গুলশানে কনস্ট্রাকশন ব্যবসায়ী নারীর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০
রাজধানীর গুলশানের একটি বহুতল ভবনের সুইমিংপুলের পাশ থেকে ইসরাত জেবিন মিতু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিতু একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির পরিচালক বলে জানা গেছে।
গুলশান থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই মো. রনি জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে গুলশান-২-এর ৬৯ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়ির সুইমিং পুলের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ভবনটি ১২তলা। আমরা যতটুকু দেখলাম তিনি ওপর থেকে নিচে পড়েছেন। কীভাবে পড়েছেন তার তদন্ত চলছে। ইসরাত জেবিন মিতুর স্বামী নাইম আহম্মেদ একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির পরিচালক। মিতুও ওই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। মিতুর শ^শুরের নাম ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া। নিহতের শাশুড়ির নাম ডা. তাজকেরা খানম। ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া আরপি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা গেছে। আরপি কনস্ট্রাকশন পাঁচতারকা ঠিকাদার বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে।
গুলশান থানার উপপুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, মিতুর শ^শুরের ভাই রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পাঁচতারকা হোটেলের মালিক। মিতুর শ^শুর গুলশানে ৬ হাজার বর্গফুট করে ১২ হাজার বর্গফুটের একটি বাসায় থাকতেন। দুই পরিবারের মধ্যে হৃদ্য ছিল বেশ। মিতুর স্বামী মানসিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল। পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। মিতুর মা-বাবা ও পরিবারের অপর সদস্যরা ওই বাসাতেই আছেন। আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি।
মিতুর আত্মীয় পরিচয়ে ওয়াহিদুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মিতুর শ^শুরের পরিবার বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু একজন নারী তার ১০ মাস বয়সী ছেলে রেখে আত্মহত্যা করবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমার ধারণা, তাকে হত্যার পর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
গুলশান থানার একজন এসআই জানান, কী ঘটেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে। মৃতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। মিতুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার সময় তার স্বামী বাসায় ছিলেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিতুর আত্মীয় ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘একজন নারীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বা অপমৃত্যু বলে প্রচার মেনে নেওয়া যায় না। এটা অন্যায়। আপনারা সাংবাদিকরা একটু এগিয়ে আসুন। নিহত মেয়েটি ও তার সন্তানদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করুন।’
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জুন, ২০২১ ০০:০০

রাজধানীর গুলশানের একটি বহুতল ভবনের সুইমিংপুলের পাশ থেকে ইসরাত জেবিন মিতু নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মিতু একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির পরিচালক বলে জানা গেছে।
গুলশান থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই মো. রনি জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে গুলশান-২-এর ৬৯ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়ির সুইমিং পুলের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ভবনটি ১২তলা। আমরা যতটুকু দেখলাম তিনি ওপর থেকে নিচে পড়েছেন। কীভাবে পড়েছেন তার তদন্ত চলছে। ইসরাত জেবিন মিতুর স্বামী নাইম আহম্মেদ একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির পরিচালক। মিতুও ওই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। মিতুর শ^শুরের নাম ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া। নিহতের শাশুড়ির নাম ডা. তাজকেরা খানম। ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া আরপি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা গেছে। আরপি কনস্ট্রাকশন পাঁচতারকা ঠিকাদার বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছে।
গুলশান থানার উপপুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, মিতুর শ^শুরের ভাই রাজধানীর খিলক্ষেতের একটি পাঁচতারকা হোটেলের মালিক। মিতুর শ^শুর গুলশানে ৬ হাজার বর্গফুট করে ১২ হাজার বর্গফুটের একটি বাসায় থাকতেন। দুই পরিবারের মধ্যে হৃদ্য ছিল বেশ। মিতুর স্বামী মানসিক সমস্যার মধ্যে ছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল। পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। মিতুর মা-বাবা ও পরিবারের অপর সদস্যরা ওই বাসাতেই আছেন। আমরা বিষয়টি নজরে রাখছি।
মিতুর আত্মীয় পরিচয়ে ওয়াহিদুর রহমান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মিতুর শ^শুরের পরিবার বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু একজন নারী তার ১০ মাস বয়সী ছেলে রেখে আত্মহত্যা করবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমার ধারণা, তাকে হত্যার পর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
গুলশান থানার একজন এসআই জানান, কী ঘটেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত চলছে। মৃতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। মিতুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘটনার সময় তার স্বামী বাসায় ছিলেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিতুর আত্মীয় ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘একজন নারীকে হত্যার পর আত্মহত্যা বা অপমৃত্যু বলে প্রচার মেনে নেওয়া যায় না। এটা অন্যায়। আপনারা সাংবাদিকরা একটু এগিয়ে আসুন। নিহত মেয়েটি ও তার সন্তানদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করুন।’