের বাসস্টপের দোকানদার জাকিরুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকাল ১০টায় রাজশাহীগামী একটি বাস থেকে ছয়জনকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, ওই ছয়জনের কাছে বাস ভাড়ার টাকা নেই। অচেনা এবং কথা বলার ধরন শুনে সন্দেহ হয়। ছয়জনের কাছ থেকে সবকিছু শুনে স্থানীয়ভাবে চাঁদা তুলে টাকা সংগ্রহ করে তাদের দেওয়া হয়। পরে ছয়জনকে কুষ্টিয়াগামী গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, কুষ্টিয়া থেকে নিজ নিজ জেলার বাসে উঠে পড়তে। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। শরীর ও চেহারা ছিল জীর্ণশীর্ণ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পুশব্যাক হওয়া ছয়জনের গন্তব্যে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য হলে এটা ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হতে পারে। পুশব্যাক হওয়া ভারতফেরত ছয়জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি ছিল। কেননা পশ্চিমবঙ্গে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। এখন ওই ছয়জনের খোঁজ নিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। না হলে তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।’
মুজিবনগর থানার ওসি হাশেম আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই পুশব্যাকের ঘটনা ঘটেছে। জানতে পারলে পুলিশ ভারতফেরত ছয়জনকে কোয়ারেন্টাইনে নিত। তারা দেশের অভ্যন্তরে অন্যত্র চলে যাওয়ায় পুলিশ তাদের খোঁজ করে পায়নি।’
এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের অজানা। তবে আমরা তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে খুঁজে বের করব। সেই সঙ্গে সীমান্ত নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
শেয়ার করুন
মেহেরপুর প্রতিনিধি | ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০

মেহেরপুরের মুজিবনগরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এরই মধ্যে কোনো প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ভারত থেকে অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ করেছেন ছয় বাংলাদেশি। গত রবিবার ভোররাতে মুজিবনগরের নাজিরাকোনা সীমান্তের কাঁটাতারের ফটক খুলে তাদের পুশব্যাক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের অধিকাংশেরই বাড়ি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। পুশব্যাকের ওই ঘটনার পর মেহেরপুরের মানুষের মধ্যে ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, বিএসএফের পুশব্যাক করা ছয় বাংলাদেশি অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারতের পুলিশের হাতে আটক হন। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে তারা সম্প্রতি মুক্তি পান। পরে বিএসএফ তাদের বহরমপুর কারা হেফজাতে রাখে। এরপর সুযোগমতো গত শনিবার শেষ রাতের কোনো একসময় মুজিবনগর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফটক খুলে তাদের বাংলাদেশ সীমান্তে ঠেলে দেয়। ওই ছয়জন রাতের আঁধারে মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে গিয়ে রাজশাহীগামী বাসে উঠেন। কিন্তু তাদের কাছে ভাড়ার টাকা না থাকায় বাসের চালক ও সুপারইভারজার গাংনীর জোড়পুকুরিয়া বাজারে তাদের বাস থেকে নামিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে তারা গন্তব্যের উদ্দেশে চলে যান।
পুশব্যাক হওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদপুর ইউনিয়নের নতুন উনিশবিঘা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে রুবেল হোসেন (২৫), নওগাঁর সাপাহারের কলমিডাঙ্গা গ্রামের ইসলাম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫), একই গ্রামের ইসলাম ম-লের ছেলে রমজান আলী (২৮), চাঁপাইনবাবগঞ্জের হকিমপুরের আবদুল হান্নানের ছেলে শফিক হান্নান (২৬), সুনামগঞ্জের বনগাঁর জামালউদ্দিনের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫) ও দিনাজপুর সদরের সাইদুর রহমানের ছেলে রাজু আহমেদ (২৭)।
এদিকে ছয় বাংলাদেশিকে পুশব্যাকের ঘটনা মুজিবনগর থানা পুলিশ এবং মুজিবনগর বিজিবি ক্যাম্পসহ সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ কেউই জানে না বলে দাবি করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুশব্যাক হওয়া ওই ছয়জনের মাধ্যমে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতির বড় কারণ হতে পারে।
পুশব্যাক হওয়া রুবেল হোসেন জানান, তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে এক বছর আগে ভারতে ঢুকে পুলিশের হাতে আটক হন। অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাকে মুর্শিদাবাদ কারাগারে পাঠায়। তিনি সেখানে কারাভোগ করেন নয় মাস। পুশব্যাক হওয়া রাজু আহমেদ জানান, তিনি হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে আটক হন দুই বছর আগে। তাকে কলকাতা কারাগারে রাখা হয়েছিল। তিনিও নয় মাস কারাভোগ করেন। নুরুল আমিন জানান, বেড়াতে গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেললে তিনি পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে জেলে পাঠায়।
পুশব্যক হওয়া ছয়জনের ভাষ্য, বিভিন্ন অভিযোগে কারাভোগ করা শত শত বাংলাদেশিকে ভারতীয় পুলিশ জড়ো করে একটি স্থানে নেয়। সেখানে ১৫-২০ জনের গ্রুপ করে ভারতীয় পুলিশ একাধিক গাড়িতে করে বিভিন্ন সীমান্তে নিয়ে গিয়ে জড়ো করে। এভাবে তিন-চার দিন হয়রানি ও মানবেতর জীবন কাটানোর পর বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাদের। বিএসএফ ছয়-সাতজনের গ্রুপ করে সীমান্তের বিভিন্ন ফটকের সামনে তাদের নিয়ে গিয়ে রাখে। এ সময় যৎসামান্য পানি আর হালকা খাবার ছাড়া এসব বাংলাদেশির মুখে কিছুই জোটেনি। সবাই দীর্ঘপথ হেঁটে এবং লাগাতার নিদ্রাহীন থেকে খুবই ক্লান্ত ছিলেন। গত রবিবার ভোর ৪টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা নাজিরাকোনা সীমান্তের একটি ফটক খুলে দিয়ে বলেন, ‘তোরা সোজা হেঁটে চলে যা। কিছুটা গেলে গ্রাম পাবি। গ্রাম পেরোলে বাজার পাবি। সেখান থেকে শহরে চলে গেলে বাস পাবি। ডান-বাম কোনো দিকে যাবি না।’ এই কথা বলে অস্ত্রের মুখে তাদের সীমান্তের বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই সীমান্ত পথ তাদের সবারই অজানা ছিল। তারা ওই গভীর রাতে হেঁটে মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে পৌঁছান। সেখান থেকে হেঁটে মেহেরপুর শহরে পৌঁছে রাজশাহীগামী বাসে উঠেন।
মেহেরপুরের গাংনী জোড়পুকুর সড়কের বাসস্টপের দোকানদার জাকিরুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকাল ১০টায় রাজশাহীগামী একটি বাস থেকে ছয়জনকে জোর করে নামিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, ওই ছয়জনের কাছে বাস ভাড়ার টাকা নেই। অচেনা এবং কথা বলার ধরন শুনে সন্দেহ হয়। ছয়জনের কাছ থেকে সবকিছু শুনে স্থানীয়ভাবে চাঁদা তুলে টাকা সংগ্রহ করে তাদের দেওয়া হয়। পরে ছয়জনকে কুষ্টিয়াগামী গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। বলে দেওয়া হয়, কুষ্টিয়া থেকে নিজ নিজ জেলার বাসে উঠে পড়তে। তাদের অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না। শরীর ও চেহারা ছিল জীর্ণশীর্ণ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পুশব্যাক হওয়া ছয়জনের গন্তব্যে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন নাসির উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ঘটনাটি সত্য হলে এটা ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হতে পারে। পুশব্যাক হওয়া ভারতফেরত ছয়জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা খুবই জরুরি ছিল। কেননা পশ্চিমবঙ্গে করোনার ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে। এখন ওই ছয়জনের খোঁজ নিয়ে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। না হলে তাদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট।’
মুজিবনগর থানার ওসি হাশেম আলী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই পুশব্যাকের ঘটনা ঘটেছে। জানতে পারলে পুলিশ ভারতফেরত ছয়জনকে কোয়ারেন্টাইনে নিত। তারা দেশের অভ্যন্তরে অন্যত্র চলে যাওয়ায় পুলিশ তাদের খোঁজ করে পায়নি।’
এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেকুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের অজানা। তবে আমরা তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে খুঁজে বের করব। সেই সঙ্গে সীমান্ত নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে।’