হাইকোর্টে জামিন মেলেনি সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমের
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত ওই থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন মেলেনি হাইকোর্টে। তার করা জামিনের আবেদনটি শুনানি শেষে কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে মোয়াজ্জেমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর মোয়াজ্জেমের করা আপিল গত বছরের আগস্টে শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন মোয়াজ্জেম। তার আবেদনটি তিন মাসের জন্য মুলতবি করেছিল হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এ মামলায় ছয় মাসের বেশি সময় আগে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি (মোয়াজ্জেম)। আজ (গতকাল) এটি শুনানির জন্য এলে হাইকোর্ট শুনে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। তবে তারা চাইলে হাইকোর্টের অন্য কোনো বেঞ্চে আবেদনটি তুলতে পারবেন।’
এই মামলায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মোয়াজ্জেমকে সংশ্লিষ্ট আইনের দুটি ধারায় পাঁচ ও তিন বছর করে আট বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদ- দেয় বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন। ওই বছরের ৬ এপ্রিল সোনাগাজীতে স্থানীয় ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তখনকার শিক্ষার্থী নুসরাতকে ওই মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টার ভবনের ছাদে নিয়ে গায়ে আগুন দেওয়ার পাঁচ দিন পর তিনি মারা যান।
এর আগে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত ও তার মা একই বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (পরে বরখাস্ত) সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা করতে যান। এ সময় নুসরাতের বক্তব্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিওতে ধারণ করে রাখেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হলে গ্রেপ্তার হন তিনি।
শেয়ার করুন
নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির জবানবন্দি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাদ-প্রাপ্ত ওই থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন মেলেনি হাইকোর্টে। তার করা জামিনের আবেদনটি শুনানি শেষে কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দিয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে মোয়াজ্জেমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও রেদোয়ান আহমেদ রানজীব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. রেজাউল করিম।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর মোয়াজ্জেমের করা আপিল গত বছরের আগস্টে শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন মোয়াজ্জেম। তার আবেদনটি তিন মাসের জন্য মুলতবি করেছিল হাইকোর্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এ মামলায় ছয় মাসের বেশি সময় আগে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি (মোয়াজ্জেম)। আজ (গতকাল) এটি শুনানির জন্য এলে হাইকোর্ট শুনে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। তবে তারা চাইলে হাইকোর্টের অন্য কোনো বেঞ্চে আবেদনটি তুলতে পারবেন।’
এই মামলায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মোয়াজ্জেমকে সংশ্লিষ্ট আইনের দুটি ধারায় পাঁচ ও তিন বছর করে আট বছরের সশ্রম কারাদ- এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদ- দেয় বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন। ওই বছরের ৬ এপ্রিল সোনাগাজীতে স্থানীয় ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার তখনকার শিক্ষার্থী নুসরাতকে ওই মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টার ভবনের ছাদে নিয়ে গায়ে আগুন দেওয়ার পাঁচ দিন পর তিনি মারা যান।
এর আগে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত ও তার মা একই বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (পরে বরখাস্ত) সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা করতে যান। এ সময় নুসরাতের বক্তব্য মোবাইলের মাধ্যমে ভিডিওতে ধারণ করে রাখেন ওসি মোয়াজ্জেম। পরে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হলে গ্রেপ্তার হন তিনি।