২৫৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম শনাক্ত
রূপান্তর ডেস্ক | ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে রবিবার ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বের ৩ লাখ ২৭০ জন শনাক্ত হয়েছে, যা গত ২৫৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে গত বছরের ৫ অক্টোবর ২ লাখ ৭৪ হাজার জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল বিশ্বে। এরপর কোনো দিনই সাড়ে ৩ লাখের নিচে রোগী শনাক্ত হয়নি। এদিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে গত রবিবার ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও ৯ হাজার ৯০ জন। এ ছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ লাখ ৫৩৬ জন।
নতুন এই শনাক্ত, মৃত্যু ও আরোগ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৮ লাখ ২০ হাজার ৯৮৩ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১৬ কোটি ৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৫ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে এখনো রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৩ জন। আর সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৩২ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৪৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২৮৭ জনের। সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৭ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪৮ জন।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম তুরস্ক, ষষ্ঠ রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩২তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১৩ হাজার ১১৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ইউরোপ এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক প্রাণহানি হলেও বর্তমানে সেসব দেশে মহামারী অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে করোনায় ব্যাপক প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে।
শেয়ার করুন
রূপান্তর ডেস্ক | ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে রবিবার ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বের ৩ লাখ ২৭০ জন শনাক্ত হয়েছে, যা গত ২৫৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে গত বছরের ৫ অক্টোবর ২ লাখ ৭৪ হাজার জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল বিশ্বে। এরপর কোনো দিনই সাড়ে ৩ লাখের নিচে রোগী শনাক্ত হয়নি। এদিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাবে গত রবিবার ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে আরও ৯ হাজার ৯০ জন। এ ছাড়া নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৫৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪ লাখ ৫৩৬ জন।
নতুন এই শনাক্ত, মৃত্যু ও আরোগ্য নিয়ে বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৮ লাখ ২০ হাজার ৯৮৩ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ১৬ কোটি ৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৫ জন।
বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে এখনো রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৩ জন। আর সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৮৪ লাখ ১৩২ জন।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৫ লাখ ৭ হাজার ৪৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ২৮৭ জনের। সুস্থ হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৭ জন।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৬ জনের। আর সুস্থ হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪৮ জন।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স, পঞ্চম তুরস্ক, ষষ্ঠ রাশিয়া, সপ্তম যুক্তরাজ্য, অষ্টম ইতালি, নবম আর্জেন্টিনা এবং দশম স্থানে রয়েছে কলম্বিয়া।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩২তম। দেশে এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ২৬ হাজার ৯২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১৩ হাজার ১১৮ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬৬ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশটিতে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ইউরোপ এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক প্রাণহানি হলেও বর্তমানে সেসব দেশে মহামারী অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে করোনায় ব্যাপক প্রাণহানি অব্যাহত রয়েছে।